রাত গভীর, প্রায় ৩ টা বাজে, সাড়ে তিনটা’ও হতে পারে। শীতের রাতগুলো একটু বেশিই গভীর দেখায়। ঘুম ভেঙে যায় আওয়াজে। পাশে সবাইই বেঘোরে ঘুম; শীতের রাতের “শীতনিদ্রা” বেশ আরামের একটা ব্যাপার।
আওয়াজ টা কোথা থেকে আসল বুঝতে পারলাম না। খুব ছোট একটা বাসায় থাকি। অন্তত ভয় পাওয়ার সিনেমার মত বড় বাসা না। তবে অদ্ভুত একটা চিন্তা কাজ করছে। কেন যেন মনে হচ্ছে পাশের ঘুমানো মানুষগুলো কেউ গলা ফাঁটিয়ে ডাকলেও উঠবেনা। একবার দুইবার ডাকলাম’ও। উঠলোনা, শুধু মেয়ে ঘুমের মধ্যে একটা হাঁসি দিয়ে পাশ ফিরল।
উঠে পড়লাম, দরজা খুলে পাশের ঘরে গেলাম, আওয়াজ টা কোথা থেকে বুঝতে…বারান্দার দরজা খোলা, আওয়াজ টা সেদিক থেকেই। বারান্দায় আমার একটা বাতাসে ফোলানো চেয়ার আছে, সেখানে কে যেন বসা! লম্বা কাপড় পড়া বোঝা যাচ্ছে, অনেকটা বিছানার চাদর গায়ে প্যাঁচানো থাকলে যেমন দেখায়, তেমন। এই বয়সে ভয় পাওয়াটা হাস্যকর, তবু কেমন টেনশন ধরনের ভয় কাজ করছে। আগাবো, কি আগাবোনা!
“কে তুমি?”
– আমি আড়াল
“কি চাও?”
– করব তোমাকে নজরবন্দি
“কেন?”
– তোমার নির্ঘুম রাতগুলোর হিসাব নেয়া দরকার
হঠাৎই আওয়াজ, সকাল হয়ে যাচ্ছে, আযান এর আওয়াজ পেলাম। পিছে তাকিয়ে আবার সামনে তাকাতেই সে নেই! আজ আবার ফিরতে হবে, দেখি… পাগলাটে ঘোলাটে…
কে ডাকলো মাঝরাতে জানিনা, তবে ভোর হতেই যিনি ডাকেন, তাঁর কাছে ফিরতেই হবে একদিন। কেমন যেন এই বৃহস্পতিবার…
শুভ সপ্তাহান্ত!
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪২