ধীর পায়ে এগুতে থাকো তুমি, কিংবা জীবনের হিসেবে আরও পিছাও,
চোখে অদম্য লালসা নিয়ে মানুষরূপী হিংস্র এক পশু তুমি আজ
কলুষিত মন আর দেহ নিয়ে এগিয়ে যাও এক অপরিচিত নারীর দিকে,
নারী কি সে? সে তো এক কিশোরী। চোখভর্তি সারল্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,
ছেঁড়া ঘুড়িটার পিছে ছুটতে গিয়ে কখন যে একটু বেশি দূরে চলে এসেছে -
ক্ষণিক আগেও টের পায়নি। এখন যখন তোমার নখহীণ থাবার সামনে দাঁড়িয়ে
অল্প হলেও ঠাহর করে নিচ্ছে তোমার অভিপ্রায়, চারপাশে একবার ঘুরে তাকায় সে,
এ যে তারই গ্রাম, তারই দেশ, তারই খেলার আসর। শুধু তুমি এক বেমানান জন্তু সেখানে!
এই অচেনা এক নাম না জানা কিশোরীর শরীরের লোভে এগিয়ে যাও যখন,
তোমার কি মনে পরেনা মায়ের কোলের উষ্ণতা? যেই উষ্ণতায় গর্ভ থেকে বেড়ে উঠে
তুমি আজ এই পশুরূপ নিলে। মনে পরেনা প্রেমিকার মুখ? কাজলটানা চোখ?
যে চোখের দিকে তাকিয়ে কখনো মুগ্ধতায় তোমার বিকেল পেরিয়ে যেতো!
মেলায় কেনা কাচের চুড়ি পরিয়ে দেওয়ার অজুহাতে প্রথম যখন তার হাতটা ছুঁয়েছিলে,
সেখানে কি শুধুই কামনা ছিল? বুকের ভিতর অন্যরকম এক অনুভূতি দোলা দেয়নি?
এইতো সেদিনের কথা। তবে এখন কেন এমন করে বদলে গেলে তুমি?
নাকি অসহ্য এই পাপের পরেও ফিরবে আবার মায়ের আঁচলের গন্ধ নিতে?
প্রেমিকার হাতের আঙুলে আঙুল জড়াতে জড়াতে ভুলে যাবে এই কিশোরীর কথা -
যাকে ফেলে রেখে গেলে ঘাসের উপর, টকটকে লাল রক্তে জড়িয়ে!