somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জুতা কাহিনী

২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৬ রাত ১০:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





কত না স্মৃতি মানুষের মনে ভাসে। এই মুহূতে আমার কলেজের এক স্মৃতি মনে পড়ছে। আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
একটু ডানপিটে স্বভ া ববলে বাবা আমাকে নিয়ম শৃংখলার মধ্যে ভালো পড়াশুনার জন্য চট্টগ্রাম নেভী কলেজে ভতি করালেন। অবশ্য ভতি পরীক্ষায় টিকেছি বলেই ভতি হতে পেরেছি। সাদা শাট নেভীব্লু পেন্ট এবং সাদা পিটি সু ছিলো কলেজের ড্রেস। খুব করা নিয়ম কানুন। এটা করা যাবেনা সেইটা করা যাবেনা আরো কত কি। টাইম মত ক্লাসে হাজির থাকা চাই নয়তো সেদিন এটেন্ডেনস কাটা যাবে। ক্লাসে কথা বলা যাবেনা এবং কোনরকম অমনোযোগীতার জন্য কান ধরে বেনেচর উপর দাড় করিয়ে রাখা হ তো। পড়া না পারলে মেয়েদের দিয়ে কানমলা খাওয়ানো হতো ছেলেদের আর মেয়েদের বেলায় শুধুমাত্র দাড় করিয়ে রখা হতো।

এতসব নিয়ম কানুন সবই মেনে নিলাম। যেটা মেনে নিতে পারলাম না সেটা হলো ঐ সাদা জুতা। দেখতে কেমন খেত খেত। স্কুলবয়ের মত। বন্ধুরা কিংবা পাড়ার লোকজন মস্করা করতো এই বলে যে আমি এখনও স্কুলবয় রয়ে গেছি।

ক্লাসের সবারই একই অবস্থা কেউ এই সাদা জুতা পছন্দ করেনা। কিন্তু উপায় েনই। কেউ কেউ পরামর্শ দিলো যে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় সাদা জুতা ব্যাগ এ ঢুকিয়ে অন্য জুতা পরে কলেজের প্রথম গেইট এ এসে বদলে ফেললেইতো হয়। চমৎকার বুদ্ধি। এটাকেই কাজে লাগালাম। ব্যাগের ভেতর বইয়ের সাথে জুতা রাখতে কেমন যেন লাগলো। ব্যাগের নিচের অংশে জুতা নেয়ার ব ্যবস্থা করলাম। এইভাবে কিছুদিন চললো।

এবার প্রতিদিন ব্যাগের ভেতর এতগুলো বইখাতার সাথে জুতা আনা বোঝা মনে হলো। তাই ক্লাসের টেবিলের বাক্সে জুতা রেখে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। পরেরদিন ক্লাসে এসেই বদলে ফেললেইতো হয়। অধিকাংশ ছেলেই এই কাজ করতে শুরু করলো। এভাবেও কিছুদিন কাটলো।

কিন্তু কপালে খারাপ কিছু থাকর্লেঠেকাবে কে? হঠাৎ একদিন ক্লাসে এসে কা রো ই জুতা খুজে পাওয়া গেলোনা। পিয়ন এসে সবাইকে প্রিনিসপালের রুমে ডেকে নিয়ে গেলেন। আমাদের অপরাধ আমরা বই রাখার স্থলে জুতা রেখেছি এবং ডেস্ক ময়লা করেছি।স্যার বিশাল এক বক্তৃতা ঝারলেন এবং শাস্তিও নিধারণ করলেন। জুতার মালিকদের বাসায় গিয়ে অভিবাবক নিয়ে আসলেই জুতা ফেরত পাওয়া যাবে। কিন্তু কেউ অভিবাবক ডাকতে গেলোনা। পরেরদিন নতুন আরেক জোড়া জুতা পায়ে হাজির হলাম। এই অবস্থা দেখে প্রিনিসপাল স্যার খুবই হতাশ হলেন। কোন শাসিত ছাডাই জুতা ফেরত দিলেন।

কিছুদিন আগে আমার এক বন্ধু থেকে জানতে পারলাম যে কলেজ ড্রেসে সাদা জুতার পরিবর্তে এখন কালো যে কোন জুতা ব্যবহারেরঅনুমতি দেয়া হয়েছে।

সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
৯টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১৫

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

ছবি, এআই জেনারেটেড।

ইহা আর মানিয়া নেওয়া যাইতেছে না। একের পর এক মামলায় তাহাকে সাজা দেওয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

এমন রাজনীতি কে কবে দেখেছে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২০


জেনজিরা আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামল দেখেছে। মোটামুটি বীতশ্রদ্ধ তারা। হওয়াটাও স্বাভাবিক। এক দল আর কত? টানা ১৬ বছর এক জিনিস দেখতে কার ভালো লাগে? ভালো জিনিসও একসময় বিরক্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযুদ্ধের কবিতাঃ আমি বীরাঙ্গনা বলছি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৫


এখনো রক্তের দাগ লেগে আছে আমার অত্যাচারিত সারা শরীরে।
এখনো চামড়া পোড়া কটু গন্ধের ক্ষতে মাছিরা বসে মাঝে মাঝে।

এখনো চামড়ার বেল্টের বিভৎস কারুকাজ খচিত দাগ
আমার তীব্র কষ্টের দিনগুলোর কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন নারী শিক্ষিকা কীভাবে কন্যা শিশুর সবচেয়ে অসহায় মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করতে পারেন?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৩


বাংলাদেশে মাঝে মাঝে এমন সব মানুষ রূপী শয়তানের সন্ধান মেলে যাদের দেখে আসল শয়তানেরও নিজের উপর হতাশ হওয়ার কথা। এমন সব প্রজাতির মানুষ বাংলাদেশে বসবাস করেন যাদের মস্তিষ্ক খুলে দেখার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মানুষ মানুষকে কীভাবে এত অপদস্ত করে এই ব্লগে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৪

আমি তো কারও সাতেও নাই পাঁচেও নাই। এত সময়ও নাই মানুষকে ঘাঁটার। ব্লগের ব্লগারদের সম্পর্কেও তেমন কিছু জানি না। তবে পোস্ট পড়ে কিছুটা আন্দাজ করা যায় -কে কী রকম। আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×