রোহিঙ্গা' সংক্রান্ত যে ছবিগুলো সামাজিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে সেগুলোর বেশ কিছু এরকম;
১. তেল কোম্পানিতে আগুন লেগে ২০০ শ্রমিক পুড়ে মরে যাওয়া লাশের ছবি।
২. চায়নার কোনো এক প্রদেশে ভূমিধ্বস/ভূমিকম্পে নিহতদের লাশের সৎকারে ব্যস্ত বৌদ্ধ ভিক্ষুরা।
৩. বোকা-হারাম কর্তৃক হত্যা করা খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের আফ্রিকান কালো মানুষ; বোকাদের করা হারাম কাজ।
৪. থাই পুলিশ কর্তৃক আটককৃত তাদের সমুদ্র সীমায় প্রবেশ করা মাছধরা জেলেরা।
৫. স্বামীর পরকীয়া সহ্য করতে না পেরে দুই সন্তানসহ আত্ম্হত্যা করা এক মা।
৬. আরবি কোনো বইয়ের পাতায় জ্বলন্ত আগুন ... ইত্যাদি ... ইত্যাদি ... ইত্যাদি; সাইবার অপরাধের এই ধোকা আর অন্ধবিশ্বাসের নীচে চাপা পরে কবে যে মুসলমানের ধর্মভ্রষ্ট হয়ে গেছে বা যাচ্ছে তার খোঁজ নেই কারো। 'না জেনে মিথ্যা খবর প্রকাশ করা'; অপরাধ, হারাম তো হবেই বোধয়। আমরা জানতেই পারছিনা কি হচ্ছে বার্মাতে, লুসিফারের হাত ধরে সৃষ্টিকর্তার সন্ধানে ছুটছি অন্ধকারের পানে।
এই সংক্রান্ত মন্তব্য'গুলো আরো আকর্ষণীয়। তারা নিজেদের মনে জ্ঞান, সংযম, সততা কিছুই প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি কিন্তু আজ তারা সৃষ্টিকর্তাকে প্রতিষ্ঠা করবে পৃথিবীতে! 'কুন্ ফায়া কুন্' বলে যে সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেন বিশ্বভ্রম্মান্ড, তাকে প্রতিষ্ঠা করবে এইসব সৃষ্টিকর্তা প্রেমী। আর ধ্বংস করে চলবে তার সৃষ্টি; মানুষ আর মানবতা। অন্য সুরে সৃষ্টিকর্তার আরাধনা চললে সেই কণ্ঠ টিপে ধরতে হবে, ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয় প্রতিমা। আজানের সময় গির্জার ঘন্টা বাজলেও পশ্চিমে এসে তা লাগে সুমধুর, ব্যাস একখানা ভিসা চাই।
আর কবে বুঝবে মানুষ; সৃষ্টিকর্তা কোনোদিন মাটিতে নেমে আসবে না। তাকে খুঁজে বের করতে হবে। আর 'ধর্ম' পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ব্যবসা; পুঁজি করে খাচ্ছে কেও কেও, খরিদ্দার আমরা সবাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫