অপদেবতার কুপ্রভাব থেকে নিজের মুক্তি চেয়ে শুরু হয় ধর্মের দর্শন, তারপর 'শুরু করিলাম সেই সৃষ্টিকর্তার নামে' একবিন্দু রক্ত থেকে যিনি তৈরী করেন অর্ধেক মানুষ আর অর্ধেক শয়তান। আসমানী কিতাবের শুরু এভাবেই, একের পর এক আয়াত। সেই আয়াত উল্টেই 'কুফরী', অপদেবতার সান্নিধ্য। অন্য কোনো এক কিতাবের মন্ত্র উল্টে তন্ত্র। যান্ত্রিক জীবনকে অস্বীকার করা এক জাদুকর তান্ত্রিক, স্বীকার করেন সেই অশুভকে। হাজারো কিতাবে যে ভালোবাসার প্রতিশ্রুতির মন্ত্র লেখা আছে সেখানে নিশ্চই ধোঁকার কথাও লুকানো আছে কোথাও। তাই; যে ধোঁকায় পরে প্রেমিক ধোঁকা দিলো লাবণ্যকে, তদ্বিপরীত তা ন্যায্যই ছিল।
প্রেমের সে খেলা শুরু হয় পূজা দিয়েই। তবে যদি দেবী হারায় সে পূজারী, সে দায়ভার কিয়দাংশে দেবীর'ই। লাবণ্য তা অস্বীকার করে, যদিও সৃষ্টির শুরুতেই নিজের ভুল স্বীকার করেন ঈশ্বর। তবুও লাবণ্য স্বীকার করেনা তার সৃষ্টি সেই নাস্তিক পূজারীকে। হায়রে ধোঁকাবাজের প্রেম!
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:১৮