পাকিস্তানের নত জঘন্য যুদ্ধাপরাধীদের দেশে আল-কায়েদার অর্থনৈতিক মেরুদন্ড ভেঙ্গে হাক্কানী নেটওয়ার্কের সমস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করা হয়। দুবাই, আবুধাবী সহ যেসব জায়গায় হাক্কানী নেটওয়ার্কের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল তা অধিগ্রহণ করা হয়। হাক্কানী নেটওয়ার্কের ব্যবসার মূলধন ও মুনাফা বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংক-ট্যাংকের চেয়ে বেশী ছিল। সেগুলো অধিগ্রহণ করে বরং পাকিস্তান ও অন্য রাষ্ট্রগুলো লাভবান হয়েছে।
আল-কায়েদার সদস্যরা নিদারুণ অর্থকষ্টে ছেড়ে গেছে পাকিস্তান। ফিরে গেছে ইয়েমেনে, ইরাকে যাদের গ্রামে ফিরে দুটো খাওয়া পরার সংস্থান আছে। আর যাদের পেছনে কিছুই নেই তারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তাড়া খেয়ে বিজেপির নরেন্দ্র মোদির প্রশ্রয়ে ভারতের জামাতের আশ্রয়ে আছে। ভারতের জামাতীরা ব্যবসা বানিজ্য করতে পারেনি। শুধু মওদুদীর আদর্শ প্রচার করেছে। ঐ গরীব অথবা কৃপণ ভারতীয় জামাতীরা অপেক্ষায় আছে কবে আল-কায়েদা অতিথি বিদায় হবে। তারা বাংলাদেশে যাচ্ছে শুধু দুবেলা ভাতের জন্য।
বাংলাদেশের জামাত করিতকর্মা। ক্রিকেট খেলা স্পন্সর করে, প্রধানমন্ত্রী পদযুগলে ত্রাণের টাকা নজরানা দেয়। সুতরাং বাংলাদেশে একটু খেয়ে পরে বাঁচার সংস্থান হয়ে যাবে আল-কায়েদাদের। তারপর গায়ে গতরে শক্তি হলেই আবার জিহাদের লিবিডো মাথাচাঁড়া দেবে।
এই বাস্তবতা প্রধানমন্ত্রী জানেন কিনা জানিনা। উনার প্রতিরক্ষাবিদ আত্মীয় করণের আইকন জেনারেল তারেক সাহেব এসব আধুনিক যুদ্ধ ও প্রতিরক্ষা কৌশল বোঝেন কীনা জানিনা। কারণ আই টি ইল্লিটেরেসী বা তথ্য প্রযুক্তিতে অশিক্ষিত হবার কারণে মিডিওকার বয়স্ক লোকেরা জগতের খেই হারিয়ে ফেলেছেন।
এরকম খরখরে বাস্তবতায় পাক্কিদের মত একেবারেই নিম্নশ্রেণীর প্রাণীরা হাক্কানী নেটওয়ার্কের তাবত ব্যবসা একমাসের মধ্যে বন্ধ করে দিতে পারলো। আর গণজাগরণ মঞ্চ এই দাবীতে এতো বড় ইতিহাস বিনির্মাণ করার পরেও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্য, আমাদের নয়নের মণি, দেশ রত্ন ড শেখ হাসিনা কেন জামাতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ না করে হঠাত তাদের সঙ্গে বুলবুলি আখড়াই মানবতার ফটোসেশনে অংশ নিলেন সেটা বোধগম্য নয়। এখনো যদি শ্রদ্ধেয়া প্রধানমন্ত্রী ভেবে থাকেন, এরা খুব লক্ষী হয়ে গেছে, জামাত বসে ফিডার খাচ্ছে এবং আলকায়েদা বাংলাদেশে শ্যামের বাঁশী বাজাতে ধেয়ে আসছে; তাহলে আর কী বলবো; শেখ হাসিনা নামের সাদা মার্বেল পাথরের ভাস্কর্যে মাথা ঠুকা নেহাত সময়ের অপচয় হয়ে দাঁড়াবে। এরপর আল-কায়েদা এসে তাদের কুচকাওয়াজ শুরু করলে; শেখ হাসিনা হয়তো ঢাকার মেয়র হয়ে যাবেন। হামিদ কারজাই যেমন, তালেবানের ভয়ে কাবুল ছাড়া আফঘানিস্তানের আর কোথাও যেতে না পেরে নন্দলাল হয়ে বসে থাকেন।
এক অলৌকিক খালাম্মার গল্প
আমার এক খালাম্মা আছেন। উনি নিজেকে খুব বুদ্ধিমতী মনে করেন। আমাদের মনে করেন মোরণ সেল্লু-সমাজ। তো আমাদের কিছু বন্ধুবান্ধব পিলখানা হত্যাযজ্ঞে শহীদ হন। খালাম্মা খুব দয়ালু। মানুষের ব্যথা উনি সহ্য করতে পারেন না। অকাল বিধবা ভাবী ও বোনদের খালাম্মা একটি ব্যাংকের কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি ফান্ডের চেক উপহার দেন। এই ব্যাংকটি বাংলাদেশে জঙ্গী মোটা-তাজা করণ প্রকল্পে কর্পোরেট আন-স্যোশাল রেসপনসিবিলিটির টাকা খরচ করে। ওদিকে খালাম্মা কিন্তু সন্ত্রাসবাদ একদম পছন্দ করেন না। এনকাউন্টারে ছেঁটে ফেলা হয় খলসে প্রকৃতির জঙ্গীদের শাখা-প্রশাখা। তবে ঐ যে জঙ্গীবৃক্ষের শেকড় যে ব্যাংকটি; ওটি নিয়ে কোন সমস্যা নাই। খালাম্মার কথা হলো চোর তো চুরি করিবেই; কিন্তু গৃহস্থকে সজাগ থাকিতে হইবে।
পিলখানায় নিহতদের মধ্যে কর্ণেল গুলজার একজন; যিনি জঙ্গীবাদ দমনে অসম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন। সেই জঙ্গী বৃক্ষের শেকড় ব্যাংকটির চেক আমাদের মহানুভব খালাম্মা তুলে দেন মিসেস গুলজারের হাতে। একে বলা হয় আইরনি অফ ফেট।
এরকম ট্র্যাজেডি দেখে চুপ করে থাকা কঠিন। কিন্তু চুপ করে থাকতে হবে। খালাম্মার কোন কাজের সমালোচনা করা যাবে না। ওমা তাতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত হবে যে। ভার্চুয়াল জগতে খালাম্মার খাদেম চুলকানি রায় ও চুলকানিউদ্দি ওরফে জাস্টিফিকেশন ভাগ্নেরা আছে। তারা এসে বলে, একটি নিবন্ধিত ব্যাংক টাকা দিলে; সেটাকা খালাম্মা নিতেই পারেন। খালাম্মা আসলে যা খুশী তা করতে পারেন। কারণ দেশটা খালাম্মার বাবার। এই কারণেই বুঝি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী প্রমিথিউস আমাদের সবার পিতা হলেও; উত্তরাধিকারের পাওয়ার অফ এটর্ণী শুধু খালাম্মার হাতে। খালাম্মা ও জঙ্গীবাদের বিষবৃক্ষের শেকড় ব্যাংকটি অমর হোক।
কেন জামাতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ নয়
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া
১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।