somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রিপাবলিকান-আলকায়েদা বাংলাদেশ অভিযানের কুচকাওয়াজ

০১ লা মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে হালকা নড়াচড়া শুরু করেছে সেখানকার কট্টরপন্থী খ্রীস্টান ও ইহুদী বুদ্ধিজীবী সাদা পটকা মজহাররা। ইকনোমিস্টের কেমন যাবে ২০১৪ র প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের একদা ধনী ক্ষয়িষ্ণু কথিত এফলুয়েন্ট সোসাইটির আর্থিক দুর্দশার ছবি ফুটে উঠেছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পন্থী বুদ্ধিজীবী, আইনজ্ঞ, রাজনৈতিক মতস্যজীবীদের এখন বেশ টাকা-পয়সার অভাব। অনেকের বাড়ীর মডগেজ আটকে যাচ্ছে, সামার হলিডেতে ওয়াইফিকে তাসকনি আইলন্ডে ঘুরতে নিয়ে যেতে না পারলে এক ডিভোর্স কেস ফাইল হবে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ জামাতের ডলারের বিনিময়ে যুদ্ধাপরাধী বাঁচানোর কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হয়েছে মার্কিন রিপাবলিকান তথা বিএনপি দলটির অনেকেই।

ডেমোক্র্যাটরা আদর্শিকভাবে এসব থেকে নিজেদের দূরে রাখে। কাজেই বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধী বাঁচানোর ততপরতায় মার্কিন রিপাবলিকান তথা বিএনপি সন্নিহিত গোরা হতাশ করিম, টাকলা মাহবুব, গন্ডগোলের মালিকরা ততপর। বাংলাদেশ জামাতের টাকায় এরা সেখানকার প্রেসক্লাবের ভিয়াইপি লাউঞ্জে ভাড়া করে জামাতের বৃটিশ পেইড এজেন্ট ডেভিড বার্গম্যান, টোবি কাডম্যানের মত স্ট্রিপটিজ ও সাইয়েদা ওয়ার্সির মত মুজরা করছে মার্কিন সাদাছাগু-সমাজ।

প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার এসবের সঙ্গে কোন সম্পর্ক নাই। উনার রাষ্ট্র এবং সংসার দুটোই খুবই ঝুঁকির মধ্যে।

পাকিস্তান-ভারত-বাংলাদেশে আল-কায়েদার নীল চাষ প্রকল্পটিও মার্কিন কট্টর রিপাবলিকান খ্রীস্টান ও ইহুদী হোয়াইট তেঁতুল হুজুরদের এজেন্ডা। ডব্লু বুশ বা ওয়াইল্ড জঙ্গলের ক্রুসেড এবং সম্পদ লুন্ঠন করার নীতিতে আস্থাশীল রিপাবলিকানরা আবার ক্ষমতায় আসতে চায়। তাদের বাংলাদেশী এজেন্ট হচ্ছে জামাত-হেফাজত-বিএনপি কট্টর বলয়। এরপাশাপাশি প্রাইভেট কন্ট্রাকটর ব্ল্যাক ওয়াটার গোয়েন্দাদের দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় নাশকতা সৃষ্টির ভুতূড়ে কান্ডগুলো তারা করে। যেমন ধরুন ২০০১-২০০৬ ত্রাসনামলে হাওয়া ভবনে ব্ল্যাক ওয়াটার গোরা সাবদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা ছিল। ঐ ভবনে যাতায়াতকারী দুজন ব্যক্তির কাছ থেকে একই তথ্য পাওয়া গেছে। এই আদর্শিক লড়াইটি বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ায় চলে। মার্কিন ডেমোক্রাটদের নৈকট্য আওয়ামী লীগ, ভারতের কংগ্রেস ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির সঙ্গে। অন্যদিকে রিপাবলিকানদের বন্ধুতা দক্ষিণ পন্থী বিএনপি-বিজেপি-মুসলিম লীগ নওয়াজ গ্রুপের সঙ্গে। আর জামাত-শিবসেনা রিপাবলিকানদের স্থানীয় কোলাবোরেটর; তখনো; এখনো। এখন যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতায় ডেমোক্র্যাটরা। বারাক ওবামার আদর্শিক সমর্থন সহজাতভাবেই আওয়ামী লীগের প্রতি।

কিন্তু ঢাকা গ্রামের এক পতিব্রতা "চাঁদপুর থেকে চাঁদ" আফা হঠাত মন্ত্রী হয়েই তার বৃদ্ধ হাজব্যান্ডের সঙ্গে নোবেল বিজয়ী ইউনুসের অতীতে কোন তিক্ততার প্রতিশোধ নিতে শুরু করেন অযাচিত কলতলার ক্যাচাল। ক্যাচালে জড়িয়ে যান প্রধানমন্ত্রী নিজেও। কারণ অবসর সময়ে পরচর্চা ও কানকথা শোনা আওয়ামী লীগের ট্র্যাডিশন। অধ্যাপক ইউনুস একটা প্রতিষ্ঠান তৈরী করেছেন; ঐটা নিয়ে তিনি খাবেন না মাথায় মাখবেন এইটা তার বিষয়। রবীন্দ্রনাথের শান্তি নিকেতনে গিয়ে যদি ততকালীন শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলতো, রবিদা আপনার চাকরীর বয়স নাই, গেট লস্ট; এখন শান্তি নিকেতন ১৯ টুকরা করবো কেমন শোনাবে সেটা। আওয়ামী লীগের দরবেশ যেমন তার টিভি চ্যানেলের রিপোর্টার পাঠিয়ে একে ওকে শায়েস্তা করে; শেয়ার বাজারকে মাকালীর ভোগে পাঠিয়েছে, তেমন কোন কাজ নোবেল সাহেব করেননি।

একবার রাজনীতিতে যেতে চেয়েছেন। কারণ বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়া পৃথিবীর একমাত্র গ্রাম যেইখানে ইনফেরিয়র সেল্লু কোয়ালিটির লোকেরা সুপিরিয়র সাইদ স্যারের মতো মানুষদের শাসন করে তুইতুকারী সহযোগে (পশ্চিমবঙ্গেও)। সেখানে রাজনৈতিক দল গঠনের আগ্রহ যে কোন মেধাবী ও যোগ্য মানুষ প্রকাশ করতে পারেন। যেহেতু দেশটা সবার বাপের। কারো একার বাপের না। কিন্তু আওয়ামী লীগের গ্রাম্য অচল লিলিপুটেরা ইউনুসের উদ্যোক্তা হিসেবে সাফল্যের পাহাড়টিতে জেনেটিক খিস্তি ছুঁড়তে থাকে। নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুযায়ী এর বিপরীতে যে কেউ প্রতিক্রিয়া জানাবে। ইউনুসের ইউনিভার্সিটি জীবনের বান্ধবী হিলারী। তার কাছে ইউনুস দুঃখের কথা বলবেনই। নইলে বান্ধবী কেন। হিলারী হাসিনার এই গোপালগঞ্জের ডায়ালেক্টে ফান করাটাকে ভালভাবে নেননি। বন্ধুর বিরুদ্ধে কেউ চুলকানিমূলক কথা বললে আপনি তো বন্ধুর পক্ষই নেবেন।

তাহলে ঐ পতিব্রতা ব্যর্থ হেলেন অফ ট্রয়ের জন্য দেখুন কীভাবে; জাস্ট সময় কাটানোর জন্য পরচর্চায় আগ্রহী সরল মনের হাসিনা এবং ইউনুসের ব্যাংক গড়ার নেপথ্যের সহযোগী বন্ধু মুহিত জড়িয়ে গেলেন গ্রাম্য ক্যাচালে। ফলে আওয়ামী লীগ কাংক্ষিত ডেমোক্র্যাট সাপোর্ট থেকে বঞ্চিত হলো নেহাত হেলেনের কারণে। তবে ওবামার সমর্থন অটুট রয়েছে। কারণ এই কুচুটে হেলেনদের সে পাত্তা দেয়না। নমুনা যেখানে নিজের বাসাতেই আছে। ১৫ ঘন্টা কাজ করে ফেরার পর যে ওবামাকে ঝগড়া করে রাতে ঘুমাতে পর্যন্ত দেয়না।

তো এখন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান লবির যুদ্ধাপরাধীদের বিচারটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার "তবে কিন্তু" চাঁনমারী শুরু হয়েছে। ওদিকে উড্রোউইলসন সেন্টার খুব মনোকষ্টে আছে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসায়। বুদ্ধিজীবীরা টাকা নিয়ে জামাতের কাজ করতে না পারলে অনুতাপে ভোগে, ভাড়াটে খুনীরাও তাই। একারণেই ইঙ্গ-মার্কিন মৌলবাদী খ্রীস্টান লবিটির ব্ল্যাক ওয়াটার প্রাইভেট হিটম্যানরা এখন বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানে। এখানে আল-কায়েদা ও শিবসেনার হামলার পরিকল্পনা প্রণয়ন ও হামলার ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজটি তারা করে। সব মিলিয়ে দক্ষিণ এশিয়া এখন দক্ষিণপন্থার উত্থানের গিরিখাঁজে। তাই অসাম্প্রদায়িক সুষম সভ্য সমাজের প্রত্যয়ে যারা নিবেদিত; তাদের ঐক্যকে সুদৃঢ় করে বাংলাদেশে সম্ভাব্য রিপাবলিকান-আলকায়েদা ততপরতা রুখে দিতে সদা সতর্ক থাকা জরুরী। আশা করছি আমরা যে যার জায়গা থেকে একটি অসাম্প্রদায়িক ও সভ্য বাংলাদেশ টিকিয়ে রাখার সতত লড়াইয়ে সক্রিয় থাকবো।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পরিণতি - ৩য় পর্ব (একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস)

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮



( পরিণতি ৬১ পর্বে'র একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস ।)

তিন


আচানক ঘুম ভেঙ্গে গেলো ।

চোখ খুলে প্রথমে বুঝতে পারলাম না কোথায় আছি । আবছা আলোয় মশারির বাহিরে চারপাশটা অপরিচিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইফতার পার্টি মানে খাবারের বিপুল অপচয়

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩



গতকাল সরকারি ছুটির দিন ছিলো।
সারাদিন রাস্তাঘাট মোটামুটি ফাকাই ছিলো। ভাবলাম, আজ আরাম করে মেট্রোরেলে যাতায়াত করা যাবে। হায় কপাল! মেট্রো স্টেশনে গিয়ে দেখি গজব ভীড়! এত ভিড়... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×