অই দিন অফিস থিকা বাইরাইয়া দেখি – রাস্তায় খালি জ্যাম আর জ্যাম!!! পথে মানুষ আর মানুষ। আমার নোয়াখাইল্লা বন্ধু কয়- মামা, এতো দেখি মাইনষ্যের মাথা মাইনষ্যে খায়। যাকগা, হেটে হেটে বাসায় পৌছাইছি কোন রকমে। টিভিতে দেখি – শাহবাগে বাস চাপায় ঢাকা ভার্সিটির ছাত্র নিহত। তাঁর পর যথারীতি ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ ব্লা ব্লা ব্লা ............
পরদিন অফিসে ডেঞ্জার আনোয়ার ভাইএর লগে দেখা। দেঞ্জার ভাই ব্রিলিয়ান্ট মানুষ (ক্যাডায় কয়, বেসরকারি ভারসিটির পোলাপাইন ব্রিলিয়ান্ট না???) তবে একটু ক্যাড়া!! আমারে দেইখাই চিল্লাইয়া কইল -ঢাবি’র পুলাপাইনদের খ্যাদানো দরকার। আমি হাসি হাসি ভাব লইয়া তাঁর সামনে বইলাম । কইলাম, বস, এক্টু চা খাওয়ান না। পিয়ন চা দিল। পরবর্তী কথোপকথন এই রকম।
ডেঞ্জার ভাইঃ ঢাকা ভার্সিটির সবকয়টা স্টুডেন্ট বদমাইস, একেকটা সন্ত্রাসী। কাল একজনের জন্য শ’খানেক গাড়ি ভাঙ্গছে, আগুন দিসে। বদের বদ !! ঢাকা ভার্সিটি বন্ধ করে দেয়া উচিত। :-&
আমিঃ অবশ্যই । (তারপর আস্তে কইরা) আমরা তো পাশ কইরাই ফেলছি । দ্যান বন্দ কইরা।
ডেঞ্জার ভাইঃ এদের সব গুলা এক্স-স্টুডেন্ট এর সার্টিফিকেট বাতিল করা হোক।
আমিঃ করেন না ভাই । আমার গুলাতো মনে হয় উই পোকায় প্রায় খায়া ফেলসে। ওগুলার কি হবে???
ডেঞ্জার ভাইঃ ঢাবি’র পুলাপাইনদের পিটাইয়া, ঘাড় ধইরা দেশ থেকে খেদানো দরকার !!! সব গুলারে জাহাজে ভরে পাপুয়া-নিউগিনিতে রেখে আসা উচিত।
আমিঃ একজাক্টলি। তা-ই করেন ভাই। এর পরে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী হিসাবে আমরা সবাই বারেক মামুর :#> :#> (বারাক ওবামা) দ্যাশে যামু গা।
ডেঞ্জার ভাইঃ উহঃ এগুলার সাথে আর পারি নাহ!!!! দরকার নাই ভাই। আপনারাই থাকেন। আমার কাগজ-পত্র আসুক। ইনশাআল্লাহ! আগামি বছর আমিই স্টেটসে চলে যাচ্ছি।
ডিসক্লেইমারঃ এইটা ফালতু পুস্ট। তাই কথোপকথনের কোন অর্থ খোজার দরকার নাই।