মাঝ পথ পেরিয়ে এসে
কবি- আবারো নদীতে পড়িলেন
সূর্যটা- সবে হেলেছে পশ্চিমে
সমতল বিরান পেরুলেই শিমুল গাছের তলে-
সবুজ ঘন শন ঢাকা গোরস্থান দেখা যায়
খানিক এগুতেই- আচানক জ্বলন্ত সত্য
উত্তাল তরঙ্গিণী নদী ঠায় দাঁড়িয়ে
কবিও স্তম্ভিত দাঁড়ালেন
ডানে বামে তাকিয়ে মাথায় হাত দিয়ে
গভীর চিন্তায় মগ্ন হয়ে
থুপ করে বসে পড়লেন মাটিতেঃ
“নামবো- নাকি
চোখ বন্ধ করে বসে রইবো অপেক্ষায়-
যাক না শুকিয়ে নদী; পা’র হবো সমান বিরান চর
নাকি পরকালে বেহেস্তের অপেক্ষা না করে
তরঙ্গিণী নদীকেই প্রমাণ স্বর্গ ভেবে দিয়েই দেবো ঝাঁপ...”