বাগেরহাটের যাত্রাপুরের খলসী গ্রামে নিরীহ অনিল হালদারের পরিবারের ওপর সন্ত্রসী তুহিন খা সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে বেপরোয়া তান্ডব চালিয়েছে। অনিল হালদারের বিবাহ যোগ্য কন্যা লক্ষী রানীকে সকলের সম্মতিতে সগোত্রের যোগ্য পাত্রের সাথে বিয়ে দেওয়ায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী তুহিন খা গং ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে এ পরিবারের ৪-টি গরু ও মালামাল লুটে নিয়ে গেছে। বসত ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। হত্যা করার জন্য প্রকাশ্যে গৃহকর্তা অনিল হালদার ও তার ছেলে-মেয়েকে একাধিকবার ধাওয়া করেছে। বৃহস্পতিবার গভীররাতে অনিল হালদার স্বপরিবারের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়ে জীবন বাঁচিয়েছেন। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে বাগেরহাট সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
সদরের যাত্রাপুরের খলসী গ্রমের অনিল হালদার তার স্নাতক পাশ মেয়ে সুশ্রী লক্ষী রানীকে গত ২২-সেপ্টেম্বর কচুয়া উপজেলার ছোট আন্ধারমানিক গ্রামের কুবের মিস্ত্রী ছেলে পুলিশে চাকুরীরত অসীম মিস্ত্রীর সাথে বিয়ে দেন। এরপর থেকে স্থানীয় ফজলু খার ছেলে তুহিন খা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সে শ্বশুরবাড়ি থেকে লক্ষীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার দাবীতে অবর্ণনীয় অত্যাচার ও হুমকী-ধামকী দিতে থাকে। এ কথা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানালে তুহিন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে দলবলসহ তুহিন বৃহস্পতিবার দুপুরে খুন করার ঘোষনা দিয়ে রামদা নিয়ে নিরীহ অনিল এবং তার স্ত্রী রীনা রানী, ছেলে অলিপ ও মেয়ে জোৎস্নাকে ধাওয়া করে। তাদের আত্ম চিৎকারে লোকজন ছুটে এলে ওরা চলে চায়। পরে বিকেলে আবার ফিরে এসে ৪-টি গরুসহ মালামাল নিয়ে যায়। বসত বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে ৫-লাখ টাকা দাবী করে। অসহায় অনিলের পরিবার তখন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের নিকট ছুটে যায়। তারা বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু কোন ফল হয়না। উল্টো বেপরোয়া তুহিন দলবল নিয়ে রাতে ফের চড়াও হলে নিরুপায় অনিল হালদার স্বপরিবারে বাড়িঘর ছেড়ে কচুয়ায় বেয়াই বাড়িতে পালিয়ে গিয়ে প্রাণ বাঁচান।
ঘটনার নিন্দা জানিয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোস্তফা কামাল বলেন, অনিল পরিবারের ওপর অত্যাচার অমানবিক। এ বিষয়ে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার খোন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার বিকেলে তিনি বিষয়টি শোনার পর থানায় অভিযোগ দিয়ে বলেন এবং জরুরী ভাবে প্রয়োজনীয় এ্যাকশান নিতে সদর খানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ঘটনায় বাগেরহাট জেলা হিন্দু-বৌদ্ব-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শিব প্রসাদ ঘোষ, আ’লীগ নেত্রী ও জেলা মহিলা সংস্থার সভানেত্রী হ্যাপী রড়াল, পূজা উদযাপন পরিষদের জেলা সম্পাদক অবনীশ চক্রবর্ত্তী সোনাসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্ভে দোষীদের আটক ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছেন। সূত্রঃ