জানলে অবাক হবেন প্রতিটা ডুডল আপনার কোন না কোন মনের অবস্থা বা আপনার চরিত্রের কোন না কোন দিক নির্দেশ করে। যেমন ধরুন যারা আবেগপ্রবণ শান্তিপ্রিয় মানুষ বা ভালবাসার কাঙ্গাল তারা সবসময় সাধারনত বৃত্ত বা বক্ররেখা এঁকে থাকে। আবার বাস্তবাদি মানুষগুলো কেন যেন সরল রেখা বা আয়তই আঁকে। কোণ, আকাবাকা কাটাকুটি বা ত্রিভুজ আঁকে মানসিকগত স্থিতিশীল মানুষগুলোই। আকারেও লুকায়িত থাকে চরিত্রের দিক, আকারে বড় ডুডল যেখানে আত্নবিশ্বাসী এবং বর্হিমূখী মানুষের হয় ঠিক তখনই ছোটগুলো একজনের অর্ন্তমূখীতাই নির্দেশ করে যারা কোনকিছু দূর থেকে দেখতেই ভালবাসে।
আপনি আনমনে ফুল, পাখি, তারা থেকে শুরু করে চোখ, মুখ এমন কি ঘরবাড়ি এঁকে চলেছেন কিন্তু জানেন কি ঠিক কি ভেবে আপনার অবচেতন মন এই ডুডলটি আপনার মন থেকে এনেছে কাগজের উপর? কি বার্তা দিতে চাইছে আপনার মন? হয়ত নিচের লেখাগুলো পড়তে পড়তেই জেনে যাবেন।
মুখমন্ডলঃ চেহারা আঁকিয়েরা নড়েচড়ে বসুন কারণ এই ডুডল আপনার ভাল মন মানসিকতা এবং ঐ মুহূর্তে আপনার ফুরফুরে মেজাজেরই বহিঃপ্রকাশ করে। তবে এখানে কিছু ব্যাপার আছে যেমন ডুডলটি সুদর্শ্ন মানুষের হয় তবে বুঝতে হবে আপনি মানুষের মাঝে ভাল দিকটিই দেখে থাকেন। আবার যদি তা কারো কদাকার চেহারার হয় তবে বুঝতে হবে আপনি অল্পতেই ভুল বুঝেন,বদরাগী এবনং আপনার জীবনে কোন খারাপ অভিজ্ঞতা আছে। যদি চেহারার একপাশ এঁকে থাকেন তবে আপনি একজন অর্ন্তমূখী মানুষ।
বাচ্চাঃ আপনার আঁকা ডুডলটি বাচ্চার হলে বুঝতে হবে আপনি কোন কিছুর অভাব বোধ করছেন।
কার্টুনঃ সবার আগ্রহে থাকার প্রকট ইচ্ছা থেকেই কার্টুন আঁকে মানুষ।
চোখঃ ‘চোখ মনের জানালা’ কথাটি ডুডলের ক্ষেত্রে সত্যি। চোখের ডুডলেই বুঝা যায় একজন মানুষের মনের অবস্থা। চোখের ডুডল কোথাও নিজের জায়গা খুঁজে পাবার তিব্র আকাঙ্ক্ষা, ভালোবাসা পাবার আকুলতা বুঝায়। আবার কিছু ক্ষেত্রে চোখ সুরক্ষা, ব্যাক্তিগত হস্তক্ষেপও বুঝায়। তবে একটি জিনিস সব চোখের ডুডলেই বুঝায় তা হল কোন কিছুই আপনার নজর এড়ায় না।
মুখ/ঠোটঃ ঠোট বা মুখ হতাশা, কষ্ট থেকেই আঁকে মানুষ।
দাবা বোর্ডঃ সাদা কালো দাবা বোর্ড দেখতে নিরীহ হলেও এর ডুডলের মানে কিন্তু নিরীহ না মোটেও। ধৈর্য্যশীল আর লেগে থাকা মানুষগুলোই দাবা বোর্ড এঁকে যায় আনমনে। এছাড়া এমনও হতে পারে আপনি কোন ঘটনার মাঝে আছেন যেখানে আপনার প্রতিটা সিদ্ধান্তই কোন না কোন ফল বয়ে আনবে। তবে এও বুঝা যায় আপনার ‘মুড’ বা আবেগানুভূতি সহজেই বদলায়।
[বাকি অংশ পরের পর্বে]