১
সোমা আর শোভনের সম্পর্কটা অন্য বেশিরভাগ সম্পর্কের মত হুট করেই হয়ে যায়। কত মেয়ের সাথেই ওঠা বসা চুপচাপ শোভনের, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। এর বেশি কিছু নয়। সোমাও তার আপন ভূবণে বেশ ভালোই ছিলো। বেশিরভাগ মেয়ের মত চুপচাপ নয় সে, সবার সঙ্গেই হাসিতামাশায় মেশে সে। সবাই তাকে বেশ পছন্দ করে। শোভনকেও, অন্যভাবে অন্যকারণে।
২
যাইহোক সম্পর্কটার প্রাথমিক ঝাপটা খুব রোমান্টিক। দু’জনেই সমবয়সী। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক পাট চুকিয়েছে বেশ আগেই। সোমা নিচ্ছে উচ্চশিক্ষা আর শোভন সংসারের চাপে বাধ্য হয়ে ছোটখাট চাকরী করছে, ক্যারিয়ার নিয়ে বেশি ভাবছে সে। বিয়ে করাতে তাই সোমার দিক থেকেই চাপ বেশি। বাসায় পাত্র খুঁজছে।
৩
শোভন ক্যারিয়ার নিয়ে বেশ চিন্তিত। এমনিতেই সে বেশ দ্বিধাগ্রস্থ- অনেক খোলা পথে সে কী করবে? রেজাল্ট ভালো ছিলো বাইরে পড়তে যাওয়া যায়, আবার পরিবারের হাল ধরবে এই চাকরীতেই নাকি অন্য পথ? তার উপর সোমার কাছ থেকে বিয়ের চাপ। শোভন সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে।
৪
সোমা মেয়েটা আসলেই খুব ভালো। চটপটে।
শোভনও। তবে আসলেই অনেক দ্বিধাগ্রস্থ।
৫
কুসংস্কারে বিশ্বাসী নয় কেউই। তবে শোভন আজব অনেক সংস্কার মেনে চলে- যেমন, ছেলেরা দুইরকম, জীবিত আর বিবাহিত। কৌতুক করে বলা হলেও শোভন কেন জানি এটিকে মেনে চলে। তার মন সবসময় পরিবর্তন হয়- একাগ্র নয় সে। সোমা বরং অনেক ধীর স্থির শান্ত।
দু’জনের মধ্যে মিলের চাইতে অমিলগুলোই ফুটে উঠতে থাকে ক্রমশ।
৫
ভালোবাসা ফুরায়না। তবে সম্পর্ক শীতল হতে থাকে। আস্তে আস্তে যোগাযোগও বন্ধ হয়ে যায় একসময়।
৬
অনেক দিন যোগাযোগ নেই। শোভনের মনে হয় সোমার কাছেই ফিরতে হবে। সোমা কী এখনও অপেক্ষা করছে?
চিঠি লেখে সে, তোমার কাছেই ফিরতে চাই। বিবাহিত হয়ে মরতে চাই- যেন নিজের মৃত্যুদণ্ড নিজেই দিলাম।
৭
সোমার জবাব, “......”
---
সোমার যদি অন্য জায়গায় বিয়ে হয়ে থাকে, তবে সেই মৃত্যুদণ্ডের মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ হয়ে গেছে।
না হলে, তার মেয়াদ এখনও আছে।
শুধুই ভালোবাসা সেখানে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




