আজ ভোররাতে হুজুর মাইকে ডাকেনি "সবাই উঠুন সেহেরি খাওয়ার সময় হয়েছে।" গ্রামের সকলেই ভাবলো, হয়তো ঘুম বেশি হয়েছে তাই উঠতে দেরি করছে।
মসজিদের পাশেই একটা ছোট রুম আছে, সেখানে হুজুর থাকেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আজান দেন, আর ইমামতি করেন। সকালে ছোটদের কুরআন পড়ান।
এলাকায় সবাই হুজুরকে সন্মান করে, সকলেই তাদের পরিবারের একজন ভাবে।
আজ জহিরদের ঘরে হুজুরের খাবার ছিলো। জহিরের ছোট ভাই ফখরুল ভোররাতে খাবার এনে দেখলো হুজুরের রুম খোলা, ফখরুল ভাবলো হুজুর ফ্রেশ হতে ঘাঁটে গেছে। তাই খাবার টেবিলে রেখে চলে এসেছে।
সকালে ফজরের আজান ও দেয়নি, সবাই বিচলিত, 'হুজুরের অসুখ হয়নিতো?'
অন্যদিনের তুলনায় আজ ফজরের নামাজে মুসুল্লির আগমনও বেশি। অনেকেই উৎসুক নিয়ে এসেছে হুজুরের কি হলো?
রুমে লাইট জ্বালিয়ে দেখলো, হুজুর নেই, খাবার পড়ে আছে। হুজুরের নাম্বারে কল দিচ্ছে তাও বন্ধ।
একজন আজান দিলো, অন্যজন ইমামতি করে ফজরের নামাজ পড়ে, পুরো গ্রামে খবর নিলো। কোথাও হুজুর নেই। হুজুরের বাড়িতে কল দিলো হুজুর বাড়িতেও যায়নি!!
দুপুর গড়িয়ে এলো,পুরো গ্রাম শুধু একজনকেই খুঁজে তবুও খোঁজ পায়নি। যোহরের নামাজও মুসল্লিরা পড়লো নিজেদের একজনকে ইমাম বানিয়ে।
এইভাবে দুইদিন কেটে গেল। তৃতীয়দিন খবর পেল হুজুর জেলে, জঙ্গী সন্দেহে হুজুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সাতদিনের রিমান্ড চেয়েছে আদালত চারদিন মঞ্জুর করেছে।
এইভাবেই কত নিরঅপরাধ হুজুর আজ জেলে আটকা পড়েছে। দোষ একটাই তারা পাঞ্জাবি পরে, পুলিশ তাদের সন্দেহ করে রিমান্ড আর জেলে দিচ্ছে!!
এইভাবেই চলতে থাকলে, বৈশাখের পাঞ্জাবি ছাড়া সকল পাঞ্জাবি উঠে যাবে।
জানাজার ইমামও খুঁজে পাওয়া যাবেনা!! হয়তো
আজ হয়তো এর মর্ম বুঝছেন না অথবা বুঝেও না বোঝার ভান ধরে আছেন, কিন্তু মৃত্যুর পর লাশের খাটে শুয়ে হয়তো উপলদ্ধি করবেন!!
হায় হায় মাদরাসায়তো জঙ্গীবাদ নয় পরকালীন শিক্ষা দেওয়া হতো।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৪:৪৯