হাশরের ময়দানের কঠিন অবস্থা ও মহান আল্লাহর অনুগ্রহ
চূড়ান্ত পর্ব
হাশরের ময়দানে কেউ কারো কথা ভাবার কথা মাথায়ও আসবে না। চিন্তা শুধু একটাই থাকবে- দেখি আমার ফলাফল কি আসে। যখন ঈমানদার-মুমিন বান্দাদের ডান হাতে আমলনামা দেয়া হবে তখন খুশীতে সেই বান্দা দৌঁড়াতে থাকবে এই বলে যে, কোথায় আমার মা-বাবা-আত্নীয়-বন্ধুগণ, দেখ আমার আমালনামা কতো সুন্দর, দেখ! আমার আমালনামা কতো সুন্দর-যেমনটি আজকে পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করে শিক্ষার্থীরা করে থাকে।
হাশরের ময়দানে ভাল ফলাফল করতে চাইলে দুনীয়ার জীবনে কোন নেক আমলকেই খাটো করে দেখা যাবে না। ফরয-ওয়াজিব-সুন্নত-মোস্তাহাব সব আমলকেই গুরুত্ব দিয়ে চর্চা করতে হবে। দাওয়াতের অনুষ্ঠানে গিয়ে যদি কোন খাবারকেই ছেড়ে দেয়া না হয় তাহলে আখেরাতের আমলকে কেন ছেড়ে দেয়া? মনে রাখতে হবে এক একটা ছোটছোট নেক আমলও আখেরাতের জীবনের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ যেমন গুরুত্বপূর্ণ একজন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের কাছে প্রত্যেকটি এক এক নাম্বারের প্রশ্ন-উত্তর। কোন আদর্শ শিক্ষক যেমন তার ছাত্রকে বড়ছোট সব প্রশ্নের উত্তর করতে বলেন তেমনি একজন দ্বীনদার আলেমও মুমিনদেরকে ছোটবড় সব নেক কাজের অনুশীলন অব্যাহত রাখতে বলেন। এক নাম্বারের জন্য যেমন কাঙ্খিত ফলাফলে ব্যর্থতা আসতে পারে তেমনে সামান্য নেকির জন্যও হাশরের ময়দানে ধরা খাওয়ার সম্ভবনা থাকে। তাই নেক কাজ করার যে কোন সুযোগকে কাজে লাগানোই হলো বুদ্ধিমানের কাজ।
ছবি: নেট দুনীয়া থেকে সংগ্রহকৃত।
সময়কে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। সময়ের মূল্য কি, কেমন হতে পারে? এই প্রশ্ন করা সহজ কিন্তু বুঝানো বা উত্তর দেয়া সহজ নয়। কিছু প্রশ্নের উত্তর এর মর্ম হলো বুঝার সাথে বুঝানোর সাথে নয়। এই প্রশ্নের উত্তর তার কাছে খুঁজুন, যে শীক্ষার্থী মাত্র এক নাম্বারের জন্য পরীক্ষায় ফেল করেছে, তার কাছে এর উত্তর খুঁজুন, যে ব্যক্তি এই মাত্র দুনীয়ার মায়া ত্যাগ করে চলে গিয়েছে। যৌবনের যে অংশ চলে গিয়েছে হাজার কোটি টাকা দিয়েও কি তাকে আগের মতো করে পাওয়া সম্ভব, যে সেজদা দেয়ার মুহুর্তটুকু চলে গিয়েছে তাকে কি জীবন দিয়েও ফেরত আনা সম্ভব? কখনো নয়, কোনভাবেই নয়। সময়ের মূল্য বুঝে থাকলে সময়কে যথাযথভাবে কাজে লাগানোই হবে সফলতার কাজ-সাফলকামের কাজ।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:১২