somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মোঃ খুরশীদ আলম
যারা ইমান আনে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ ( আল কুরআন)“সত্য ও সুন্দরকে ভালবাসি, অন্যায়- অবহেলা দেখলে খারাপ লাগে, তাই ক্ষদ্র এ প্রয়াস “

শারিরীক দূরুত্ব মসজিদেই মানা হচ্ছে- অন্য কোথাও নয়

২১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
শারিরীক দূরুত্ব মসজিদেই মানা হচ্ছে- অন্য কোথাও নয়




মহামারি কোভিড-19 থেকে হেফাজত থাকার যে কয়টি ব্যক্তিগত চেষ্টারকথা বলা হয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম হলো-
নিরাপদ শারিরীক দূরুত্ব বজায় রাখা;
কমপক্ষে 3 ফুট দূরে অবস্থান;
সর্বাবস্থায় মুখে মাস্ক পরিধান করা;
হ্যান্ড সেনিটাইজার ব্যবহার করা’
সাবান পানি দিয়ে ঘনঘন হাত ধৌত করা’
অসুস্থ ব্যক্তির সংস্পর্শে না আসা বা না থাকা ইত্যাদি।

প্রাথমিক অবস্থায় দেশের বিভিন্ন স্থান লকডাউন করাসহ সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি, আপামর জনসাধারণকে সচেতন করা, খেটে খাওয়া মানুষের জন্য ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ত্রান সহযোগিতা অব্যাহত ছিল। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহ বন্ধ ঘোষণা ও প্রণোদনা দানের মাধ্যমে ক্ষতিপুরণের জন্য দায়িত্বশীল মহল সাধ্যমত চেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলেন এবং রাখছেন।

প্রথম কয়েকমাস ঘর বন্ধি থেকে এক রকম দুর্ভোগ সহ্য করছিলাম। নিষেধাজ্ঞার কারণে পাঁচ ওয়াক্ত নামায (রমযান সহ) ঘরের ভিতরেই পালন করেছিলাম। সাপ্তাহে একদিন বাজারে গিয়ে পুরো সাপ্তাহের বাজার করে আসা হতো। এটাও ছিল একরকম দুর্বিসহ অনুভূতি। কিন্তু গত 31 মে হতে সরকারি নির্দেশনায় কর্মস্থলে উপস্থিতি অব্যাহত রাখতে গিয়ে নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলাম। হাটে-বাজারে-দোকানে, পথে-প্রান্তরে কোথাও মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরুত্ব-মসজিদ ছাড়া। কেন? শুধু মসজিদে কেন সামাজিক দূরুত্ব মানা হচ্ছে আর অন্যন্য জায়গায় নয় কেন?

মসজিদে কোন একজন ব্যক্তি একটু খক খক করে কেশে উঠলে অন্যান্য মুসল্লিরা তার দিকে সন্দেহের নজরে তাকায়, পাশাপাশি দূরুত্ব তিন ফুটেরও বেশি, এক কাতার থেকে অপর কাতারের ফাকা বিস্তর (মাঝখানে এক কাতার ফাঁকা), সকলের মুখ মাস্ক পড়া, ঈমাম সাহেব জামাত শুরুর পারম্ভে বলে দিচ্ছেন- “ কাতার সোজা করুন, গিড়ার নিচে লুঙ্গি-পায়জামা থাকলে উঠিয়ে পড়ুন, মোবাইল ফোন বন্ধ রাখুন, মুখে মাস্ক পরিধান করুন, দূরুত্ব বজায় রেখে কাতার বন্দি হোন।” মসজিদের প্রবেশ মুখে স্যানিটাইজার স্প্রে করার ব্যবস্থা ও অজুখানায় হাত ধৌত করার জন্য সাবানের ব্যবস্থা করা আছে প্রত্যেক মসজিদে। সেখানে মুসল্লিরা সাধ্যমতো সর্বোচ্চ সতর্কতা ও শারিরীক দূরুত্ব বজায় রেখে ইবাদত করছে।

পক্ষান্তরে হাটে-বাজারে-দোকানে, অফিসে-কর্মস্থলে কোথাও মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরুত্ব। শারিরীক দূরুত্ব বজায় রেখে, সর্বোচ্চ সতর্কতা ও কঠোর নিয়মের মধ্যে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আদালত চালানোর কথা বলা হলেও আদালত পাড়ায় বিজ্ঞ আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না তার প্রতিফলন। কিছু কিছু বিজ্ঞ আইনজীবী ভার্চুয়াল পদ্ধতির পরিবর্তে একচ্যুয়াল পদ্ধতির পুনরায় চালু দাবি করেছেন। আইন পেশায় ধ্বস ও বিচার প্রার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবের যৌক্তিকতা দেখিয়ে তাদের এই দাবী। দোকানদারদের মাঝে নেই নিয়ম মানার কোন তাড়া। এসুযোগে পরিচ্ছন্নতা সামগ্রীর দাম দ্বিগুণ বা তারো বেশি নিয়ে ব্যবসায় রমরমা পজিশন করে নিচ্ছেন চিকিৎসার সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গ । চিকিৎসক যাদের চিনতাম তাদের কেউ এখন চেম্বার পর্যন্ত করছেন না। সাধারণ সমস্যা নিয়ে ডিসপেন্সারিতে কেউ রক্তচাপ মাপতে আসলে তার রক্তচাপ পর্যন্ত মেপে দেওয়া হচ্ছে না। মনে হয় করোনা সাথে সাথে খেয়ে ফেলবে। মরণের ভয়ে চিকিৎকরা মোবাইল ফোনও বন্ধ রাখছেন। আর যারা চিকিৎসা করছেন তাদের কেউ কেউ রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে মিথ্যা রিপোর্টের রমরমা ব্যবসা জুড়ে দিয়েছেন। বাধ্য হয়ে ডিসপেন্সারি হতে ঔষধ কিনে নিয়ে সেবন করতে হচ্ছে। এঅবস্থা শুধু আমার নয়-আপনাদেরও। অনিশ্চিত যাত্রাপথে আমাদের ভূখন্ড। সর্বত্র হাহাকার, ত্রাহিনাহি অবস্থা অর্থনীতির। যেসময় কায়মোন বাক্যে আল্লাহর কাছে ক্ষমা আর পরিস্থিতি হতে উত্তোরনের রাস্তা প্রার্থনা করা উচিত সেসময় কেউ কেউ মানুষের জীবন নিয়ে লুডু খেলছে। অভিসাপ দেওয়া রাসুলের স: সুন্নত নয়। নাহলে তাই দিতাম।


সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২৭
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×