চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি এটা ছাত্র ছাত্রীদের/ চাকরি প্রার্থীদের অধিকার তবুও দেওয়া হচ্ছে না। সরকার ভোটের সময় ঠিকই এই ছাত্র ছাত্রীদের থেকে ভোটের অধিকার নিয়ে সরকার গঠন করে। ছাত্র ছাত্রীদের বাবা মা থেকে ভোট নিয়ে সরকার গঠন করে।
ছাত্র ছাত্রীদের/ চাকরি প্রার্থীদের/ অধিকার চাইতে গেলে নীতিমালা সাথে সমস্যা হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে নাম নীতিমালা কিছুদিন আগে ব্যাংক এর নাম পি এলসি করছে। জনগণের অধিকার চাইতে গেলে নীতিমালা সমস্যা হচ্ছে...! আমরা ভোট দেওয়ার সময় কোন অজুহাত দেখাই না। ছাত্র-ছাত্রীদের অধিকার নিয়ে দেশের প্রতি মানুষের প্রতি এরকম আচরণ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ চেতনার । আমার প্রশ্ন হচ্ছে বঙ্গবন্ধু থাকলে তিনি কি উত্তর দিতেন? তিনি তো সবার থেকে আলাদা, প্রকৃত মানুষ।
যেই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নির্দিষ্ট রুলে চলছে না, সবাই জানেন প্রথমে তৈরি করছে কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন এটা দিয়ে চালিয়ে দিয়েছিলেন। হঠাৎ কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন নাম পরিবর্তন করে হয়েছে সৃজনশীল। হয়ে গেছে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা। এই সৃজনশীল পদ্ধতি শিক্ষকেরাও ঠিক মত সাইন্স কমার্স গণিতর বিষয়ের উপর ভালো করে বুঝতে পারতেন না। শিক্ষার্থীদের বললেন, দেও পরীক্ষা। পরবর্তীতে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের আমলে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক প্রশ্ন উত্তর না মিলাতে পেরে শুরু হলো প্রশ্ন ফাঁস।সৃজনশীল চালু করেন , শিক্ষকের দক্ষতা তার উপরে কতটুকু সেটা কি আপনার বোঝার ক্ষমতা আছে?
শিক্ষক কে সৃজনশীলের উপর প্রশিক্ষণ দিয়ে তারপর চালু করতেন। সাইন্স এর সৃজনশীলের উপর দক্ষতা অর্জন একজন গবেষক এবং বিজ্ঞানীর সমতুল্য। যেটা যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞান বিষয়ক পড়াশোনা । যুক্তরাষ্ট্র সাথে বাংলাদেশের শিক্ষকের দক্ষতা বিচার কেমন চলছে। যদি দক্ষতা থাকতে আমাদের দেশে বিজ্ঞানের আবিষ্কার অভাব হতো না। দক্ষতা ছাড়াই শিক্ষার্থীদের উপর চাপিয়ে দিলেন সৃজনশীল।
অনেক ক্ষেত্রে নীতিমালা এগুলো হুটহাট পরিবর্তন করে এতে সমস্যা নাই। চাকরি প্রার্থীদের ৩৫ এর নীতিমালা সমস্যা হচ্ছে। উন্নত দেশে ৩৫ চাকরি বয়সসীমা আছে। এই দেশে এমপি মন্ত্রীদের মনোনয়ন পত্র দাখিল বয়সসীমা আছে এটার শেষ নেই। ছাত্র ছাত্রীদের সনদের বয়স সীমা আছে।
এই দেশে কেউ যদি উচ্চ পর্যায়ের চলে যায়, নীচের আন্দোলন এবং অধিকার গুলো তুচ্ছতাচ্ছিল্য মনে হয়। যারা এখন মন্ত্রী এমপি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী তিনিও যদি ছাত্র ছাত্রী থাকতো তাহলে তারাও এই ৩৫ এর আন্দোলন এর জন্য মিছিল বের করতেন।
ঐ যে পুলিশ লাঠিচার্জ করে, তাদের ও যদি চাকরি না হতো এই ৩৫ আন্দোলন সাথে যুক্ত হতো...
এই দেশে চাকরি বাকরি কারো জন্য কঠিন কারো জন্য সিস্টেমে পেয়ে যায়, উদাহরণ গত ২৩ সালের তৃতীয় ধাপে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা জালিয়াতি হয়- প্রশ্ন ফাঁস হয় পরীক্ষা রাতে, ডিবি তদন্ত করে পেয়েছে, সে খবর শিক্ষা অধিদপ্তর জানছে তারপরও পরীক্ষা বাতিল হয়নি। এই পরীক্ষা সম্পন্ন করছে এখন নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রাখছে...
কোটা সুপারিশ বৈষম্য তো আছেই-
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কতটা মিল আছে এখানে?
এ আন্দোলনের মুখে, এই দুর্নীতি মুখে, অনিয়মের মুখে, বঙ্গবন্ধু আজ বেঁচে থাকলে তিনি কি করতেন?