মিলন মালা,তারা একে অপরকে ভালবাসে,সহজে বিয়ে করার ব্যতিক্রমী কৌশল প্রয়োগ করে ফেঁসে গিয়েছিল।একজন সেভ হোমে বসবাস করতো অন্যজন জেলখানার বাসিন্দা আমি কোর্ট ব্যারাকে থাকতাম ।
তখন থেকেই আমাদের পরিচয় ।
আমরা তিনজন তিনজাতের একজন ভিকটিম একজন আসামী আরেকজন কি ওরা দুজনেই জানে;অসম সম্পর্কই বলা যায় ।
চেঙ্গি ও মাছালং এ দু'টি খাগড়াছড়ি জেলার নদ ও নদী,বয়সের দোষে নদনদীর মতই মিশে গিয়েছিল তারা;অবশ্য খেসারত দিয়ে আল্লাহর আরশ দেখার সুযোগ হয়েছে তাদের তারা দুজনেই এখন মুক্ত ।
ভিকটিম আসামীর সম্পর্ক বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার পরপরই তাদের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক গড়ে উঠছে প্রায় মাস ছয়েক আগে ।
তাঁরা প্রমোদভ্রমণ করতে এসেছিল সিলেটে।চলে যাওয়ার আগে কিশোরগঞ্জের মেন্দিপুর দেখার শখ।আমি এখন যেখানে থাকি সেখানে ধলেশ্বরী কাইঞ্জা মেঘনা এই তিননদীর মিলনস্থল আছে এখানথেকে মেন্দিপুর খুব বেশি দূরে নয় তবে মেন্দিপুর যেতে হয় নদী পথেই ।
আমি এখন নদীর তীরের বাসিন্দা চা আড্ডা ঘোরাফেরা সবকিছু এখন নদীর ধারেই,কিছুদিন আগে বিকেল বেলায় মিজান ভাইয়ের চায়ের দোকানে চা খাচ্ছি হঠাৎ একটি মিহিন কন্ঠ শুনতে পেলাম “ঐ দেখো আমরার সিলেটি ভাই” ।
আমার স্মরণ শক্তি অনেকটাই দুর্বল তবে তাদেরকে চিনতে একটুও বিলম্ব হয়নি ।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫৫