প্রচন্ড বৃষ্টি কারেন্ট নেই।সবাই চার্জার লাইট খুঁজতে ব্যাস্ত।নিজেদের রুমে বসে কাজ করছে।
আর এক পাগলি মেয়ে নিচে বৃষ্টিতে বসে ব্যাঙ এর লাফানো পর্যবেক্ষণ করছিল।শুধু তাতেই ক্ষান্ত হয়নি সে।লাফিয়ে লাফিয়ে ব্যাঙের সাথে দৌড় প্রতিযোগিতা থুক্কু লাফানো প্রতিযোগিতায় মেতে উঠে।কিন্তু একটু পর ব্যাঙটা হারিয়ে যায়।তাই এবার সে জোনাকি পোকার পিছনে দৌড়ানো শুরু করে।এক পর্যায়ে সে জোনাকির আলোকে নিজের মুঠোয় বন্দী করতে সক্ষম হয়... :-D
জোনাকের নিভু নিভু সবুজ আলো মুগ্ধ হয়ে দেখে সে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে..
এরপর বিদ্যুৎ আসার পর ঊড়াধুড়া পাগল মেয়েটা নিজের রুমে প্রত্যাবর্তন করে
এরপর সে সবার রুমে গিয়ে গিয়ে নিজের ব্যাঙের সাথে তিড়িং বিড়িং লাফানোর প্রতিযোগিতার কথা সবাইকে জানায়।
সবাই বলে মনে এত রং কেন!!
মেয়েটা ওদিকে কর্ণপাত না করে এর মাঝে একটা আস্ত কবিতার বইও সে পড়ে শেষ করে ফেলে। বৃষ্টির দিনে মেয়েটার কবিতা পড়তে খারাপ লাগে না... ;-)
আর একজন তার প্রশংসা করায় সে জোড় করে ঐ মেয়ের হাতে নিজের অটোগ্রাফ ও দিয়ে এসেছে আবার :-D
মেয়েটা আসকেই পাগল... এক্কেবারে ভূতের বাচ্চা.. :-D
বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে নেচে এসেছে সে.. বড্ড পাগল সে.. বড্ড পাগল
সে পাগল কারণ সে যান্ত্রিক জীবনের ধূসর রংকে বৃষ্টিতে ধুয়ে দিতে চাইছিল।
সে পাগল কারণ সে এই আঁধার রাতেও বৃষ্টির ফোঁটায় রংধনুর রং খুঁজতে চেষ্টা করছিল...
মেয়েটা বড়ই পাগল.. কারণ মানুষ নামের যন্ত্রটা আসলেই মানুষ হতে চাইছিল.. maturity কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বাচ্চা হয়ে যেতে চাইছিল... :-)
আমি আসলেই পাগল ভূতের বাচ্চা... আসলেই
:-D
বিঃদ্রঃ আসলেই মনে রং লেগেছিল :v
তাই তো এত্ত পাগলামি করলাম :-D
-২১/৮/১৪ তারিখের ঘটনা রাত সাড়ে ৯ টার পর :-D