somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লা ল রা সা (গল্প)

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভোর বলো । কুয়াশা কাটছে সে সময় আজ অন্যমনস্ক হাটছে মঃি সুসবরু । নামরে প্রথমইে মঃি শুনতে বশে লাগে তার । তার নামরে র্পূবে মঃি কবে যোগ হয়ছে,েকভিাব,ে তা সে জানে না। এই ব্যপারে তার জানার আগ্রহ আছে কনিা তাও তার জানা নইে ।
সুসবরু আজ এই কুয়াশাময় ভোরে এটাই ভাবছলি।
হটাৎ সে টরে পলে সাইকলেরে হন্ডেলেরে ঠান্ডা লোহা আর বলেরে নাটরে ধাক্কা। ( এরকম এক্সডিন্টেে কউে মরনো। ) সওে সামলে নলি । একবার তাকাল । তারপর মুখ নচিু করে বলল
- Ñ মি ঃ সাইকলে ।
নজিওে একটু হসেে উঠল স।ে

মঃি হঠাৎ আবার একটু থামলো। মুর্হুতখানকে । তারপর রাস্তা বদলাল বায়ে । উচু রাস্তা বয়েে ছোট একটি শাখা আল পথ চলে গছেে বরিাট মাঠরে দকি।ে সুসবরু আলপথ ধরলো। ধান কাটা শষে । ন্যাড়া মাঠ শীতে কাঁপছ।ে সুসবরুর পার হওয়া বছর দশ কি বশি । ধান কটেে নয়িে লাড়া রখেে যতে কৃষক,পরদনি লাল,কালো ,সাদা গরু ছাগলরে মলো বসত মাঠ।ে আলরে উপর টুনবিগ,গরু বগরে লাইন পড়ে যতে। তারা ছলি অবাক।

এই যে আলটা, সরু, মাঝে মাঝইে মোহন কাটা। সুসবরু হোচট খয়েইে থামলো। কে বঁেধছেলি এই আল ,কোন বরষায়।? তার মাথায় কি ঝাপি ছলি ? বা কলা পাতা ? চারটা আলরে মাথায় সুসবরু আবার দাঁড়ালো। যে আল টা উত্তরে চলে গছেএেকবার তাকালো সদেকি।ে সমতল দৃষ্টি আলরে মাথার উপরদয়িে এসে থমেে গলে। কুয়াশা । কছিু দখো যায়না। অনুভব করা যায় অনকে দুরে একটা পাহাড়রে চুড়া।
আরো কয়কে সকেন্ডে সে চোখ মলেে তাকয়িে থাকলো। ঘন কুয়াশা। কাটাতাঁর। দাদার কোলে বসে এপারে এসছেলিো বাবা । তখন খোলামলো ছলি সীমান্ত।

সুসবরুর পা কাঁপছ।ে একটা বড় শ্বাস বুকটা সামান্য হালকা করে দলি। কনে এমন হয়ছেলি ? বনিমিয়। তারপর ভ’মি রর্কেড । ছড়ো পোড়া দললিে কোথাও দু’ভাইয়রে নাম। কোথাও শুধইু তার চাচার বাবা । সমান হব।ে সুসবরুর হাটার স্পডি একটু বড়েে গলে। সইে যাওয়া আসার ঘটনা ও চরত্রিগুলো দয়িগেছেে মন খারাপ করে বাড়ি ফরোর অস্থরিতা,জগেে থাকা, আগুন জ্বালানো, পটোনো, আর মার খাওয়া, চাচাত ভাইদরে মার। একটার পর একটা মার। মামলা, র্কোট,পুলশি , সালশি। রক্ত। শুধু খুন হয়নি কখনো।

সুসবরু হঠাৎ দাঁড়য়িে পড়লো। পছেন ফরিে তাকালো। কছিুই দখো যায়না,কুয়াশা। সবাই ঘুময়িে অথবা কাঁথা বালশিরে মোলায়মে উষ্ণতা মখেে চোখ বন্ধ করে অপক্ষো করছে র্সুয়রে আলো ও উত্তাপরে। আযান হয়ন।ি একটা মোড়গ ডাকল কোথাও । সুসবরু হাটা শুরু করলো। তাদরে কউে শক্ষিতি নয়। চাচাত ভাইরাও না। দু-দলকইে লডি করে পাশরে গ্রামরে র্বতমান সাবকে দুই মম্বোর। বাবা লখোপড়া শখোবে বলে অনকে গুলো ছলেমেয়েরে মধ্যে তাকইে পোষাণী দয়িছেলি। ঢাকার টঙ্গতিে ১৩ বছর কটেে গছে।ে পোষানি থকেইেে এম এ পাশ করছেে স।ে

পায়রে সাথে সাথে শরীরটাও কাঁপছে সুসবরুর। আলটা এখানে বাঁয়ে বাঁক নয়িে আবার ডানে পশ্চমিে চলে গয়িছে।ে তাদরে পাশে কউে ছলিনা। মামা,ফুপা,খালু। একদনি কাছইে মামার বাড়তি,ে সদ্য গড়া মাটরি প্রলপে নপো ধাপে বসে লাল রঙ্গরে রাসা শাক দয়িে ভাত খাচ্ছলিো স।ে মুলত কচুর মুড়া দয়িে বানানো শাক । মনে হচ্ছলি থমেে যাওয়া গাঢ় লাল রক্তরে এক বাটি স্যুপ। সুসবরুর জভিে পানি এল। হঠাৎ খবর এসছেলি চাচাত বড় ভাই তার বাবাকে পুকুরে ফলেে দয়িছে।ে তখনো লাল রাসা তার মুখে লগেে আছ।ে এক নঃিশ্বাসে বাড়ি গয়িে দখেলো পুকুররে ধারে ভজো কাপড়ে বাবা শুয়ে আছনে। ঐপারে চচাত ভাই বোন, ও স্ত্রীরা,এপারে সুসবরুদরে সবাই। আশ্রাব্য গালাগালি চলছ।ে সুসবরু সদেনি অনকে ছোট ছলি। কন্তিু টঙ্গরি জীবন প্রবাহকিায় বাবার পুকুরে ফলেে দয়োর ঘটনাটি প্রতদিনিই তার জীবনে নতুন ঘটনা যোগ করছে।ে

২/৩ টা আযান ভসেে এল। সুসবরু হাটার স্পডি আরকেটু বাড়ালো। গত কয়কেদনি খুব কুয়াশা পড়ছে।ে সন্ধরে আগইে পৃথবিী সাদা চাদর মুড়ি দয়ে। দুপুররে আগে কুয়াশা ফরিে যায়না। ভাল হয়ছে।ে গতকাল সন্ধা রাতে একা অপক্ষোর সময় কউে তাকে দখেতে পায়ন।ি ঘনকুয়াশায় সবাই বাড়তিে । রাস্তায় বরে হয়নি কউে। হাতরে খুট টা পন্টেরে পকটেে ঢুকয়িছেলি। বাশরে খুট। খুব শক্ত। অনকেগুলো গরু ছলি তাদরে । পাটরে দড়ি বাশরে খুটে বাধা থাকত। সন্ধবেলোয় গোয়ালে গরু ঢুকয়িে দড়গিুলো ঝুলে থাকত চালঘররে বারান্দায়। একদনি সকাল বলো একটি দড়ি হারয়িে যায় বলে বাবার চৎিকারে ঘুম ভাঙ্গে তার। তারপর অনকে চচোঁমচে।ি মনে হয় গ্রামরে সবাই একসাথে চৎিকার করে উঠ।ে সুসবরু লাফ দয়িে বছিানা ছাড়ে । পাশরে বাড়রি রমছিা আমগাছরে ডালে নজিরে গলায় ফাঁসি দয়ে। বাবা তার গরুর দড়ি খুঁজে পায়। রমছিার ঝুলে থাকা লাশরে দকিে সবাই তাকয়িে থাক।ে ভাবলশেহীন। রমছিার এভাবে মরে যাওয়াটা ভাল হয়ছেে নাকি হয়নি কছিুই বোঝা যায়না কারো দৃষ্টতি।ে অনকেইে ফসিফসি করছে কষ্টপাওয়ার থকেে চলে যাওয়াই ভাল হয়ছে।ে রমছিার দুই পায়ে বান মরেছেলি। পায়রে জ্বালা পোড়ায় সে শুধু চৎিকার করত। সুসবরু তখন অনকে বুঝতে শখিছে।ে এই ঘনকুয়াশায় রমছিার চৎিকার তার কানে ভসেে আসে । যে গাছে রমছিা ঝুলছেলি, কছিুদনি পড়ইে সটেি কটেে ফলো হয়। রমছিার চৎিকার কানে ভাস।ে আর্শ্চয ! গলায় দড়ি দয়োর সময় রমছিা কি চৎিকার করনে?ি সাইকলেরে বলে বজেে উঠ।ে মাত্র কয়কেহাত দুরে । সুসবরু প্যান্টরে পকটেে হাত দয়ে। সাইকলেরে দকিে তাকায়। পরচিতি। চনো সাদা চাদর । সুসবরু ডাক দয়ে -

-সোহরাব ভাই !
সাইকলে থাম।ে লোকটি বল-ে
-করিে তুই এইঠে কি করছসি।

সুসবরু হঠাৎ থমেেে যায়। আলরে শষে প্রান্তে কখন সে পৗেঁছে গছেে বুঝতে পারনে।ি একটা বাঁশরে থোপ, কছিু ঝাড় জ্ঙ্গল । চার পাশে যতদুর চোখ যায় ঝোপটা ছাড়া কোন গাছ পালা নইে এই মাঠ।ে ছোট জঙ্গল । গ্রামরে সবাই এটাকে জঙ্গল বলইে জান।ে সবাই জানে এই ঝোপটি অনকে কাল আগরে। গ্রামরে সবার বশ্বিাস এই জঙ্গলে অনকে গায়বেি সম্পদ আছ।ে আর সইে সম্পদরে প্রহরায় আছে কয়কেটি কাটামকর। শনবিার ও মঙ্গলবার সম্পদগুলো উপরে উঠে আস।ে অনকেইে গোপনে চষ্টো তদবরিও করছেনে । মংলু চোর একবার এই সম্পদ পাওয়ার আশায় কবর থকেে কাফন চুড়ি করছেলি। তার কয়কেবছর পরে মংলু মারা গলেে জানাযায় ফশিফশি শোনা যায়-

-মকরদানরে কাটা মকর মংলু কে নয়িে গলে।
সুসবরু ময়না কাটার ঝোপটাকে পাশে ঠলেে মকরদান জঙ্গলরে ভতেরে ঢুকল। ছোট ছোট ভাটগিাছ সরয়িে জঙ্গলরে একবোরে মধ্যখানে এসে থামল। এই যায়গাটা একবোরে শুকনা ঠনঠন।ে ছোটবলোয় দুএকবার এই জঙ্গলরে ভতেরে ঢুকছেলি সুসবরু ও নংেটা বন্ধুরা। এই ঠনঠনে যায়গাটা দখেে তাদরে ভয় করত। বশেক্ষিন থাকতনা। লোকে দখেে ফলেলে গালি দতি । তারপর ময়নার ফল পরেে দৌড় দতি সবাই। এই জায়গাটার নচিে আসলইে সম্পদ ধরা পড়ছে।ে জঙ্গলরে আশে পাশরে জমতিে চকে করা হয়ছে।ে ভ’মরি ভতেরে অনকে পাথর।

সুসবরু চাদরটা খুঁজে পলে। সব পোতা গছেে শুধু চাদরটা বাকি ছলি। শুকয়িে গছেে রক্ত । লাল রাসা শাকরে কথা মনে পড়ল সুসবুরুর। জ্হবিায় হালকা পানি এল। দুহাত দয়িে মাটি সরাতে লাগল সুসবরু। চাচাত বড়ভাই এর একমাত্র সাদা চাদর। শুকনো রক্তে লাল। পুতে ফলেতে হবে তাড়াতাড়।ি আগইে ঠকি করে রখেছেলি সে গলার ঠকি নচি,েবামদকি,েঘাড়রে একটু উপরে খুটটি ঢুকাতে হব।ে সুসবরু সাইকলে থামানোর আগইে খুট টা শক্ত করে হাতে ধরছেলি। কাঁপছলি স।ে সোহরাবরে কথায় সম্বতি ফরিে পয়েছেলি। তারপর বলছেলি-
-তোর জন্যই এইঠে আছু । আইজ তোর শষে দনি বলইে খুটটা ঢুকয়িছেলি সোহরাবরে ঘারে । তারপর সাদা চাদর পঁেচয়িে টনেে নয়িে এসছেলি মকরদান জঙ্গল।ে এখানইে পুতছেলি। চাদরটা পোতার কথা মনে ছলিনা।
্এখনো টরে পায়নকিউে । সুসবরু আজই চলে যাবে টঙ্গ।ি
সে জানে বার কি চৌদ্দ বছররে জলে হবে তার অথবা নাও হতে পার।ে




০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×