আমাদের অফিসে একটা মেয়ে আসছে।মেয়েটা দেখতে অসাধারন।যদিও বোরকা পরে তবু বোঝা যায়। আর তার হাটার ভঙ্গী সবচাইতে সুন্দর এবং মোহনী্য। আমার টেবিলের পাচটা টেবিল পরেই বসে। এই মেয়ে আসার পর থেকে আমাদের অফিসের চেহারা একেবারে পাল্টে গেছে। সবাই খুব হাসি খুশি ভাবে কথা বলে।বসের ও দেখি আর সেই খিটখিট মেজাজ নাই। যেই বস আমাদের উঠতে বসতে পেদায় সেই বস কি মিষ্টিমিষ্টি কথা বলে হা হা হি হি করে।
আর হবেই বা না কেন।এত সুন্দর মেয়ে মনে হয় যেন স্বর্গ থেকে কোন হুর নেমে এসেছে। এত সুন্দর চেহারা মনে হয় সদ্য ফোটা গোলাপ। আর নামটাও কি সুন্দর অনু।মনে মনে বললাম এই রকম একটা মেয়ে যদি বউ হিসাবে পেতাম।
একদিন অফিস শেষে বাহিরে বের হব দেখলাম অনু বাহিরে দাড়িয়ে আছে। আজকে তাকে এত সুন্দর লাগতে ছিল যে বলে বুঝাতে পারব না। সে ব্রাউন কালারের একটা বোরকা পরে আসছে। আমার এক মূহূতের জন্য মনে হল এই রকম সুন্দরী মেয়ে আমি জীবনেও দেখি নাই। আমার পা অটোমেটিক তার দিকে হাটতে লাগল। আমি তার কাছে গিয়ে বললাম
- আপনি সবসময় এই কালারের বোরকা পরবেন।
মেয়েটা খানিকটা হতবম্ব হয়ে গেল। বলল
-জ্বী!
-না আপনাকে প্রতিদিন দেখি ত। আপনি গত সাত দিনে চারটা বোরকা পরে আসছেন কালো,হালকা সবুজ,গোলাপি আর ব্রাউন কালার। এর মধ্যে এই বোরকাটা আপনাকে অনেক বেশি সুন্দর লাগে।
মেয়েটা তার হতবম্ব ভাবটা অনেকটা কাটিয়ে উঠেছে। বলল
- তার মানে কি?
বললাম - এই কালারের বোরকা আপনাকে মানায়। আর এই কালারের বোরকা আমারও খুব পছন্দের।
মেয়েটা বলল- আমি আপনার পছন্দের বোরকা পড়তে যাব কেন?
আমি ভাবলাম তাই ত ও আমার পছন্দের জিনিস পড়তে যাবে কেন?
বললাম -কারন আপনাকে এটা তে ভাললাগে তাই আর ................
কিছু না বলে ওখান থেকে চলে এলাম। আমি যখন গাড়ীতে উঠলাম দেখলাম মেয়েটা অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
বাসায় এসে ভাবনায় পড়ে গেলাম। কাজটা কি ঠিক করলাম। বসের কাছে যদি বলে তাহলে আমার বারোটা বাজাবে। আর বসেরও দেখছি মেয়েটার প্রতি একটা দুবলতা আসে।তাইলে ত আমারে চাকরী থাইকা নট করে দিবে।
ভাবতে ভাবতে পরদিন অফিসে গেলাম। অফিসে ঠিক ভাবে মন বসাতে পারলাম না। না বস ডাকেনি আর এই ব্যাপারে কিছু বলেনি।এই সময় সামুটা একটু দেখতেসি। সামনে তাকাইয়া দেখি অনু আমার সামনে বসা। আমি ত হতবম্ব কি বলব।
-লান্স করবেন না। স্বাভাবিক ভাবে বলল।
-জ্বী করব।
-হাসান সাহেব শুনুন।
আমার ত ভাই যায় যায় অবস্তা।কোন রকমে বললাম
-জ্বী বলেন।
-আপনি কি পোষাকের ব্যাপারে সবাইকে অ্যাডভাইস দেন নাকি।
- না মানে....আসলে আমি .............
-হ্যা আপনি। শেষ করুন..........।
আরে এত দেখি বাঘীনি
-না আসলে ঐ দিন আপনাকে খুব সুন্দর লাগছিল। আসলে আমার এইটা.........।
-তার মানে আজকে আমাকে সুন্দর লাগছে না।
- না আসলে আমার এইটা করা উচিত হয়নি।
-ও বুজতে পেরেছেন তা হলে।
মেয়েটার অন্তবেদী দৃষ্টীর একেবারে ভীতর পযন্ত দেখতে চায়। কোন রকমে বললাম
-জ্বী আমার একটু বাইরে কাজ ছিল.......
-লান্স করবেন না।
-না পরে করব।কাজটা শেষ করে আসি।
-ওকে
আমি কোন রকমে ঐখান থেকে পলাইলাম।
(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১২:৫৯