বিএনপি জন্ম নিয়েছিল পাকিস্তানী ছত্রছায়াতে। খুনি রাজাকারদের দেশপরিচালনার দায়িত্ব প্রদানের মাধ্যমে। তারা রাজাকার ও ৭৫এর খুনিদের পুনঃবাসনকারী। এগুলো ধ্রুব সত্য এবং মুখস্ত বিষয়। সবার জানা। কিন্তু এতদিন যে বিষয় অজানা ছিল তা আজকের ডেইলি ষ্টার পত্রিকা পড়ে জানা হয়ে গেল। আর তা হল "বিএনপির চোখে মুস্তাকই হল national hero!" তার মৃত্যুর বহু বছর পর খালেদার জামানায়তে সংসদে খন্দকার মুস্তাক আহম্মেদের জন্য শোক প্রস্তাব পাশ হয়ে। তাকে জাতির বীর উপাধিতে ভূষিত করা হয়! তিনি নাকি অভিজ্ঞ সাংসদ এবং দূরদর্শী রাজনৈতিক! তার অবদান অতুলনীয়।
হ্যাঁ বিএনপি নামক দলের গঠনের ধারাবাহিকতার জন্য, পাকিস্তানের মঞ্জিলে-মকসুদ প্রতিষ্ঠারর জন্য জিয়া ও মুস্তাকের তুলনা অপরিসীম। কিন্ত খালেদারা এটা কি করে ভুলে গিয়েছিলেন যে মুস্তাক একটি পিতৃহত্যার নায়ক!? জাতির সাথে ছলনাকারী, মীর্জাফররের নাম হল মুস্তাক।
তার জন্য এই মায়াকান্না দেখে মনে পড়ে তার স্বামী জিয়া যোগ্য উত্তরসূরি তিনি। জিয়া যেমন খুনিদের নিয়ে দল গঠন করেন, রাজাকারদের দিয়ে সংসদ পরিপূর্ণ করেন, পাকিস্তান থেকে রাজাকারদের ডেকে এনে এনে মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী করেন। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিশেষ বিমানে বিদেশে পাঠান, যেমন করে মুক্তিফৌজ আর সৈনিকদের ফাঁসি দেন, তেমনি করে খালেদাও অপকর্ম করে চলেছেন একের পর এক।
বেগম জিয়া কোম অপরাধ করেননি! তার স্বামী যদি জাতির জন্য মীর্যাফর হিসেবে চিহ্নিত হোন তবে খালেদাও হলেন ঘসেটি বেগম।
মীর্যাফর একা কোন কাজ করতে পারেননা, সাথে ঘষেটি বেগমদেরও সমানে অংশীদারিত্ব থাকে!
আর সেই কাজটি খুব সূক্ষভাবে করে চলেছেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি ১৯৯১ তে রাজাকারকে রাষ্ট্রপতি করেছেন, ২০০১ সাল থেকে অদ্যাবধি রাজাকারের সাথে জোট করে ক্ষমতা সুখদুঃখ ভাগাভাগি করে আছেন। সাম্প্রদায়িকতা নিরুপন করে চলেছেন। শুধু এটুকু হলেই কথা কোম ছিল, তাদের আবার মন্ত্রীত্ব দিয়ে পতাকা দিয়েছেন হাতে।
খালেদা কেন ১৫ আগষ্ট ভুয়া জন্মদিনের নামে কেক কেটে আনন্দ করেন সেটা মনে হয় সবাই বুঝেগেছেন। এরা মুস্তাকের উত্তরসূরি এরা ১৫ আগষ্টকে কেঁক কেটেই স্বাগতম জানাবেন এটাই স্বাভাবিক!