ঘটনা ১ঃ ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ২২ জন নির্বাচিত। এই ২২ জনের মধ্যে ২১ জনের সিটে মহাজোটের আর কোন প্রার্থী ছিলনা। বরিশাল - ৩ আসনে টিপু মহাজোট প্রার্থী জেপির অভিকে হারিয়ে নির্বাচিত হল। বলা চলে সবগুলো আসনেই জাতীয় পার্টি আওয়ামী সমর্থকদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। এসব আসনে নৌকার কোন প্রার্থী থাকলে জাতীয় পার্টি এরশাদের সীটটাও পেত কিনা সন্দেহ আছে।
ঘটনা ২ঃ আওয়ামী সমর্থক ও ক্যাডাররা যেসব আসনে লাঙ্গলের প্রার্থীকে জিতিয়েছে, সেসব আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যেরা বিরোধী দলে যেতে আগ্রহী নয়। জাপার সংসদীয় দলের সভায় সেরকমটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে। দরকার কি বিরোধী দল হয়ে সরকারের ঠ্যাঙ্গানি খাওয়ার? তার চেয়ে সরকারের কাছ থেকে দু একটা মন্ত্রীত্ব বাগাতে পারলে আখেরে সেটাই লাভ। সেদিক বিবেচনা করে এরশাদের ভাই ও বউসহ সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জাতীয় পার্টি সরকারেরই এঁটোকাটা খেয়ে সরকারে থাকবে। অত্যন্ত যৌক্তিক সিদ্ধান্ত!
ঘটনা ৩ঃ এই অনাচার কাগুর সহ্য হলনা। তোমরা সরকারের কোলে বসে মধু খাবা, আর আমি জেলে যাওয়ার ভয়ে সিএমএইচ - সিঙ্গাপুর দৌড় করব, তা হবেনা। পার্টি বানিয়ে কি ঠেকেছি নাকি? তাই সিঙ্গাপুর নিয়ে আমাকে যে ট্রেনিং দেয়া হয়েছে - তার বাইরে আমি যেতে পারব না - তাই জাতীয় পার্টি হবে বিরোধী দল - আর রাঙা মিয়া হবে চাবুক।
বেচারা এরশাদ! না পারে নিজে কোন সিদ্ধান্ত নিতে, না পারে দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রাখতে।
এর আগের চমকঃ সুবর্ণ চরে মহিলা ধর্ষিত হওয়ায় ব্যথিত হয়েছেন ডঃ জাফর ইকবাল
নির্বাচনের পর পর জনৈক আওয়ামী লীগ নেতার ইন্ধনে এক গৃহবধু গণ ধর্ষণের ঘটনায় ব্যথা পেয়েছেন বাংলার অবিসংবাদিত বুদ্ধি ট্যাঙ্ক ডঃ জাফর ইকবাল। তার মনে হয়েছে, ২০০১ সালের নির্বাচনে জেতার পর জামায়াত নেতারা পূর্ণিমা শীলকে যে গণ ধর্ষণ করেছিল, সেটা ছিল খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু আওয়ামী লীগের মত নধর দুগ্ধপোষ্যরা কিভাবে এরকম একটি ঘটনা ঘটাতে পারল? তাদের কি ধর্ষণের কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল? না থাকলে তারা এটা করতে গেল কেন? এটি নাকি আওয়ামী লীগের গৌরব্জনক ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে।
এখন বুঝতে পারছিনা, আমরা কোন ঘটনায় দুঃখ পাব? গণধর্ষণের ঘটনায়, নাকি জাফর ইকবালের ব্যাথা পাবার ঘটনায়?
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৪