somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশুদ্ধতম বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদী।।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তারা বাংলার বুক থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নাম চিরতরে মুছে দিতে চেয়েছিল। পারেনি। যতদিন বাংলা থাকবে, বাংলাদেশ থাকবে জাতির জনকের নাম চির ভাস্বর হয়েই থাকবে। জাতির জনককে অস্বীকার করা এই দেশকেই অস্বীকার করার শামিল। স্বাধীনতাপূর্ব বঙ্গবন্ধু সকল সমালোচনার ঊর্ধে। মনে রাখতে হবে বঙ্গবন্ধুও মানুষ ছিলেন। কেউ ভূল-ত্রুটির ঊর্ধে নয়।

বঙ্গবন্ধু সুশাসন দিতে পারেননি। কিন্তু কেন পারেননি? সেটা আমাদের ভাবতে হবে। স্বদ্ব্য স্বাধীন যুদ্ধবিদ্ধস্ত একটা দেশ। দেশের সম্পদ বলে কিছু নেই। সবার ভাত দরকার, কাপড় দরকার, সবার যোগ্যতা অনুযায়ী চাকুরী দরকার। চারিদিকে হাহাকার। সবার হাতে হাতে অস্ত্র। অভাবের জন্য অহরহ চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, ছিনতাই হচ্ছে। অন্যদিকে মাওবাদী আন্ডারগ্রাউন্ড আউট'ল দলগুলো শ্রেনীশ্ত্রু নিধনের নামে মানুষ হত্যা করে চলেছে। চারিদিকে শুধু নৈরাজ্য আর নৈরাজ্য। সামগ্রিক দিক থেকে দেশকে কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছেনা।

রক্ষীবাহিনী অস্ত্র উদ্ধার করতে গেলেই ঘটছে অপ্রীতিকর ঘটনা। বন্দুকযুদ্ধ হচ্ছে। উভয় পক্ষেই মানুষ মারা যাচ্ছে। আর তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত যারা রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল তারা সব মেরি শেলির লেখা ফ্রাঙ্কেনস্টাইন ফিকশনের ভিক্টর ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের সৃষ্ট ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের মত মানুষখেকো হয়ে উঠেছে। যা সাহায্য সহযোগীতা আসছে সব লুটে-পুটে খাচ্ছে এমনকি তৃণমূলের নেতারা পর্যন্ত।

বঙ্গবন্ধু আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু পেরে উঠছিলেননা। আর তার পাশে সব চাটুকার আর মিথ্যাবাদীতে ভরা ছিল। অনেকসময় তারা বঙ্গবন্ধুকে দেশের প্রকৃত অবস্থা বুঝতে দিতনা। আর এই চাটুকারেরাই জাতির জনককে হত্যার প্ল্যাটফর্ম তৈরী করে দিয়েছিল।

জাতির জনক বিশ্বাসই করতে পারেননি কোন বাঙ্গালী তাকে হত্যা করতে পারে। তাই ষড়যন্ত্রের কথা শুনেও তিনি তদন্ত করে দেখেননি। তাঁর চেতনায় ছিল শুধু এই জাতিকে কিভাবে এই দুর্দশা থেকে বের করে আনা যায়। কিন্তু না। সে সময় তিনি পেলেন না।

জাতিসঙ্ঘের ভাষণেও বঙ্গবন্ধু শুধু বারবার দেশের মানুষের অবস্থা এবং সাহায্যের কথা বলেছিলেন। তাঁর ভাষণের বেশিরভাগ অংশজুড়েই ছিল বাঙ্গালি জাতির দূর্দশা আর সাহায্যের জন্য আকূল আবেদন। শেষ পর্যন্ত তিনি আর বাঙ্গালি জাতিকে দুর্গতি থেকে উত্তরণের সুযোগ পেলেননা।

ঘাতকের বুলেটের আঘাতে ঝরে গেল বিশুদ্ধতম বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদী আর সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ বাঙ্গালির জীবন।।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:২২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×