somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমরাও সফল ট্যুরে যেতে পারি B-) ।( কুয়াকাটা ভ্রমন পোস্ট ):D

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অবশেষে কুয়াকাটা যাওয়া হল । জীবনেও কোন জায়গায় প্ল্যান মত যাওয়া হয় নাই । এই বারও একই অবস্থা । X(

শুরু করি কি কি ভেজাল এ পড়তে হইসে , তা দিয়া । আমরা ফ্রেন্ডরা কোন জায়গায় যাওয়ার প্ল্যান করলে , একটার পর একটা ভেজাল দেখা দেয় । কারো সাথে কারো টাইমিং মিলে না X( X( । আজ এর সমস্যা , তো কাল ওর । যাই হোক ঠিক করলাম থার্টি ফাস্ট রাত টা কুয়াকাটার বিচে কাটাব । কিন্তু আমাদের বিরোধী দলের আমাদের সুখ সহ্য হইল না । দিল হরতাল । দিপুর পরীক্ষা পেছাল , শেষ হবে ৩১ তারিখে । যাক ঠিক করলাম ৩১ তারিখ সন্ধ্যার লঞ্চে রওনা দিব । পটুয়াখালীর লঞ্চের কেবিন আগেই বুকিং দিয়ে রাখলাম ।

যাওয়ার দিন , আমি আর দিপু ১ ঘণ্টা আগেই লঞ্চ ঘাট চলে গেলাম । কিন্তু বাকি ৩ জনের খবর নাই X( । অবশেষে ৩ জনই লঞ্চ মিস করল । পটুয়াখালীর লঞ্চ ৭ টার মধ্যে শেষ । ওরা আসলো ৭-৩০ এ X( । বরিশালের লঞ্চ ছাড়া এখন আর উপায় নাই । ৯ টায় লঞ্চ ছাড়ল । ৩১স্ট নাইট লঞ্চেই কাটালাম :((


বরিশাল গিয়ে নামলাম ভোরে । ওইখান থেকে কুয়াকাটার ডাইরেক্ট বাস আছে , ওইটা তেই গেলাম । বাসের অবস্থা খুব ১টা ভাল না । গীটার , ব্যাগ নিয়ে বাসে যাইতে খুব কষ্ট হইসে /:)

আগে অনেকেই বলছিল রোডের অবস্থা নাকি খুব ১টা ভাল না ।ফালতু কথা । রোড যথেষ্ট ভাল । কিন্তু বাস সার্ভিস জঘন্য বললেও কম হয় । বরিশাল থেকে কুয়াকাটা যেতে সম্ভবত ৫ টা ফেরী পার হইতে হয় । এইটা খুব ১টা ভেজাল মনে হয় নাই । বরং ভালই লাগছিল । কুয়াকাটা যাইতে মোট সময় লাগলো সাড়ে ৫ ঘণ্টা X( । এতো সময় লাগল বাজে বাস সার্ভিসের কারনে , এই পথ ৩-৩০ - ৪ ঘণ্টার হবে ।







অবশেষে পৌঁছলাম কুয়াকাটায় । যারা আগে কক্সবাজার গেসেন , তারা হতাশ হবেন । কিন্তু বাকিদের মনে হয় খুবই ভাল লাগবে কুয়াকাটা । সব চেয়ে ভাল লাগলো এইখানে পর্যটক খুব কম । ফাঁকা বিচ পাওয়া যায় । আর রাতেও বিচ পুরা সেফ । সারা রাত একা বইসা থাকলেও সমস্যা নাই । :D







বিচ ছাড়া কি আছে দেখার ?? রাখাইন মার্কেটে রাতে ঘুরতেসি , হঠাত এক লোক এসে বলল সে বাইকার । পর্যটক দের কুয়াকাটা ঘুরে দেখায় । প্যাকেজ আছে তাদের । পরে ঠিক করলাম ৩ টা বাইক ১৫০০ টাকায় । এক বাইকে ২ জনের বেশি বসার নিয়ম নাই । আমরা মানুষ ৫ জন ।



পরের দিন ভোরে বাইকার মামারা হোটেলে চলে আসল , গঙ্গাবতির চরে যাব , সূর্যোদয় দেখার জন্য । রেডি হয়ে বের হলাম ভোর ৬ টায় । সূর্যোদয় দেখার পর গেলাম ক্র্যাব ল্যান্ডে কাঁকড়া দেখতে :P । এর পর যথাক্রমে বৌদ্ধ মন্দির , রাখাইন পল্লী ।













এই সবের পর হোটেলে ফিরলাম , রেস্ট নিলাম । ও বলতে ভুইলা গেসি , এইখানে হোটেল ভাড়া অনেক কম ।দুপুর ১২ টায় শুরু হল প্যাকেজের সেকেন্ড ভাগ :P। গন্তব্য কটকা, ফাতরার বন , সুন্দরবনের কি ভাগ জানি :|



কটকা জায়গাটা আমার কাছে বেস্ট মনে হয়েছে । অনেক অনেক সুন্দর । পিছনে গভীর বন । সামনে সমুদ্র । এইখানে আবার লাঞ্চের বেবস্থা আছে । অনেক স্পেশাল । নিজেদের পছন্দ মত কাঁকড়া , চিংড়ি , ইলিশ মাছ অর্ডার করলে , তারপর রান্না হবে বিচেই । অনেকটা পিকনিকের মত । আর বলতেই হবে খাবার মারাত্মক লেভেলের সুস্বাদু ।





রান্না-বান্না শুরু হল , আমরা চলে গেলাম গভীর বনের ভিতর । ছোট খালের মধ্যে নৌকা নিয়ে বনের অনেক গভীরে গেলাম । আমার মনে হচ্ছিল আমরা সত্যিই সুন্দরবনে ।









নৌকা ভ্রমনের পর লাঞ্চ পর্ব । বাইকার মামারাও আমাদের সাথে খেলো । মামারা আমাদের অনেক হেল্প করসে , পুরা ট্যুরে ।




ওই দিন ফাতরার বনের যাওয়ার প্ল্যান বাদ দিলাম । কারন এখনো সমুদ্রস্নান হয় নাই :P । হোটেলে ফিরলাম । এর পর দৌড় সমুদ্রে । স্নান হল , সূর্যাস্ত দেখা হল । এর পর কি করা যায় । প্ল্যান হল বিচে ক্যাম্প ফায়ার করব , সাথে বার-বি-কিউ । প্ল্যান মত সব হল । ওই রাত টা অনেক দিন মনে থাকবে ।





পরের দিন সকালে উঠেই ফাতরার বনে যাব । কারন ওই দিনই ঢাকার দিকে রওনা দিতে হবে । আবার কটকা গেলাম । ট্রলার ভাড়া করে রওনা দিলাম ফাতরার দিকে । হোটেলের কাছে জিরো পয়েন্ট থেকেও যাওয়া যায় । কিন্তু ট্রলার ভাড়া পাওয়া যায় না । অনেক মানুষ এক সাথে যায় । ফাতরার বনে যাওয়ার পর ভয়ঙ্কর রকম মেজাজ খারাপ হল । এই ফালতু জায়গা দেখার জন্য ট্রলার ভাড়া করে এত গুলা টাকা নষ্ট করলাম । এইখানে বলার মত কিছুই নাই । তাই আমি সাজেস্ট করব , যারা কুয়াকাটা যাবেন , ফাতরার বনে যাওয়ার দরকার নাই ।





ফাতরার বন দেখার পর এসেই হোটেল ছাড়লাম । লাঞ্চ করে পটুয়াখালীর দিকে রওনা দিলাম । বিকালের লঞ্চে উঠলাম । পরের দিন ভোরে চলে আসলাম জাদুর শহর ঢাকায় /:)


( অনেক আজাইরা কথা বার্তা লিখসি , মাফ করবেন :| )
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১১
১৫টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×