সবার প্রথমে বলে নেই ,আমি কোন দলের সমর্থক না বা কোন দলীয় দৃষ্টি - ভঙ্গী থেকে এই কথাগুলো বলছি না । বিশ্বাস করা , না করা সব আপনাদের উপর । কিন্তু ভয়ঙ্কর রকম জামাত বিরোধী । কারন শুধু যুদ্ধাপরাধ ইস্যু না । তাদের রাজনীতি , দেশের শত্রুর পক্ষে অবস্থান নেয়া , পবিত্র ধর্ম ইসলামের অপব্যবহার করা ইত্যাদি ব্যাপারগুলো ও আছে ।
এই বার আসি আসল কথায় । গত বার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার প্রধান কারন ছিল , তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা যুদ্ধাপরাধীর বিচার করবে । সেই অনুযায়ী যে লিস্ট ধরে বিচার শুরু হল , সেখানে প্রায় সবই বিএনপি - জামাতের লোক । এর পর থেকেই শুরু হল চিল্লাফাল্লা , সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার করতে হবে। এর আগে এমন কিছুই শুনি নাই বিএনপির মুখে । আরে ভাই আওয়ামী লীগ কে কি ফেরেশতাদের দল মনে হয় যে , তারা নিজের দলের মানুষের বিচার করবে??? আমরা তা আশাও করি না ।এখন যাদের বিচার হচ্ছে , তারা তো যুদ্ধাপরাধী ?? নাকি অস্বীকার করবেন??? তাদের বিচারটা এখন হইতে দেন ।
শাহবাগের আন্দোলন এখন আওয়ামীলীগের হাতে এইটা অস্বীকার করার উপায় নাই ( লিডে আছে কয়েক জন , কিন্তু সাধারনের সংখ্যাই বেশি) ।
তাও এই আন্দোলনের সাথে আছি । কারন এই স্বীকৃত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার , জামাত শিবিরের রাজনীতি ব্যান করা । বিএনপি তো ভবিষ্যতে কখনো না কখনো ক্ষমতায় আসবে ই । সত্যি কথা বলতে , আমি নিজেই পরের বার বিএনপিকে ভোট দিব বলে ভাবছিলাম । কারন ক্ষমতায় কে আছে , এই ব্যাপারটা আমি খুব ১টা কেয়ার করি না । কারন দুর্নীতির ক্ষেত্রে কেউই কারো থেকে কম না । তো যখন বিএনপি ক্ষমতায় আসবে , তখন আওয়ামী যুদ্ধাপরাধীদের অপরাধ প্রমান করে, বিচার করে দিলেই তো হয় । এক ঢিলে দুই পাখি । যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও সম্পূর্ণ হল , আবার প্রতিশোধও নেয়া হল । দরকার হলে , তখন আবার আরেকটা গণজাগরণ মঞ্চ হবে । এখন যেমন ছাত্রলীগ লিড দিচ্ছে , তখন লিড দিবে ছাত্রদল । দেশের মানুষ এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে আছে , তখনও থাকবে ।
বিএনপিকে বলি , শাহবাগে যা চলছে চলতে দেন । সবাইকে নাস্তিক বলা বন্ধ করেন । কারন এক জন ধর্ম ভিরু মানুষকে নাস্তিক বললে , তার ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত লাগে । যেমন টা আমার , আমার বাবার লেগেছে । সাধারণ মানুষের সাথে থাকেন , নির্বাচনেও তাদের সাথে পাবেন , কথা দিচ্ছি ।