স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের পর কেবল ছাত্রলীগের রাজনীতি নিশিদ্ধ না করে দরকার ছিল শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র রাজনীতি নিশিদ্ধ করা। ইন্টারিম সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের কুফল ভোগ করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।ক্যম্পাসে ছাত্রলীগের অনুপস্থিতিতে সেই স্থান দখল করেছে ছাত্রদল। হল ভিত্তিক ক্যডার রাজনীতির কালচার একটুকুও বদলায়নি। এখন হলগুলোর একচ্ছত্র দখল নিয়েছে ছাত্র দল। ছাত্র দলের টেন্ডার , চাঁদাবাজির ব্যবসা এখন রমরমা। গতকাল ছাত্রদলের এক ছাত্র খুন হয়েছে। ছাত্রদল নেতা সাম্য মোটরসাইকেলে করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় অন্য একটি বাইকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এর জের ধরে কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা সাম্যের ডান উরুতে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম জানান, যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা সবাই বহিরাগত। ঢাবি ক্যম্পাস সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বহুকাল ধরেই চাঁদাবাজি, মাদক সেবন সহ বিভিন্ন অপকর্মের আখড়া। রাজনৈ্তিক দলগুলোর প্রশ্রয়েই ক্যম্পাস ও উদ্যান এলাকায় এইসব নিশিদ্ধ ও অবৈ্ধ কার্যক্রম চালু রয়েছে বহুকাল ধরেই। বরং এই ইন্টারিম সরকারের সময়কালে ঢাবি ক্যম্পাস এলাকায় পুলিশি প্রহরা বাড়িয়ে অবৈ্ধ মাদক সহ অন্যান্য অসামাজিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রনে এনে ক্যম্পাসের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঢাবি ক্যম্পাসের বাইরে এবং এই এলাকায় মাদক সহ অন্যান্য অসামাজিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রনের দায়ভার আইন শৃংখলা বাহিনীর।
এই ঘটনাকে ইস্যূ করে ছাত্রদল টার্গেট করেছে নীল/সাদা তকমা না থাকা ঢাবির গুনী ভিসি ও প্রক্টরকে। ঢাবির ভিসিকে পুরাই খুনীর মত ট্রিট করছে ছাত্রদল কর্মীরা। সাম্যের লাশ নিয়ে ঘৃন্য ও নোঙরা রাজনীতি শুরু করেছে তারা। কোন কারন ছাড়াই ঢাবির ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবী করছে তারা!! এক ভিডিওতে দেখলাম ভিসি দুই হাত তুলে ছাত্রদের দিকে তাকিয়ে বলছেন'' আমাকে মার , মেরে ফেল আমাকে !!'' এসব দেখছি আর ভাবছি বিএনপির নেতারা কোথায় ? ক্ষমতায় না আসতেই এই দল যা শুরু করেছে , ক্ষমতায় আসলে কি হবে ভেবে অত্যন্ত শংকিতবোধ করছি।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:৪৬