somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এরিয়া-51

০৭ ই এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


এরিয়া-51 যুক্তরাস্ট্রের একটি রহস্যময় স্থান।খোদ যুক্তরাস্ট্রের জনগনের মধ্যে একে ঘিরে অনেক গল্প চালু আছে।এর মধ্যে অন্যতম হলো এই স্থানে নাকি কোন এক সময় ইউ এফ ও ধংস হয়েছিল এবং এই ইউ এফ ওর মধ্যে থেকে ভীনগ্রহের প্রানীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।এছাড়াও গল্প,সিনেমা,টিভি প্রোগ্রাম ইত্যাদি নানাভাবে এই এরিয়া-51 এর কথা বর্ণনা করা হয়েছে।এর মধ্যে আছে সেই ইউ এফ ও এর দূর্ঘটনার কথা যা রসওয়েল ইউ এফ ও (Unidentified flying object) দূর্ঘটনা (Roswell UFO Incident) নামে অভিহিত করা হয়।

1996 সালে হলিউডের বিখ্যাত ছবি ইনডিপেনডেন্স ডেতে দেখানো হয়েছে যে এই ভীন গ্রহের প্রানীরা এরিয়া-51 এর উপর আক্রমন করেছে।এবং এই ছবির শেষ দিকে দেখানো হয়েছে এই প্রানীদের ব্যাবহার করা বিশাল আকারের ইউ এফ ও কে উন্নত প্রযুক্তির মিসাইলের সাহায্যে ধংস করে দেয়া হয়।এই মিসাইল প্রযূক্তি তারা পেয়েছে রসওয়েলের দূর্ঘটনায় ধংস হওয়া সেই ইউ এফ ও থেকে।

এছাড়াও হ্যাংগার-51 ছবির কাহিনীও এই এরিয়া-৫১ নিয়ে।এছাড়াও টেলিভিশন সিরিয়াল সেভেন ডের কাহিনী চিত্রায়ন করা হয়েছে এই এরিয়া-51 এর ভিতরে,যাতে দেখান হয় রসওয়েল থেকে উদ্ধার করা ভিন গ্রহের প্রযুক্তির সহায়তায় একটি এন এন এ টাইম ট্রাভেল অপারেশন।2005 সনের আলোচিত ভিডিও গেমস এরিয়া-51 ও নির্মিত হয়েছে রসওয়েল এর কাহিনীকে কেন্দ্র করে।

এরিয়া-51 :এরিয়া-51 সর্ম্পকে খোদ যুক্তরাস্ট্র সরকার একেবারে নিশ্চুপ। এ বিষয়ে তারা জনগনকে কিছু তো জানাতে দেয়ই না, বরং বে-সামরিক লোকদের এরিয়া-৫১ এলাকাতে প্রবেশ করাও সম্পূর্ন নিষেধ।
এই জন্য এই স্থান সর্ম্পকে মানুষ তেমন কোন খবর জানে না।এ ছাড়াও এরিয়া-৫১ এর ভিতরে যে সব স্থাপনা আছে তার ও তেমন কোন ছবি নেই, যে সব ছবি পাওয়া গেছে তা স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবি।
এরিয়া-51 একটি সামরিক এলাকা,এটি দূরবর্তী এডওর্য়াড বিমান ঘাটি (Edwards Air Force Base) থেকে আলাদা।

এর অবস্থান যুক্তরাস্ট্রের নেভেদা অংগ রাজ্যের দক্ষিন অংশে,এবং লাস ভেগাসের শহরতলী থেকে 83 মাইল (133 কিঃমিঃ)উওর-পশ্চিমে।এবং গ্রুম লেকের দক্ষিন উপকুলে এর কেন্দ্র অবস্থিত।এটি একটি বিশাল সামরিক বিমান ঘাটি এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য পরীক্ষামূলক বিমান এবং অস্ত্র পদ্ধতি উন্নয়ন এবং পরীক্ষা।
এটি মার্কিন বিমান বাহিনীর একটি বিশাল প্রশিক্ষন (NTTR=নেভেদা টেস্ট এন্ড ট্রেনিং রেঞ্জ) কেন্দ্র।অস্থায়ী ভাবে একে বলা হয় নেইলস এয়ার ফোর্স রেঞ্জ (NAFR)।এই ঘাটি পরিচালনা করে নেইলস এয়ার ফোর্স বেসের 99 এয়ার বেস উইং।এর একটি অশং এই বেস থেকে 186 মাইল (300 কিঃমিঃ) দূরে মোজাভ মরুভূমিতে অবস্থিত এডওয়ার্ডস বিমান ঘাটিতে অবস্থিত এর নাম এয়ার ফোর্স ফ্লাইট টেস্ট সেন্টার (AFFTC)।

এর নাম এরিয়া-51 এই নাম সরকারি ভাবে সি আই এ ব্যাবহার করে।এছাড়াও এর অন্য অনেকগুলি নাম আছে যেমন-ড্রিম ল্যান্ড (Dream Land),প্যারাডাইস রেঞ্চ (Pradise Ranch), হোম বেস (Home Base),ওয়াটার টাউন স্ট্রিপ (Watertown Strip), গ্রুম লেক (Groom Lake)।এ ছাড়াও কিছুদিন আগে এর আরো একটি নাম দেয়া হয় হোমি এয়ার পোর্ট (Homey Airport)।এই স্থানটি নেলস মিলিটারি অপারেশন এরিয়ার অর্ন্তগত।এই স্থানের চারদিকের আকাশ অন্য সবার জন্য নিষিদ্ধ, এই আকাশসীমা (R-4808N) হিসাবে পরিচিত।পাইলটরা এই এলাকার আকাশকে বলে “দি বক্স” অথবা “দি কনটেইনার”।

এটি অন্যসব বিমানঘাটির মতো সাধারন কোন বিমানঘাটি নয়,এবং এখানে সাধারন কোন কাজও হয় না।এখানে চরম গোপনীয়তার মধ্যে সামরিক বাহিনীর জন্য এমন সব অস্ত্র, বিমান,ক্ষেপনাস্ত্র তৈরী করা যা অন্য কেউ জানে না।এক কথায় বলা যায় অত্যন্ত শ্রেণীবদ্ধ সামরিক / প্রতিরক্ষা বিশেষ এক্সেস প্রোগ্রাম Special Access Programs (SAP)।এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো নতুন বিমান অস্ত্র পদ্ধতি বা গবেষণা প্রকল্পের জন্য উন্নয়ন, টেস্টিং, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি।মার্কিন বিমান বাহিনী ও সি আই এর দ্বারা এই প্রকল্প অনুমোদিত।

এরিয়া-51 সর্ম্পকে মার্কিন সরকারের ভাষ্যঃ এই এরিয়া-51 এমন গোপন একটি জায়গা যার কথা মার্কিন সরকার 14 জুলাই 2003 পর্যন্ত কোন কিছু স্বীকার করেনি।পরর্বতিতে মার্কিন সরকার স্পস্টভাবে concedes (বিভিন্ন আদালতে নথিভুক্ত এবং সরকারি নির্দেশ)শুধু এইটুকু বলেছে যে গ্রুম লেকের কাছাকাছি একটি "অপারেটিং অবস্থান" আছে এর বাইরে অতিরিক্ত আর কোন তথ্য জনগনকে জানানো হয়নি।সরকারি যে ম্যাপ আছে (যেই ম্যাপ জনগন দেখতে পারে) সেখানে এরিয়া-51এর অবস্থান উল্লেখ্য করা নেই।

মার্কিন জিওলজিক্যাল উপগ্রহ মার্কিন ভূ-পৃস্টের যে ম্যাপ তৈরী করেছে সেখানে শুধু গ্রুম লেকের অবস্থান দেয়া আছে।নেভেদার যোগাযোগ মন্ত্রনালয় বেসামরিক বিমান চলাচলের যেই ম্যাপ তৈরী করে সেই ম্যাপে শুধু উল্লেখ্য করা থাকে বিশাল একটি এলাকার আকাশ উড্ডয়ন নিষিদ্ধ একে বলা হয় “নেইলস উড্ডয়ন নিষিদ্ধ আকাশসীমা”।এছাড়াও মার্কিন সরকারের প্রকাশিত যে কোন ম্যাপে এই এরিয়া-51এর কথা উল্লেক্ষ করা নেই।

মার্কিন সরকারের অবাধ তথ্য অধিকারের সুযোগ নিয়ে 1960 সালে মার্কিন গোয়েন্দা উপগ্রহ “করোনা” নার সাহায্যে এরিয়া-51 এর ছবি তোলে এই ছবিতে 51 এর ভিতরকার সবকিছু প্রকাশ হয়ে পড়ে।সাথে সাথে মার্কিন সরকার সেই ছবি মুছে ফেলে।
একইভাবে মার্কিন “টেরা” উপগ্রহ 51 এর অনুরুপ ছবি তুলে তা প্রকাশ করে,মার্কিন সরকার সেই ছবি 2004 সালে মুছে ফেলে। সেই সময় এই ছবি মাইক্রোসফট ও টেরা স্যাটেলাইটের সার্ভারেও ছিল সেখান থেকেও এই ছবি মুছে ফেলা হয়।
পরবর্তীতে “নাসার” ল্যান্ডস্যাট-7 উপগ্রহের সাহায্যে 51 এর ছবি তোলা হয়,বর্তমানে এই ছবিটিই সরকারিভাবে প্রকাশিত এরিয়া-51এর ছবি।

কিন্ত এত কিছু চেস্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি।রাশিয়ার গোয়েন্দা উপগ্রহ “ইকনস” ও রাশিয়ার বেসামরিক উপগ্রহ আমেরিকা রাশিয়ার ঠান্ডা যুদ্ধের সময় এই এরিয়া-51 এর ভিতরে কি হচ্ছে তা জানার জন্য (রাশিয়ার নিজাদের প্রয়োজনে) এর উচ্চ রেজল্যুশনের ছবি তোলে। এই ছবিতে 51 এর ভিতরকার প্রায় সবকিছু প্রকাশ হয়ে পড়ে।

এই ছবিতে দেখা যায় যে এরিয়া-51 এর ভিতরে সাতটি রানওয়ে আছে।এর মধ্যে সবচেয়ে বড় যে রানওয়ে 14R/32L এটি লম্বায় প্রায় 23,300 feet (7,100 m)।অন্য রানওয়ে গুলি পীচের তৈরী এর মধ্য 14L/32R রানওয়ের দৈর্ঘ্য 12,000 feet (3,700 m), রানওয়ে 12/30 এর দৈর্ঘ্য 5,400 feet (1,600 m)।
অন্য চারটি রানওয়ে সল্ট লেকের মধ্যে অবস্থিত।এর মধ্যে 09L/27R ও 09R/27L রানওয়ের দৈর্ঘ্য প্রায় 11,450 feet (3,490 m), আর অন্য দুইটি 03L/21R ও 03R/21L, দৈঘ্য প্রায় 10,000 feet (3,000 m)। এছাড়াও আছে হেলিপ্যাড।

ছবিতে আরো দেখা যায় বড় বড় গুদাম ঘর,আবাসিক এলাকা,ফায়ার স্টেশন,বিশাল আকারের পানির ট্যাংকি,বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রন টাওয়ার,খেলাধুলা করার জন্য টেনিস এবং বেসবল কোর্ট।আরো আছে যোগাযোগের জন্য বেশ কয়েকটি স্যাটেলাইট ডিশ।
সাদা রং করা অনেকগুলি সরকারি ট্রাক ও ভ্যান পার্কিং এরিয়ায় রাখা আছে।
বেশ কয়েকটি বোয়িং 737 বিমান রানওয়েতে দাড়িয়ে আছে।খুব সম্ভবত এই বিমানে করে কাজ করার জন্য শ্রমিকদের আনা নেয়া করা হয়।

অন্য একটি স্থানে কালো রং করা একটি F-16 যুদ্ধ বিমানকে পার্ক করা অবস্থায় দেখা যায়।এই কালো রং করা যুদ্ধ বিমান মার্কিন বিমান বাহিনী সাধারনত রাত্রিকালিন অভিযানে ব্যাবহার করে।
কালো রং করা অনেকগুলি হেলিকপ্টারকে পার্ক করা অবস্থায় দেখা যায়।এখানে অন্য আর পাচটি সাধারন বিমান ঘাটির মতো বিশাল আকারের হ্যাঙ্গার আছে।ধারনা করা হয় এরিয়া-51এর ভিতরে যে সব অত্যাধূনিক বিমান এবং স্যাটেলাইট তৈরী করা হয় সেগুলিকে মানুষের চোখের আড়ালে এবং মরুভূমির তাপ থেকে রক্ষা করার জন্য এই হ্যাঙ্গারগুলিকে ব্যাবহার করা হয়।

এরিয়া-51 এর নিরাপত্তা: এরিয়া-51 এর নিরাপত্তা ব্যাবস্থা অনেক শক্তিশালী।এই বেসের আনুমানিক 15,5 মাইল উত্তর উত্তর-পূর্বকোনে 9,400 ফুট উঁচু “বেলডে” নামক একটি পাহাড়ের চূড়ায় বিশাল একটি রাডার স্থাপনা আছে।কিন্ত এই রাডারটি কি ধরনের তা জানা যায়নি।তবে ধারনা করা হয় এটি আকাশপথ নজরদারী রাডার ARSR-4 (Air Route Surveillance Radar) এই ধরনের রাডার মার্কিন বিমান বাহিনী ব্যাবহার করে।এটি শুধু একটি রাডার নয় একসাথে অনেকগুলি রাডারের একটি নেটওর্য়াক ব্যাবস্থা।এই রকম আরো একটি রাডার আছে গ্রুম লেকের উওর দিকে আর একটি পাহাড়ের চুড়ায় মাটি থেকে প্রায় 4,300 ফুট উপরে।এই রাডারগুলি পরিচালনা করার জন্য কোন মানুষের প্রয়োজন নেই এই রাডার সাইটের সব স্বয়ংক্রিয়।

এরিয়া-51 এ ঢোকার জন্য কোন পিচের রাস্তা নেই।শুধু একটি মাটির রাস্তা আছে যা নেভেদার হাইওয়ে 375 সিস্টেমের সাথে সংযোগ করা।করা।এই রাস্তাটি প্রায় 35 মাইল লম্বা,এর মধ্যে পশ্চিম-উওরপশ্চিম দিকে 10 মাইল পড়ে এই রাস্তার এক মাথা বন্দ।এরিয়া-51 এর মূল গেট ঘাটি থেকে প্রায় 25 মাইল দূরে অবস্থিত।এই গেটের কাছে বিশাল এক সাইন বোর্ডে বড় করে সতর্কবাণী সাইন জানায় যে প্রবেশ নিষিদ্ধ এবং "ফোটোগ্রাফি নিষিদ্ধ" এলাকা।

এখানকার পাহাড়ের চূড়ার উপর থেকে FBI এর তিনজন এজেন্ট এই রাস্তার উপর দিন রাত সার্বক্ষনিক নজরদারি করে,বাইরে থেকে কেউ যেন ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে।

জোর করে কেউ ভিতের প্রবেশ করার চেস্টা করলে তাকে প্রয়োজনে গুলি করে মেরে ফেলার নির্দেশ দেয়া আছে,এই আইনটি 1950 McCarran অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা আইনের অধীনে ব্যবহার অনুমোদিত।

এছাড়াও ইউনিফর্ম পরিহিত ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সংস্থা EG&G কর্মীরা এরিয়া-51 এর নিরাপত্তায় নিয়জিত আছে।এরা M-16 রাইফেল এবং সামরিক যান Humvees, SUVs, আর পিকআপ ট্রাক ব্যাবহার করে।এরা সাধারনত কোন বহিরাগতকে আক্রমন করে না।এরা শুধু লক্ষ্য রাখে অবৈধ অনুপ্রবেশকারির উপর,যদি কেউ প্রবেশের চেস্টা করে তখন এরা সাথে সাথে লিঙ্কন কাউন্টির শেরিফের সাথে রেডিও মারফত যোগাযোগ করে।এরপরে শেরিফ এসে প্রয়োজন অনুযায়ি 600 ডলার জরিমানা করে,আবার অনেক সময় জেলেও পাঠিয়ে দেয়।এরপরে যদিও কিছু দর্শক ও সাংবাদিক রিপোর্ট প্রাপ্তির জন্য FBI এজেন্টকে অনুসরন করে।এবং এরা বেসের খবর সংগ্রহ করার জন্য গোপনে ক্যামেরা ও মোশন সেন্সর ব্যবহার করে এবং প্রায়ই এই ধরনের সরঞ্জাম FBI আটক করে।
রাতের বেলায় হেলিকপ্টার বিশাল বিশাল সার্চলাইট,থার্মাল ক্যামেরা ব্যাবহার করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।

এরিয়া-51 তৈরীর ইতিহাসঃ 1941সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি নির্মান করা হয়।প্রথমে এর নাম ছিল অক্জিলিয়ারী নং1 ওয়েস্ট কোস্ট এয়ার কর্পস ট্রেনিং সেন্টার লাস ভেগাস বিমানঘাঁটি ।এবং এটি একই সাথে বিমানঘাঁটি বোমাবর্ষণ এবং কামান অনুশীলনের জন্য ব্যবহৃত হত।এটা পরে লাস ভেগাস এ বড় কামান নির্মাণ ও চালনা স্কুল হিসাবে ব্যাবহার করা হতো, জুন 1946 সালে এই ঘাটি বন্ধ ও পরিত্যক্ত করা হয়।

এরিয়া-51 যুক্তরাস্ট্রের একটি রহস্যময় স্থান।খোদ যুক্তরাস্ট্রের জনগনের মধ্যে একে ঘিরে অনেক গল্প চালু আছে।এর মধ্যে অন্যতম হলো এই স্থানে নাকি কোন এক সময় ইউ এফ ও ধংস হয়েছিল এবং এই ইউ এফ ওর মধ্যে থেকে ভীনগ্রহের প্রানীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।এছাড়াও গল্প,সিনেমা,টিভি প্রোগ্রাম ইত্যাদি নানাভাবে এই এরিয়া-51 এর কথা বর্ণনা করা হয়েছে।এর মধ্যে আছে সেই ইউ এফ ও এর দূর্ঘটনার কথা যা রসওয়েল ইউ এফ ও (Unidentified flying object) দূর্ঘটনা (Roswell UFO Incident) নামে অভিহিত করা হয়।

1996 সালে হলিউডের বিখ্যাত ছবি ইনডিপেনডেন্স ডেতে দেখানো হয়েছে যে এই ভীন গ্রহের প্রানীরা এরিয়া-51 এর উপর আক্রমন করেছে।এবং এই ছবির শেষ দিকে দেখানো হয়েছে এই প্রানীদের ব্যাবহার করা বিশাল আকারের ইউ এফ ও কে উন্নত প্রযুক্তির মিসাইলের সাহায্যে ধংস করে দেয়া হয়।এই মিসাইল প্রযূক্তি তারা পেয়েছে রসওয়েলের দূর্ঘটনায় ধংস হওয়া সেই ইউ এফ ও থেকে।

এছাড়াও হ্যাংগার-51 ছবির কাহিনীও এই এরিয়া-৫১ নিয়ে।এছাড়াও টেলিভিশন সিরিয়াল সেভেন ডের কাহিনী চিত্রায়ন করা হয়েছে এই এরিয়া-51 এর ভিতরে,যাতে দেখান হয় রসওয়েল থেকে উদ্ধার করা ভিন গ্রহের প্রযুক্তির সহায়তায় একটি এন এন এ টাইম ট্রাভেল অপারেশন।2005 সনের আলোচিত ভিডিও গেমস এরিয়া-51 ও নির্মিত হয়েছে রসওয়েল এর কাহিনীকে কেন্দ্র করে।

এরিয়া-51 :এরিয়া-51 সর্ম্পকে খোদ যুক্তরাস্ট্র সরকার একেবারে নিশ্চুপ। এ বিষয়ে তারা জনগনকে কিছু তো জানাতে দেয়ই না, বরং বে-সামরিক লোকদের এরিয়া-৫১ এলাকাতে প্রবেশ করাও সম্পূর্ন নিষেধ।
এই জন্য এই স্থান সর্ম্পকে মানুষ তেমন কোন খবর জানে না।এ ছাড়াও এরিয়া-৫১ এর ভিতরে যে সব স্থাপনা আছে তার ও তেমন কোন ছবি নেই, যে সব ছবি পাওয়া গেছে তা স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবি।
এরিয়া-51 একটি সামরিক এলাকা,এটি দূরবর্তী এডওর্য়াড বিমান ঘাটি (Edwards Air Force Base) থেকে আলাদা।

এর অবস্থান যুক্তরাস্ট্রের নেভেদা অংগ রাজ্যের দক্ষিন অংশে,এবং লাস ভেগাসের শহরতলী থেকে 83 মাইল (133 কিঃমিঃ)উওর-পশ্চিমে।এবং গ্রুম লেকের দক্ষিন উপকুলে এর কেন্দ্র অবস্থিত।এটি একটি বিশাল সামরিক বিমান ঘাটি এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য পরীক্ষামূলক বিমান এবং অস্ত্র পদ্ধতি উন্নয়ন এবং পরীক্ষা।
এটি মার্কিন বিমান বাহিনীর একটি বিশাল প্রশিক্ষন (NTTR=নেভেদা টেস্ট এন্ড ট্রেনিং রেঞ্জ) কেন্দ্র।অস্থায়ী ভাবে একে বলা হয় নেইলস এয়ার ফোর্স রেঞ্জ (NAFR)।এই ঘাটি পরিচালনা করে নেইলস এয়ার ফোর্স বেসের 99 এয়ার বেস উইং।এর একটি অশং এই বেস থেকে 186 মাইল (300 কিঃমিঃ) দূরে মোজাভ মরুভূমিতে অবস্থিত এডওয়ার্ডস বিমান ঘাটিতে অবস্থিত এর নাম এয়ার ফোর্স ফ্লাইট টেস্ট সেন্টার (AFFTC)।

এর নাম এরিয়া-51 এই নাম সরকারি ভাবে সি আই এ ব্যাবহার করে।এছাড়াও এর অন্য অনেকগুলি নাম আছে যেমন-ড্রিম ল্যান্ড (Dream Land),প্যারাডাইস রেঞ্চ (Pradise Ranch), হোম বেস (Home Base),ওয়াটার টাউন স্ট্রিপ (Watertown Strip), গ্রুম লেক (Groom Lake)।এ ছাড়াও কিছুদিন আগে এর আরো একটি নাম দেয়া হয় হোমি এয়ার পোর্ট (Homey Airport)।এই স্থানটি নেলস মিলিটারি অপারেশন এরিয়ার অর্ন্তগত।এই স্থানের চারদিকের আকাশ অন্য সবার জন্য নিষিদ্ধ, এই আকাশসীমা (R-4808N) হিসাবে পরিচিত।পাইলটরা এই এলাকার আকাশকে বলে “দি বক্স” অথবা “দি কনটেইনার”।

এটি অন্যসব বিমানঘাটির মতো সাধারন কোন বিমানঘাটি নয়,এবং এখানে সাধারন কোন কাজও হয় না।এখানে চরম গোপনীয়তার মধ্যে সামরিক বাহিনীর জন্য এমন সব অস্ত্র, বিমান,ক্ষেপনাস্ত্র তৈরী করা যা অন্য কেউ জানে না।এক কথায় বলা যায় অত্যন্ত শ্রেণীবদ্ধ সামরিক / প্রতিরক্ষা বিশেষ এক্সেস প্রোগ্রাম Special Access Programs (SAP)।এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো নতুন বিমান অস্ত্র পদ্ধতি বা গবেষণা প্রকল্পের জন্য উন্নয়ন, টেস্টিং, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি।মার্কিন বিমান বাহিনী ও সি আই এর দ্বারা এই প্রকল্প অনুমোদিত।

এরিয়া-51 সর্ম্পকে মার্কিন সরকারের ভাষ্যঃ এই এরিয়া-51 এমন গোপন একটি জায়গা যার কথা মার্কিন সরকার 14 জুলাই 2003 পর্যন্ত কোন কিছু স্বীকার করেনি।পরর্বতিতে মার্কিন সরকার স্পস্টভাবে concedes (বিভিন্ন আদালতে নথিভুক্ত এবং সরকারি নির্দেশ)শুধু এইটুকু বলেছে যে গ্রুম লেকের কাছাকাছি একটি "অপারেটিং অবস্থান" আছে এর বাইরে অতিরিক্ত আর কোন তথ্য জনগনকে জানানো হয়নি।সরকারি যে ম্যাপ আছে (যেই ম্যাপ জনগন দেখতে পারে) সেখানে এরিয়া-51এর অবস্থান উল্লেখ্য করা নেই।

মার্কিন জিওলজিক্যাল উপগ্রহ মার্কিন ভূ-পৃস্টের যে ম্যাপ তৈরী করেছে সেখানে শুধু গ্রুম লেকের অবস্থান দেয়া আছে।নেভেদার যোগাযোগ মন্ত্রনালয় বেসামরিক বিমান চলাচলের যেই ম্যাপ তৈরী করে সেই ম্যাপে শুধু উল্লেখ্য করা থাকে বিশাল একটি এলাকার আকাশ উড্ডয়ন নিষিদ্ধ একে বলা হয় “নেইলস উড্ডয়ন নিষিদ্ধ আকাশসীমা”।এছাড়াও মার্কিন সরকারের প্রকাশিত যে কোন ম্যাপে এই এরিয়া-51এর কথা উল্লেক্ষ করা নেই।

মার্কিন সরকারের অবাধ তথ্য অধিকারের সুযোগ নিয়ে 1960 সালে মার্কিন গোয়েন্দা উপগ্রহ “করোনা” নার সাহায্যে এরিয়া-51 এর ছবি তোলে এই ছবিতে 51 এর ভিতরকার সবকিছু প্রকাশ হয়ে পড়ে।সাথে সাথে মার্কিন সরকার সেই ছবি মুছে ফেলে।
একইভাবে মার্কিন “টেরা” উপগ্রহ 51 এর অনুরুপ ছবি তুলে তা প্রকাশ করে,মার্কিন সরকার সেই ছবি 2004 সালে মুছে ফেলে। সেই সময় এই ছবি মাইক্রোসফট ও টেরা স্যাটেলাইটের সার্ভারেও ছিল সেখান থেকেও এই ছবি মুছে ফেলা হয়।
পরবর্তীতে “নাসার” ল্যান্ডস্যাট-7 উপগ্রহের সাহায্যে 51 এর ছবি তোলা হয়,বর্তমানে এই ছবিটিই সরকারিভাবে প্রকাশিত এরিয়া-51এর ছবি।

কিন্ত এত কিছু চেস্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি।রাশিয়ার গোয়েন্দা উপগ্রহ “ইকনস” ও রাশিয়ার বেসামরিক উপগ্রহ আমেরিকা রাশিয়ার ঠান্ডা যুদ্ধের সময় এই এরিয়া-51 এর ভিতরে কি হচ্ছে তা জানার জন্য (রাশিয়ার নিজাদের প্রয়োজনে) এর উচ্চ রেজল্যুশনের ছবি তোলে। এই ছবিতে 51 এর ভিতরকার প্রায় সবকিছু প্রকাশ হয়ে পড়ে।

এই ছবিতে দেখা যায় যে এরিয়া-51 এর ভিতরে সাতটি রানওয়ে আছে।এর মধ্যে সবচেয়ে বড় যে রানওয়ে 14R/32L এটি লম্বায় প্রায় 23,300 feet (7,100 m)।অন্য রানওয়ে গুলি পীচের তৈরী এর মধ্য 14L/32R রানওয়ের দৈর্ঘ্য 12,000 feet (3,700 m), রানওয়ে 12/30 এর দৈর্ঘ্য 5,400 feet (1,600 m)।
অন্য চারটি রানওয়ে সল্ট লেকের মধ্যে অবস্থিত।এর মধ্যে 09L/27R ও 09R/27L রানওয়ের দৈর্ঘ্য প্রায় 11,450 feet (3,490 m), আর অন্য দুইটি 03L/21R ও 03R/21L, দৈঘ্য প্রায় 10,000 feet (3,000 m)। এছাড়াও আছে হেলিপ্যাড।

ছবিতে আরো দেখা যায় বড় বড় গুদাম ঘর,আবাসিক এলাকা,ফায়ার স্টেশন,বিশাল আকারের পানির ট্যাংকি,বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রন টাওয়ার,খেলাধুলা করার জন্য টেনিস এবং বেসবল কোর্ট।আরো আছে যোগাযোগের জন্য বেশ কয়েকটি স্যাটেলাইট ডিশ।
সাদা রং করা অনেকগুলি সরকারি ট্রাক ও ভ্যান পার্কিং এরিয়ায় রাখা আছে।
বেশ কয়েকটি বোয়িং 737 বিমান রানওয়েতে দাড়িয়ে আছে।খুব সম্ভবত এই বিমানে করে কাজ করার জন্য শ্রমিকদের আনা নেয়া করা হয়।

অন্য একটি স্থানে কালো রং করা একটি F-16 যুদ্ধ বিমানকে পার্ক করা অবস্থায় দেখা যায়।এই কালো রং করা যুদ্ধ বিমান মার্কিন বিমান বাহিনী সাধারনত রাত্রিকালিন অভিযানে ব্যাবহার করে।
কালো রং করা অনেকগুলি হেলিকপ্টারকে পার্ক করা অবস্থায় দেখা যায়।এখানে অন্য আর পাচটি সাধারন বিমান ঘাটির মতো বিশাল আকারের হ্যাঙ্গার আছে।ধারনা করা হয় এরিয়া-51এর ভিতরে যে সব অত্যাধূনিক বিমান এবং স্যাটেলাইট তৈরী করা হয় সেগুলিকে মানুষের চোখের আড়ালে এবং মরুভূমির তাপ থেকে রক্ষা করার জন্য এই হ্যাঙ্গারগুলিকে ব্যাবহার করা হয়।

এরিয়া-51 এর নিরাপত্তা: এরিয়া-51 এর নিরাপত্তা ব্যাবস্থা অনেক শক্তিশালী।এই বেসের আনুমানিক 15,5 মাইল উত্তর উত্তর-পূর্বকোনে 9,400 ফুট উঁচু “বেলডে” নামক একটি পাহাড়ের চূড়ায় বিশাল একটি রাডার স্থাপনা আছে।কিন্ত এই রাডারটি কি ধরনের তা জানা যায়নি।তবে ধারনা করা হয় এটি আকাশপথ নজরদারী রাডার ARSR-4 (Air Route Surveillance Radar) এই ধরনের রাডার মার্কিন বিমান বাহিনী ব্যাবহার করে।এটি শুধু একটি রাডার নয় একসাথে অনেকগুলি রাডারের একটি নেটওর্য়াক ব্যাবস্থা।এই রকম আরো একটি রাডার আছে গ্রুম লেকের উওর দিকে আর একটি পাহাড়ের চুড়ায় মাটি থেকে প্রায় 4,300 ফুট উপরে।এই রাডারগুলি পরিচালনা করার জন্য কোন মানুষের প্রয়োজন নেই এই রাডার সাইটের সব স্বয়ংক্রিয়।

এরিয়া-51 এ ঢোকার জন্য কোন পিচের রাস্তা নেই।শুধু একটি মাটির রাস্তা আছে যা নেভেদার হাইওয়ে 375 সিস্টেমের সাথে সংযোগ করা।করা।এই রাস্তাটি প্রায় 35 মাইল লম্বা,এর মধ্যে পশ্চিম-উওরপশ্চিম দিকে 10 মাইল পড়ে এই রাস্তার এক মাথা বন্দ।এরিয়া-51 এর মূল গেট ঘাটি থেকে প্রায় 25 মাইল দূরে অবস্থিত।এই গেটের কাছে বিশাল এক সাইন বোর্ডে বড় করে সতর্কবাণী সাইন জানায় যে প্রবেশ নিষিদ্ধ এবং "ফোটোগ্রাফি নিষিদ্ধ" এলাকা।

এখানকার পাহাড়ের চূড়ার উপর থেকে FBI এর তিনজন এজেন্ট এই রাস্তার উপর দিন রাত সার্বক্ষনিক নজরদারি করে,বাইরে থেকে কেউ যেন ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে।

জোর করে কেউ ভিতের প্রবেশ করার চেস্টা করলে তাকে প্রয়োজনে গুলি করে মেরে ফেলার নির্দেশ দেয়া আছে,এই আইনটি 1950 McCarran অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা আইনের অধীনে ব্যবহার অনুমোদিত।

এছাড়াও ইউনিফর্ম পরিহিত ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সংস্থা EG&G কর্মীরা এরিয়া-51 এর নিরাপত্তায় নিয়জিত আছে।এরা M-16 রাইফেল এবং সামরিক যান Humvees, SUVs, আর পিকআপ ট্রাক ব্যাবহার করে।এরা সাধারনত কোন বহিরাগতকে আক্রমন করে না।এরা শুধু লক্ষ্য রাখে অবৈধ অনুপ্রবেশকারির উপর,যদি কেউ প্রবেশের চেস্টা করে তখন এরা সাথে সাথে লিঙ্কন কাউন্টির শেরিফের সাথে রেডিও মারফত যোগাযোগ করে।এরপরে শেরিফ এসে প্রয়োজন অনুযায়ি 600 ডলার জরিমানা করে,আবার অনেক সময় জেলেও পাঠিয়ে দেয়।এরপরে যদিও কিছু দর্শক ও সাংবাদিক রিপোর্ট প্রাপ্তির জন্য FBI এজেন্টকে অনুসরন করে।এবং এরা বেসের খবর সংগ্রহ করার জন্য গোপনে ক্যামেরা ও মোশন সেন্সর ব্যবহার করে এবং প্রায়ই এই ধরনের সরঞ্জাম FBI আটক করে।
রাতের বেলায় হেলিকপ্টার বিশাল বিশাল সার্চলাইট,থার্মাল ক্যামেরা ব্যাবহার করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।

এরিয়া-51 তৈরীর ইতিহাসঃ 1941সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি নির্মান করা হয়।প্রথমে এর নাম ছিল অক্জিলিয়ারী নং1 ওয়েস্ট কোস্ট এয়ার কর্পস ট্রেনিং সেন্টার লাস ভেগাস বিমানঘাঁটি ।এবং এটি একই সাথে বিমানঘাঁটি বোমাবর্ষণ এবং কামান অনুশীলনের জন্য ব্যবহৃত হত।এটা পরে লাস ভেগাস এ বড় কামান নির্মাণ ও চালনা স্কুল হিসাবে ব্যাবহার করা হতো, জুন 1946 সালে এই ঘাটি বন্ধ ও পরিত্যক্ত করা হয়।




সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×