somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমরা কি তাদের অনুসরন করছি?

২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশের রাষ্ট ধর্ম ইসলাম। যদিও এটা নিয়ে আমাদের দেশে তোলপার চলছে। সরকার দল বার বারই বলছেন ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করবেন। কিন্তু তারাই এই রাজনীতি করে যাচ্ছেন। যা ধর্ম নিরপেক্ষতা মোড়কে বাঁধানো। অনেক কে আবার ভারত কে ধর্ম নিরপেক্ষতার মডেল ধরে জ্ঞান জাহির করতে দেখছি।
আমারত মনে হয় আমাদের দেশে রাষ্ট ধর্ম ইসলাম থাকা সত্বেও সংখ্যালঘুদের উপর কোন রকমের বৈষম্য করা হচ্ছে না। কোথাও তাদের অধিকার হরণ করা হচ্ছে বলেত মনে হয় না। সমান আধিকার নিয়ে তারা আমাদের দেশে থাকতে সাচ্ছন্দ্য বোধ করেনা। স্বর্গে যেতে চায়। পাশের রাষ্টে তাদের জন্য স্বর্গ থেকে আনা পোলাও বিরিয়ানি মজুত করা আছে। তবে সবাই যে একই রকম তা নয়। কিছু আছে সত্য বোঝে।
আমার এলাকায় এক ডাক্তার ছিলেন। আমার গ্রামে আশে পাশে ভালোই নাম ডাক ছিল। আমিও তার কাছে থেকে একবার ঔষধ নিয়েছি। বাড়িতে একদিন তার গুন গান চলছে। এমন সময় আমার এক প্রতিবেশি তার আসল পরিচয় ফাঁস করলেন। তার নাকি এ দেশে থাকার ইচ্ছা নাই। এখানে নাকি তারা বঞ্চিত। আর বাড়িটা ছাড়াও তার এখানে অনেক জমি আছে।তিনি এইসব বিক্রির চেষ্টা করছেন। যা টাকা ইনকাম করে তার সবই দেশের বাইরে খরচ হয়। সেখানে তার পরিবার ভারা বাড়িতে থাকে । সেখানে আকাশ থেকে সুখ পরে, তারা সে গুলা খায়। এত সুখ যদি খাবি তাইলে আমাদের দেশে আয় উপার্জন করছিস কান? যা সেখানেই আয় কর। বেটা করলো ও তাই। বাড়ি বিক্রি করে সেখানে নাকি বাড়ি করেছে।বোধহয় এখন শুধু সুখ আর সুখ!! কিন্তু না এত সুখ আর সইল না। আবার দেশে এসে বেশি দাম দিয়ে জায়গা কিনে বসবাস শুরু করেছে। এবার আর পরিবারেও স্বর্গে থাকা লাগে না। কিন্তু তার ভারত পিরিতি কমেনি একটুও!! ফিরে এলেন কেন জিজ্ঞাসা করলে নাকি মারাত্বক ক্ষেপে যান।যাই হক, আমার মনে হয় তিনি একটু হলেও বুঝেছেন , রাষ্ট ধর্ম ইসলাম হলেও এখানে তাদের সুযোগ সুবিধা কম নয় বরং অনেকাংশে বেশি দেয়া হয়।কিন্তু কষ্ট একটায় তারা এখানে থাকবে খাবে। আর ভারতের দালালি করে যাবে।
তাহলে তারা কি ধর্ম নিরপেক্ষতা চাই? তারা নিজেরাই হিন্দু প্রধান রাষ্টে থাকতে চায়। যেখানে কুকুরের মত মুসলমান সংখ্যা লঘুদের মারা হয়, এটা অন্যায়। সে তুলনায় “রাষ্ট ধর্ম ইসলাম” এর এই বাংলাদেশ অনেক ভাল আছে। এখানে কোন সংখ্যালঘুকে অন্যায় ভাবে মারা হয়না। এখানে তাদের অনেক যন্তেই রাখা হয়েছে। উপরে ধর্ম নিরপেক্ষ ভিতরে ইসলাম অথবা ভিতরে হিন্দু উপরে ধর্ম নিরপেক্ষ এমন টাই কি ভাল? না, কখন নয়।
উপরে ধর্ম নিরপেক্ষ, ভিতরে গোড়া হিন্দু রাষ্ট ভারতের অবস্থা হল, যত দোষ মুসলমান ঘোষ।বাবরি মসজিদ যখন ভাঙ্গলো তার কোনো প্রটেক্সন পুলিস দেয় নাই । তারা নির্বিচারে দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখল, মুসলমানদেরকে মারা হলো নির্বিচারে |
কিন্তু এই আমাদের দেশে কোনো নামী মন্দির ভাঙ্গা হয়নি, বরং উনারা যাতে ঠিক মত পূজা করতে পারে আমরা সেই বেবস্থা করে দেই | দেশে কোন পুলিশের সামনে সংখ্যালঘু মারা হয়েছে বলে রেকর্ড নাই।
বরং উনারা চান্স পাইলেই আমাদেরকে খোচান | তার পরেও শুনতে শুনি বাংলাদেশে উনারা ভালো নাই | প্রায়ই শুনি মিস্ত্তির দোকান বেছে দাদা বাবুরা ভারতে চলে গেছেন, যেন ঐখানে উনারা মহা আনন্দে জীবন যাবন করবেন আর কি |
পরে ফিরে এসে আবার এদেশেই বসবাস করেন। তার পরেও বলেন দাদার দেশই ভাল।

ভারতীয়রা যে কত নোংরা মানসিকতার , তার উদাহরণ হছে, বহু পুরানো নায়ক দিলীপ কুমারের নামকরণ | হিন্দুরা এতোই গড়া যে উনারা যদি দেখতেন উনি একজন মুসলমান ( উনার নাম ইউসুফ খান ) তাহলে কেউ সিনেমা দেখবেন না | তাই উনি সারা জীবন ওই হিন্দু নামে অভিনয় করে গেলেন | বাংলাদেশে কি কোনো হিন্দুর এইগুলা করতে হয় ? এমন কোনো উদাহরণ নাই |

বাংলাদেশের কিছু মুসলমান আছে । এরা কেমন যেন কেচোর মত মালাওয়ানি জিনিস করতে পাইলে আনন্দ পায়, উনারাই বেশি বেশি ভারতের ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা তুলেন | ভারতে মুসলমানরা যে কত কষ্টে আছে ঐটা উনাদের চোখে পরে না,
কিছু দাঙ্গা হইলেই উনারা মুসলমান মাইরা ফেলে নির্বিচারে, যেন ঐখানে কুকুর হচ্ছে মুসলমান | একটা গরু পর্যন্ত জবাই দিতে পারে না কোরবানির সময় |
গোধরা ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডকে কেন্দ্র করে হত্যা করা হয়েছিল দুই হাজার সংখ্যালঘু মুসলমানকে। এতগুলো হত্যাকান্ডের কোন বিচার হয়নি। কিন্তু ট্রেনে ৫৯ জন নিহতের ঘটনায় ১১জন মুসলমানকে ফাঁসি দেয়া হলো। যদিও ২০০৫ সালে এক তদন্তে বলা হয়, দূর্ঘটনাবশতঃ অগ্নিসংযোগের ওই ঘটনা ঘটেছিল। কেউ হামলা চালায়নি।
ধর্ম নিরপেক্ষতার যদি এই হাল হয় যে সংখ্যালঘুরা মার খাবে । তাহলে দরকার কি সেই ধর্ম নিরপেক্ষতার? নাকি দাদাদের খুশি করতে এটা করতেই হবে? ভারত হল ধর্ম নিরপেক্ষতার মোরকে মোড়ানো গোঁরা হিন্দু রাষ্ট।আমরা কি তাদের অনুসরন করছি?
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৯:৪২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×