যদি এমন একটি ভোর হতো-
কুয়াশা বিন্দু বিন্দু করে জমে থাকবে
কচি ঘাসের ডগায়, আবার নেচে উঠবে
প্রভাতের গানে, সূর্যত্যাজে পালাবে না।
যদি পাখিরা আগের মতোই উড়ে যেত খুব স্বাধীনভাবে,
কর্ণকুহরে ঝাপটানো ধ্বনিতে সেই আলোড়ন যদি আবার হতো
তবে পৃথিবীতে সেই সময় হবে শ্রেষ্ঠ ভোর।
যদি হ্রদের ওপাশে হেলানো সেই বিকেলে
সূর্যটা ডুবে যেতে যেতে তাকিয়ে থাকতো
এই পৃথিবীর কত শত মুখগুলোতে-
যেখানে প্রচ্ছদের মতো ছবি ভেসে উঠে
কিন্তু হাসতে পারে না বোবাকান্নায়।
শতদিন খাঁচায় পাখি তো থাকে প্রাণহীন
দূরের নীলিমায় দৃ্ষ্টিতে ভাসে উড়ন্ত শৈশব
সেই পাখিটিও চায় না হেরে যেতে
সময়ের প্রতিক্ষায় বাসা বুনে যেতে থাকে।
যদি কখনো চাঁদটি আপন প্রিয়ার মতো
হঠাৎ আলোয় ভরে দিতো আলতো করে,
হ্রদের জলে জ্যোৎস্নায় পাহাড়ের কোলজুড়ে
মেঘের অবকাশ হতো শ্রেষ্ঠ পূর্ণিমার গল্প।
যদি মুকুলিত বৃক্ষটি আর না কাঁদতো-
এই অসময়ে বোনা ফসলের ক্ষেতে পঙ্গপাল
না এসে যদি ফিরে যেত, তবে খোলা চিঠি
মহারাজার কাছে সেই ভোরের প্রতিক্ষায়
-শুধরে দাও এই পৃথিবী।।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০২০ ভোর ৬:৩৯