সেবার একজনের সামনে দাঁড়িয়ে চকচকে মেঝের দিকে তাকিয়ে বলেছিলাম, আমি সম্ভবত তোমার প্রেমে পরেছি। সে খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো। বললো, তাই নাকি!
আমার হাত ধরে এককোণায় নিয়ে বললো, আমি লেখকদের কথায় বিশ্বাস করি না।আমি হতাশ-করুণ চোখে তার দিকে তাকালাম।
তার হাসিতো থামছিলই না।হঠাৎ হাসি থামিয়ে বললো, ঢোল কলমি ফুল, বক ফুল বা কড়ি ফুল হাতে নিয়ে ভালোবাসি বললে আমি যা বলবো তাই করবে।
কাজে লেগে গেলাম।সাত দিন পর, হতাশ ক্লান্ত আমি তার সামনে দাঁড়ালাম। যে কেউ দেখেই বুঝতো,আমি ব্যর্থ। আর সেতো বুদ্ধিমতী।
আবার হেসে বললো, আচ্ছা দম কলসের মধু খাওয়ালেও হবে।মাঠ, জঙ্গল, বোটানিক্যাল গার্ডেন কিছুই বাদ দিলাম না।কই? প্রেমের রসদ পেলাম না।
আজ পিয়ারপুর থেকে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড় ধরে বাড়ি ফিরছিলাম।পথের ধারে দলে দলে ঢোল কলমি ফুটে আছে, বাড়ির পাশে ঝোপে সাদা তারার মত জ্বলছে কড়ি ফুল।বক ফুল দেখা যায়নি,তবে রাস্তার দুপাশে দম কলসের অভাব কই?
আমার অত কিছুর দরকার নেই,আমি ঢোল কলমিই ছিড়ে নিলাম গোটা দুয়েক।
খুব আগ্রহ নিয়ে, হিমালয় জয়ের গর্ব নিয়ে তার দরজায় ঠক ঠক করলাম।দরজা সেই খুললো আর বললো, বাবু দেখে যাও কে এসেছে!তাড়াতাড়ি এসো।
আমার মত কালো কিন্তু মিষ্টি চেহারার একটি ছেলে শিশু বেড়িয়ে এলো। কোমড়ে একটা ঘুঙুর বাধা, আর ঝনঝনিয়ে আমার পাশে থেমে বললো, কে মা?
সে বললো, তাকিব দেখ তোমার মামা!মামাকে ছালাম দাও।
আমি চলে আসছিলাম।সে দৌড়ে কাছে এলো আর বললো, মাঝখানে চারটা বর্ষা কেটে গেল সে খেয়াল আছে? তাইতো!
নিজেকে ধিক্কার দিলাম,এগুলোতো বর্ষার ফুল আর আমি বসন্তে দুনিয়া তোলপাড় করেছি!
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:৪২