ব্লগজুড়ে পোস্টের ঝড়, অতঃপর...
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
ব্লগে এখন পোস্টের ঝড় বইছে। বেশিরভাগ পোস্টই হেফাজতে ইসলামকে নিয়ে এবং হেফাজতে ইসলামের বিপক্ষে। সকাল থেকে অনেকগুলো পোস্ট দেখলাম। ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বিষয় একই। অথচ আমার একটা পোস্ট সরিয়ে ফেলা হয়েছে এই নোটিশ দিয়ে যে, এই বিষয়ে আরো একটি পোস্ট ইতঃপূর্বে প্রকাশিত হয়েছে। কর্তৃপক্ষের এই সাম্যদৃষ্টি অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। এখন দেখা যাচ্ছে হেফাজতের দোষের শেষ নেই। দোষের একমাত্র কারণ তাদের দাবিগুলো কেন জামায়াতের দাবির সাথে মিলে গেলো।
জামায়াতে ইসলামী বা হেফাজতে ইসলাম নয়; ইসলাম যারা মানবে, তাদের সবার দাবি তো সবসময় একই হবে। বিরোধীদের গাত্রদাহের কারণ হলো ইসলামপন্থীদের ঐক্য। ডিভাইড অ্যান্ড রুলের নীতি যখন আর এই দেশে কাজ করছে না, এখন তারা অন্তরের ক্ষোভ থেকে নানান কথা বলছে। তাদের কাছে প্রশ্ন : ইসলামপন্থী কোনো দল কি কখনো মূর্তির পক্ষে বলেছে? ইসলামপন্থী কোনো দল কি কখনো অশ্লীলতা-বেহায়াপনার পক্ষে বলেছে? এদেশের কোনো ইসলামী দল কি কখনো ইসলামী শাসনব্যবস্থার বিরোধিতা করেছে? হ্যাঁ, তাদের যেসব বিরোধ ছিলো। কিন্তু সেসব বিরোধ কখনোই ইসলামের রীতিনীতি নিয়ে নয়। তাদের নিজেদের কিছু বিষয় নিয়ে হয়তো মতপার্থক্য ছিলো। কিন্তু—
১. তারা কখনোই ইসলামের কোনো বিধান না মানার পরও নিজেদেরকে খাঁটি মুসলমান বলে দাবি করেননি।
২. তারা কখনোই সেকুলারিজমের বাংলা ধর্মবিরোধিতা বা ধর্মহীনতার বদলে ধর্মনিপেক্ষতা করেনি।
৩. তারা পাকিস্তান গিয়ে ঘোড়া উপহার আনেন না; পাকিস্তানের পত্রিকা বা ম্যাগাজিনে তাদের বিষয় নিয়ে কভার স্টোরি হয় না; তারা পাকিস্তানের সাথে সীমান্তে গিয়ে এপার-ওপারের একই দাবি জানান না; তারা পাকিস্তানে সিঁদুর মাখতে যান না।
বরং কোনো ইসলামপন্থী যখনি ইসলামের কোনো বিষয় নিয়ে বলেন এবং সেটা আপনাদের বিরুদ্ধে যায়ম তখনি আপনারা তাকে কোরআন-হাদিসের ভুল ব্যাখ্যাদানকারী আখ্যা দেন; কিন্তু সঠিক ব্যাখ্যাটা কী, তা বলেন না।
যখনি ইসলামের কোনো বিষয় আপনাদের বিরুদ্ধে যায়, তখনি সেটাকে আপনারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে বলতে চান। মুক্তিযুদ্ধের সময় যেমন এদেশের আপামর মানুষ যুদ্ধ করেছিলো নিজেদের অস্তিত্বের খাতিরে, তেমনি গতকালও তারা সমবেত হয়েছিলো নিজেদের অস্তিত্বের খাতিরে। অনেক মুক্তিযোদ্ধার সাথে কথা বলেছি। তারা আপনাদের কামনা-বাসনাকে তখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে শোনেননি; এখন আপনার চেতনা বানাচ্ছেন নিত্য। তারা যে বিশ্বাস লালন করে, সেই বিশ্বাসের ভিত্তিতে তাদের জীবন পরিচালিত হোক, এটাই চায় তারা। কিন্তু আপনারা একদিকে ইসলামের বিরুদ্ধে বলেন; অন্যদিকে নিজেদেরকে মুসলমান বলে দাবি করেন। আপনারা তাহলে এই প্রশ্নগুলোর জবাব দিন—
১. আপনি কি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন? নামাজের জন্য যে আহ্বান, সেখানে বলা হয় আল্লাহু আকবার বা আল্লাহ সবচেয়ে বড়। আপনি কি আল্লাহর এই শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করেন?
২. নামাজ শুরু হওয়ার পর প্রথমেই ঘোষণা দেয়া হয় মহাবিশ্বে আল্লাহর প্রভুত্ব এবং শুধু তার গোলামির। আপনি কি এটা স্বীকার করেন?
যদি তা-ই করেন, তাহলে আপনাকে আল্লাহর দেয়া বিধানই মানতে হবে। কোরআনের বিধানের বাইরে অন্য কিছু মানা যাবে না। হয় আপনি মানবেন; কিংবা মানবেন না। রসূল যেভাবে বলেছেন সেভাবে করবেন বা করবেন না। কিন্তু নিজেকে মুসলমান দাবি করে ইসলামের কোনো বিষয়ের বিরোধিতা করবেন না।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
এশিয়ান র্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান !!
যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী 'টাইমস হায়ার এডুকেশন' ২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।তালিকায় ভারতের ৪০, পাকিস্তানের ১২টি, মালয়েশিয়ার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়... ...বাকিটুকু পড়ুন
ঢাকা শহর ইতিমধ্যে পচে গেছে।
স্থান: গুলিস্থান, ঢাকা।
ঢাকার মধ্যে গুলিস্থান কোন লেভেলের নোংড়া সেটার বিবরন আপনাদের দেয়া লাগবে না। সেটা আপনারা জানেন। যেখানে সেখানে প্রসাবের গন্ধ। কোথাও কোথাও গু/পায়খানার গন্ধ। ড্রেন থেকে আসছে... ...বাকিটুকু পড়ুন
রাজত্ব আল্লাহ দিলে রাষ্ট্রে দ্বীন কায়েম আমাদেরকে করতে হবে কেন?
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) কেড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুক্তির কোরাস দল
ঘুমিয়ে যেও না !
দরজা বন্ধ করো না -
বিশ্বাস রাখো বিপ্লবীরা ফিরে আসবেই
বন্যা ঝড় তুফান , বজ্র কণ্ঠে কোরাস করে
একদিন তারা ঠিক ফিরবে তোমার শহরে।
-
হয়তো... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাইডেন ইহুদী চক্তান্ত থেকে বের হয়েছে, মনে হয়!
নেতানিয়াহু ও তার ওয়ার-ক্যাবিনেট বাইডেনকে ইরান আক্রমণের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো; বাইডেন সেই চক্রান্ত থেকে বের হয়েছে; ইহুদীরা ষড়যন্ত্রকারী, কিন্তু আমেরিকানরা বুদ্ধিমান। নেতানিয়াহু রাফাতে বোমা ফেলাতে, আজকে সকাল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন