রোজা আসিলে অল্পস্বল্প জিলাপি-বেগুনি-পিয়াজু আলুর চপ ছোটোবেলা হইতে এইসব খাওয়ার অভ্যাস আর সকলের মতো আমারো ছিল।
আখেনাটেন ভাইয়ের এই পোস্টের পর বেগুনি খাইবার ইচ্ছা চলিয়া গিয়াছে।
গেছো দাদার এই পোস্টের পর জিলাপি খাইবার ইচ্ছা আর নাই।
ভুয়া মফিজ ভাই আলু র উপর পেটেন্ট লইয়া লইয়াছেন, ডাক্তারেও আলু পরিহার করিতে বলিতেছে।
বাকি থাকে পেঁয়াজু।
গত বছর বিরোধীদল ষড়যন্ত্র করিয়া পেঁয়াজের দাম বাড়াইবার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন উনি পেঁয়াজ খাওয়া বন্ধ করিয়াছেন। আমি পাপি-তাপি মানুষ। তাহাজ্জুদ গোজার হইয়া প্রধানমন্ত্রী কে অনুসরণ করার ধৃষ্টতা আমার নাই । মোক্ষ লাভের নিমিত্তে প্রধানমন্ত্রী কে অনুসরণ করা দরকার । এজন্য প্রধানমন্ত্রীর দেখাদেখি ঐ সময়ে পিঁয়াজ খাওয়া বন্ধ করিয়াছিলাম।
কয় দিন পূর্বে সরকারি ট্রাকের পিছনে লাইন দিয়া ষাট টাকা কেজি দরে আধা কেজি মসুর ডাল ক্রয় করিয়াছি। এক্ষণে পেঁয়াজ পানির দরে যাইতেছে । কিন্তু পিঁয়াজু খাওয়া উচিৎ হইবে কিনা বুঝিতে পারিতেছি না। পেঁয়াজের মূল্য হ্রাস পাইবার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পেঁয়াজ খাওয়া শুরু করিয়াছেন কিনা জানা নাই। যদি কোন হৃদয়বান ব্যক্তি জানাইতে পারেন তবে আজীবন ঋণী থাকিবো।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:১৪