১। লিয়াকত আলী -হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি
লিয়াকত আলীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা করা হয়েছে। হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ এর আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার বাদী হচ্ছেন লাখাই কৃষ্ণপুর গ্রামের হরিদাস রায়। মামলায় ২৫ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রোববার ভোর ৫টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে প্রধান আসামী লিয়াকত আলীর নেতৃত্বে পাক বাহিনী উপজেলার কৃষ্ণপুর, গদাইনগর ও চণ্ডিপুর গ্রামে ১২৭ জনকে হত্যা করে। আরজিতে শহীদ ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
২।আকবর আলীর -বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আকবর আলীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা হয়েছে। আকবর আলী কিছুদিন আগেও আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে সক্রিয় ছিলেন।
১৯৭১ সালের ১৭ মে আসামি আকবর আলী পাক হানাদার বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বাদীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেন এবং যাবার সময় আগুন দিয়ে ঘর পুড়িয়ে দেয়। প্রামাণিকের ছেলে আকবর আলী পাক হানাদার বাহিনীর সহযোগী ও শান্তি কমিটির নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি এলাকায় নারী ধর্ষণ ও লুটপাটে পাক হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতা করেছেন।
৩।আব্দুল হামিদ গাজী -(তথা কথিত আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা ) শ্যামনগর থানার কাশিমারি গ্রামের কানাই গাজীর পুত্র
৪।আনোয়ার হোসেন কারিকর -বর্তমানে সাতক্ষিরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি
৫।আদর আলী কারিকর- (আনোয়ার হোসেন কারগরের ভাই)
৬।আব্দুস সবুর মোল্লা -সাতক্ষিরার শ্যামনগর উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী।
৭।ছইলউদ্দীন তরফদার-কাশিমারি ,শ্যামনগর,সাতক্ষিরা
৮।আব্দুল হক তালুকদার-কাশিমারি ,শ্যামনগর,সাতক্ষিরা
৯।আব্দুস সবুর মোল্লা-কাশিমারি ,শ্যামনগর,সাতক্ষিরা
১০। রহিম পাড় -কাশিমারি ,শ্যামনগর,সাতক্ষিরা
১১।সেলিমের বেয়াই মুসা বিন শমসের
১২।হাসিনার বেয়াই মোশাররফ- ফরিদপুরের শান্তি কমিটির লীডার
১৩। আনোয়ার হোসেন- আওয়ামী লীগের সাংসদ
১৪।মাওলানা নুরুল ইসলাম- সাবেক ধর্মমন্ত্রী
১৫। চৌধুরী পিরু মিয়া- সিলেট-৩ আসনের সাংসদ
চলবে...........................................
এই হলো আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগের অবস্থা! তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়, কিন্তু নিজেরা যুদ্ধাপরাধীদের লালন করে, তারা অন্য দলে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে বলে দাবি করে কিন্তু নিজেরাই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সার্টিফিকেট দেয়, তারা জঙ্গীবাদের বিরোধীতা করে কিন্তু জঙ্গীদের তারাই পৃষ্ঠপোষকতা করে, তারা অন্যদের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ ও সন্ত্রাসের অভিযোগ তোলে কিন্তু নিজেরাই এক্ষেত্রে সর্বকালের রেকর্ড ভেঙ্গেছে। ধিক, ওদের স্ববিরোধীতাকে।