তৌফিক আহমেদর লেখার প্রেক্ষিতেই এ লেখার অবতারনা। আমরা আসলে পৈশাচিকতার বিরুদ্ধে লড়ছি, না নিজেদেরকে পৈশাচিক করে তুলছি সেটিই প্রশ্ন। মানবতাই নাকি মানবের মূল সুর। কিন্তু এভাবেই মানবতা ভুলুণ্ঠিত হচ্ছে যুগে যুগে। বর্তমান কাহিনীর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অনেক বর্বর কাহিনীরই জন্ম হচ্ছে পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ নানা দেশে। যারা ইসলামিক আইন ও জীবন ব্যবস্থার ধারক বাহক। মানুষ হত্যা যেখানে মহাপাপ, সেখানে পারিবারিক মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে সন্তান হত্যা কতটা পূণ্যের কাজ তা ধর্মে কোথাও উল্লেখ নেই। অমাদের দেশেও একাত্তরে মা বোনের সম্ভ্রম লুট করা হয়েছে, প্রতিবেশীকে হত্যা করে তার স্ত্রীকে দিনের পর দিন নির্যাতন কক্ষে রেখে পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে শুধু ধর্মীয় অখণ্ডতা রক্ষার স্বার্থে। ধর্ম মানুষকে যতটুকু শান্তি, সৌহার্দ্য আর সৌম হতে শেখায়, ধর্মীয় উগ্রপন্থা ততটাই অমানুষে পরিণত করে মানুষকে। ধর্মই আমাদেরকে ধারনা দিয়েছে আইয়্যামে জাহেলিয়াত যুগ সম্পর্কে, আবার ধর্মই ধারনা দেয় একটি মানবতাপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থার। দেখুন ইরাক কিংবা আফগানিস্তানের মতো দেশে মুসলীম উগ্রবাদী চেতনার ধারক বাহকরা তাদের চিন্তার এই ধ্বংসাত্মক উত্তাপের কারণেই চরম ক্ষতির শিকার হয়েছে। এখনও হচ্ছে। পাকিস্তানও হচ্ছে। একটি পাবিরারিক হত্যাযজ্ঞ, রাষ্ট্রীয় সর্বনাশেরই ভিত্তিভূমি। আমাদের দেশের উগ্রবাদী চেতনার ধারক বাহকদের সাবধান হওয়ার বার্তা আছে, আপনার লেখাটির মধ্যে। লেখায় সূত্র উল্লেখ করলে সুবিধে হতো। তারপরও সমকালীন এই লেখাটি দারুণ হৃদয়গ্রাহী ও বস্তুনিষ্ঠভাবে উপস্থাপনের জন্য তৌফিক আহমেদকে অসংখ্য ধন্যবাদ
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৮:৫৬