somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রায়ঁট বাঁধবেই

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেক বিখ্যাত সাহাবী ও আলেম প্রচলিত কোরান নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছেন।
তাদের কথামালা এবং আরো কিছু সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য নিয়েই আজকের এই ছোট্র পাতা।
এক-কোরানের অক্ষর সংখ্যা কতো?
উইকিপিডিয়ায় দেখলাম, এখানে দেয়া আছে ৩,৫০,১২৭ টি। এর রেফারেন্স কী, জানি না তবে সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাসের মতে, কোরানের অক্ষর সংখ্যা ৩,২৬,৬৩১ টি।
কিন্তু অনেকে এসব সংখ্যার সাথে দ্বিমত পোষণ করেছেন। যেমন, নিম্নোক্ত ব্যক্তিবর্গ খলিফা উমরের সূত্রে মতামত দিয়েছেন যে, কোরানে মোট ১০,২৭,০০০ টি হরফ বা অক্ষর রয়েছে।
০১) মুত্তাকি আল হিন্দি রচিত ‘কানযুল আম্মাল’ গ্রন্থের ১ম খণ্ডের ১৩৫ পৃষ্ঠা।
০২) আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ুতি রচিত ‘আল ইতকান’ গ্রন্থের ১ম খণ্ডের ৮৮ পৃষ্ঠা এবং ‘জামে আস সাগীর’ গ্রন্থের ১ম খণ্ডের ৮৮ পৃষ্ঠা।
সোয়া দশ লক্ষ এবং সাড়ে তিন লক্ষের মধ্যে অনেকখানি পার্থক্য রয়েছে।
তাহলে অবশিষ্ঠ অক্ষরগুলো এখন কোথায়?
পরবর্তীতে আমরা দেখবো যে, কোরানের একটা বড়ো অংশ হারিয়ে গেছে।
দুই-কোরানে মোট কতটি আয়াত আছে?
ইসলামিক ফাউণ্ডেশন কর্তৃক সম্পাদিত ‘সংক্ষিপ্ত ইসলামি বিশ্বকোষ’ গ্রন্থের ৩য় মূদ্রণ ১ম খণ্ডের ৭০ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে,‘আরবের বিভিন্ন অঞ্চলের ক্বারিগণ কোরানের আয়াতের সংখ্যা নির্ধারন করেছেন;
কুফীদের মতেঃ ৬,২৩৬ টি আয়াত;
বসরাবাসীদের মতেঃ ৬,২১৬ টি আয়াত;
সিরিয়াবাসীদের মতেঃ ৬,২৫০ টি আয়াত;
ইসমাঈল ইবনে জাফর মাদানীর মতেঃ মতে ৬,২১৪ টি আয়াত;
মক্কীদের মতেঃ ৬,২১৮ টি আয়াত;
বিবি আয়েশার মতেঃ ৬,৬৬৬ টি আয়াত।’
কিন্তু বেশকিছু আলেম রয়েছেন, যারা কোরানের আয়াতসংখ্যা নিয়ে একেবারে অন্যরকম মন্তব্য করেছেন। যেমন-
০১) কাসিম বিন সালিম তার ‘ফাজায়েলে কোরান’ গ্রন্থের ২য় খণ্ডের ১৩৫ পৃষ্ঠায় আবদুল্লাহ ইবনে উমরের সূত্রে বর্ননা করেছেন যে, কোরানের বেশীর ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। তাই, লোকদের বলা উচিত যে, সে ঐ কোরান পেয়েছে, যা তার সামনে রয়েছে। উল্লেখ্য যে, এই সহিহ হাদিসকে শিক্বাহ (বিশ্বস্ত), হুজ্জাহ (প্রমাণিত), সাবিত (গ্রহনযোগ্য) এবং এর বর্ণনাকারীকে তাবেঈদের ইমাম বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
০২) কোরানের বেশীরভাগ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ব্যপারে আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ুতি তার ‘আল ইতকান’ গ্রন্থের ২য় খণ্ডের ৬৪ পৃষ্ঠায়, ‘তাফসিরে দুররুল মানসুর’ গ্রন্থের ১ম খণ্ডের ১০৬ পৃষ্ঠায়, আল্লামা আলুসি তার ‘তাফসিরে রুহুল মা’আনি’ গ্রন্থের ১ম খণ্ডের২৫ পৃষ্ঠায় এবং শিয়া আলেম আল কুলাইনি তার ‘উসুসুল কাফি’ গ্রন্থের ২৮৪-৮৫ ও ৬৩৪ পৃষ্ঠায় বলেছেন।
তিন-কোরান সর্বমোট কতো পারা?
মাদ্রাসায় আমাদের বলা হয়েছিল, কোরান ত্রিশ পারা।
বর্তমানে প্রচলিত কোরানও ত্রিশ পারা কিন্তু নিম্নোক্ত প্রাচীন আলেমগণ বলেছেন, কোরানের পারার সংখ্যা ছিল সর্বমোট চল্লিশটি।
০১) ইবনে হাজার আসকালানি রচিত ‘ফাতহুল বারি’ গ্রন্থের ৯ম খণ্ডের ৯৫ পৃষ্ঠা।
০২) আল্লামা কাস্তালানি রচিত ‘ইরশাদ আল সারি’ গ্রন্থের ৭ম খণ্ডের ৪৮২ পৃষ্ঠা।
০৩) বদরুদ্দিন আইনি রচিত ‘উমদাতুল কারি’ গ্রন্থের ৯ম খণ্ডের ৩৪৫ পৃষ্ঠা।
চার-সুরা তাওবার প্রথম অংশ কি হারিয়ে গেছে?
বর্তমানে সুরা তাওবার আয়াত সংখ্যা ১২৯ টি। কিন্তু দাবী করা হয়, এটি দৈর্ঘ্যের দিক থেকে সুরা বাকারার (২৮৬ টি) সমান ছিল।
এ সম্পর্কে নিম্নোক্ত গ্রন্থসমূহে বিশদভাবে বলা হয়েছে।
০১) ‘তাফসিরে ফাতহুল কাদির’ গ্রন্থের ২য় খণ্ডের ৩১৭ পৃষ্ঠা।
০২) ইমাম কুরতুবি তার ‘তাফসিরে কুরতুবি’ গ্রন্থের ৮ম খণ্ডের ৬২ পৃষ্ঠা।
০৩) আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ুতি তার ‘আল ইতকান’ গ্রন্থের ১ম খণ্ডের ৮১ পৃষ্ঠায় এবং‘তাফসিরে দুররুল মানসুর’ গ্রন্থের ৩য় খণ্ডের ২০৮ পৃষ্ঠা।
পাঁচ-সুরা আহযাবের অবশিষ্ট অংশ এখন কোথায়?
প্রচলিত কোরানের সুরা আহযাবে আমি দেখেছি, এখানে আয়াত আছে ৭৩ টি।
কিন্তু বেশকিছু রেফারেন্সে দেখা গেছে, এর আয়াত ছিল ২০০ বা তারও বেশী। তবে, খলিফা ওসমান কর্তৃক কোরানসংকলনের সময় বাকি আয়াতগুলো বাদ পড়ে গেছে।
এ প্রসঙ্গে প্রমান হিশেবে নিম্নোক্ত বইগুলোর সাহায্য নেয়া যেতে পারে-
০১) আল্লামা ইবনে কাসির রচিত ‘তাফসিরে ইবনে কাসির’ গ্রন্থের ৪র্থ খণ্ডের ৪৬৫ পৃষ্ঠা।
০২) আল্লামা জালামুদ্দিন সুয়ুতি চরিত ‘তাফসিরে দুররুল মানসুর’ গ্রন্থের ৫ম খণ্ডের ১৮০ পৃষ্ঠা এবং ‘আল ইতকান’ গ্রন্থের২য় খণ্ডের ৩০ পৃষ্ঠা।
০৩) ইমাম কুরতুবি রচিত ‘তাফসিরে কুরতুবি’ গ্রন্থের ৭ম খণ্ডের ১১৩ পৃষ্ঠা।
০৪) ‘তাফসিরে ফাতহুল কাদির’ গ্রন্থের ৪র্থ খণ্ডের ২৫১ পৃষ্ঠা।
০৫) সানাউল্লাহ পানিপথি রচিত ‘তাফসিরে মাযহারি’ গ্রন্থের ৭ম খণ্ডের ৩০২ পৃষ্ঠা।
০৬) আল্লামা আলুসি রচিত ‘তাফসিরে রুহুল মা’আনি’ গ্রন্থের ১২১ পৃষ্ঠা।
০৭) ‘তাফসিরে কাশশাফ’ গ্রন্থের ২য় খণ্ডের ২০৪ পৃষ্ঠা।
০৮) ‘তাফসিরে ঘারাইব আল কোরান’ গ্রন্থের ৭ম খণ্ডের ৭৫ পৃষ্ঠা।
০৯) রাঘিব ইস্পাহানি রচিত ‘আল মুহাযরাত’ গ্রন্থের ৪র্থ খণ্ডের ৪৩৪ পৃষ্ঠা।
ছয়-কোরানে চতুর্থ খলিফা আলী সংক্রান্ত আয়াতগুলো বাদ পড়লো কেনো?
বর্তমানে প্রচলিত কোরানের কোথাও খলিফা আলী’র কথা উল্লেখ নেই। কিন্তু অনেকে সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, খলিফা আলীর শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কিত আয়াতসমূহ মুছে ফেলা হয়েছে।
০১) আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ুতি রচিত ‘তাফসিরে দুররুল মনসুর’ গ্রন্থের ২য় খণ্ডের ২৯৭ পৃষ্ঠা।
০২) আল্লামা আলুসি রচিত ‘তাফসিরে রুহুল মা’আনি’ গ্রন্থের ৯ম খণ্ডের ১৯৩ পৃষ্ঠা।
০৩) ‘তাফসিরে ফাতহুল কাদির’ গ্রন্থের ২য় খণ্ডের ৫৭ পৃষ্ঠা।
০৪) ‘তাফসিরে মাযহারি’ গ্রন্থের ৩য় খণ্ডের ৩৫৩ পৃষ্ঠা।
উপরে দেয়া রেফারেন্সের আলেমগণ সুন্নি। এদের সাথে সাথে কিছু শিয়া আলেমও দাবী করেন যে, খলিফা আলী সম্পর্কিত এক বা একাধিক সুরা বিকৃত করা হয়েছে।
সাত- সুরা তাওবার সমান দৈর্ঘ্যের একটি সুরার কী হলো?
অনেকে বলেছেন, সুরা তাওবার মতো দীর্ঘ একটিসুরা হারিয়ে গেছে।
বেশ কয়েকটি তাফসির গ্রন্থে এবং সহিহ মুসলিমে এই হারিয়ে যাওয়া সুরা সংক্রান্ত আলোচনা রয়েছে।
০১) ইমাম মুসলিম সংকলিত ‘সহিহ মুসলিম’ হাদিস গ্রন্থের ২২৯০ নং হাদিস।
০২) ‘জামে আল উসুল’ গ্রন্থের ৩য় খণ্ডের ৫৩ পৃষ্ঠা।
০৩) ‘মুস্তাদরক আল হাকিম’ গ্রন্থের ২য় খণ্ডের ২২৪ পৃষ্ঠা।
০৪) আল্লামা আলুসি রচিত ‘তাফসিরে রুহুল মা’আনি’ গ্রন্থের ২য় খণ্ডের ২৫ পৃষ্ঠা।
০৫) ‘মজাম আল জাওয়াইদ’ গ্রন্থের ৭ম খণ্ডের ১৪০ পৃষ্ঠা।
০৬) আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ুতি রচিত ‘তাফসিরে দুররুল মানসুর’ গ্রন্থের ১ম খণ্ডের ১০৫ পৃষ্ঠা।
০৭) রাঘিব ইস্পাহানি রচিত ‘আল মুহাযরাত’ গ্রন্থের ৩য় খণ্ডের ৪৩৩ পৃষ্ঠা।
আট- হাফদ/হাকদ এবং খুলা নামের সুরা দুটির অস্তিত্ব বিলীন হয়েছে কেনো?
বর্তমানে প্রচলিত কোরান সংকলন করা হয়েছে যায়েদ ইবনে সাবিতের তত্ত্বাবধানে।
অথচ হাদিস গ্রন্থ বুখারিতে বলা হয়েছে, নবী মুহাম্মদ চারজন সাহাবীর কাছে কোরান শিক্ষা নিতে বলেছেন, যাদের ভেতর যায়েদ ইবনে সাবিত ছিলেন না। এদের মধ্যে দুজন হলেন উবাই ইবনে কাব এবং আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ।
উবাই ইবনে কাব সংকলিত কোরান ‘মুসহাফ’ এ উল্লিখিত সুরা হাফদ/হাকদ এবং সুরা খুলা যায়েদ ইবনে সাবিত সম্পাদিত বর্তমান কোরানে রাখা হয়নি। সংক্ষিপ্ত এই সুরা দুটি সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ এবং আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাসের কোরানেও ছিল;
এমনকি খলিফা উমর তার নামাজে এই সুরা দুটি পড়েছেন।
এদের ব্যপারে নিম্নোক্ত ব্যক্তিবর্গ বিস্তারিত বর্ননা দিয়েছেন।
০১) আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ুতি রচিত ‘তাফসিরে দুররুল মানসুর’ গ্রন্থের ৪র্থ খণ্ডের ৪২১ ও ৬৯৬ পৃষ্ঠা এবং ‘আল ইতকান’ ১ম খণ্ডের ১৭২-৭৫ পৃষ্ঠা।
০২) আল্লামা আলুসি রচিত ‘তাফসিরে রুহুল মা’আনি’ গ্রন্থের ১ম খণ্ডের ২৫ পৃষ্ঠা।এছাড়া, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদের কোরানে সুরা ফালাক ও সুরা আন নাসকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
নয়- কোরানের আয়াত কি ছাগলে খেয়ে ফেলতে পারে?
উম্মুল মু’মিনিন আয়েশার কাছে রক্ষিত দুধপান সংক্রান্ত একটি আয়াত ছাগলে খেয়ে ফেলেছিল। ফলে সেই আয়াতটি আর কোরানে সংকলন করা হয়নি। এর প্রমাণ হিসেবে সহিহ হাদিসের পাশাপাশি কয়েকটি তাফসির গ্রন্থের রেফারেন্সে দেয়া হলো-
০১) ইমাম মুসলিম সংকলিত ‘সহিহ মুসলিম’ হাদিস গ্রন্থের ৩৪২১ নং হাদিস।
০২) ইবনে মাজা সংকলিত ‘সুনান’ গ্রন্থের ১৯৩৪ নং হাদিস।
০৩) আল্লামা আলুসি রচিত ‘তাফসিরে রুহুল মা’আনি’ গ্রন্থের ৪র্থ খণ্ডের ২৫৪ পৃষ্ঠা।
দশ- রজম বা পাথর নিক্ষেপে হত্যা করার আয়াত এখন কোরানে যুক্ত হবে কী?
রজমের আয়াত বর্তমান কোরানে উল্লেখ নেই। কিন্তু বিভিন্ন সূত্র থেকে দেখা যাচ্ছে যে, এটি নিয়ে আয়াত অবতীর্ণ করা হয়েছিল;
কিন্তু তা কোরান সংকলনের সময় যুক্ত করা হয়নি।
রজমের আয়াতের আলোচনা বিষয়ক সূত্র নিচে উল্লেখ করা হলো-
০১) ইমাম বুখারি সংকলিত ‘সহিহ বুখারি’ হাদিস গ্রন্থের ৮১৬ নং হাদিস।
০২) ইবনে মাজা সংকলিত ‘সুনান’ হাদিস গ্রন্থের ১৯৪৪ নং হাদিস।
০৩) ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল সংকলিত ‘মুসনাদ’ হাদিস গ্রন্থের ১ম খণ্ডের ২৭৩-৭৪ পৃষ্ঠা।
০৪) আল্লামা ইবনে কাসির রচিত ‘তাফসিরে ইবনে কাসির’ গ্রন্থের ৩য় খণ্ডের ২৬১ পৃষ্ঠা।
০৫) ইমাম বায়হাকি রচিত ‘সুনান আল কুবরা’ গ্রন্থের ৮ম খণ্ডের ২১১ পৃষ্ঠা এবং ‘মারেফাত আল সুন্না ওয়াল আশার’ গ্রন্থের ৬ষ্ঠ খণ্ডের ৩২৩ পৃষ্ঠা।
০৬) ইমাম নাসায়ী রচিত ‘সুনান আল কুবরা’ গ্রন্থের ৪র্থ খণ্ডের ২৭৩ পৃষ্ঠা।শেষের দিকে এই কথাটি উল্লেখ করা দরকার যে, তাফসিরকারক বা মুফাসসিরগণ তাদের বইতে যা লিখেছেন, তা বিভিন্ন হাদিসশাস্ত্র থেকে বাছাই করা হাদিসের ব্যাখ্যার ফসল।
আর কোরান তাফসির বা ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে ইবনে কাসির, জালালুদ্দিন সুয়ুতি, আল্লামা আলুসি, ইমাম বায়হাকি, ইমাম কুরতুবি প্রমুখকে শ্রেষ্ঠ মুফাসসির হিসেবে গণ্য করা হয়।এসবের বাইরেও কোরানের অনেক সমস্যা রয়েছে।যেমন, এর সুরাগুলোর ক্রমবিন্যাস হচ্ছে উল্টা-পাল্টা। পরে অবতীর্ণ হওয়া অসংখ্য সুরাকে আগে স্থান দেয়া হয়েছে। এমনকি সিরিয়ালের তোয়াক্কা না করে আগে আসা অনেক আয়াতকে শেষের দিকে রাখা হয়েছে।এছাড়া, ব্যাকরণের অতি সাধারণ নিয়ম-কানুনকেও কোরানের অনেক আয়াতে যথাযথভাবে অনুসরন করা হয়নি। আরো মারাত্নকব্যপার হলো, অসংখ্য আয়াত একবার অবতীর্ণ হওয়ার পর সেগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করে এর স্থলে অন্য আয়াত আনতে হয়েছে। এগুলো ‘মানসুখ’ বা ‘রহিত’ হয়ে যাওয়া আয়াত নামে পরিচিত।অথচ ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি, পৃথিবীর একমাত্র বিশুদ্ধ গ্রন্থ হচ্ছে
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫৭
৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×