সোডিয়াম বাতির হলুদ আলোর
নিচে নিশাচরী ব্যস্ততা
কাঁথা মুড়ি দিয়ে
ফুটপাতের উপর শুয়ে থাকা
সারি সারি মানুষ
পা ঢাকলে বের হয় মাথা
মাথা ঢাকলে পা
কোটি টাকার হোটেলের
রাস্তার পাশের ডাস্টবিনে
উচ্ছিষ্ট ফেলতে যত দেরি
দেরি নেই ঝাঁপিয়ে পড়ার
জন্য কাক-কুকুরের দল
এবং অনাহারী শিশুগুলোর
জন্মদিনের আনন্দ নিয়ে ঘুম
ভাঙে দশ বছরের সোনাবারুর
সেই আনন্দে যোগ হওয়া
আনন্দ - প্রথম স্থান অধিকার
ব্যস্ত-মলিন সংসারে আনে
কিছু নির্মল-শুভ্র আনন্দ
আর অমূল্য পাঁচ টাকার কেক
ক্ষুধার তাড়নায় সেই আনন্দ
ধুলায় লুটায়- আনে হাহাকার
জন্ম দেয় বুক ভরা কান্নার
কিন্তু না, নেত্র কোণায় আমাদের
আর জমে না অশ্রু
অশ্রুভাণ্ডারই শেষ হয়েছে
শুকিয়ে গেছে সেই কবে
বলার মত মুখ নেই
চোখ থাকিতেও অন্ধ
কেন- কেন, কেন?
হে বিধাতা, আর যে পারিনা
সইতে এ পাপের বোঝা
আমদের চক্ষু হোক শীতল
দাও করে দাও বধির
নিপীড়িতের এই আস্ফালন
ভুলেও যেন কখনো
কর্ণকুহরে অনুপ্রবেশ না করে
অথবা মৃত্যু দাও আমায়...