দূর আকাশের ঐ চাঁদ
জ্যোৎস্না ছড়িয়ে রাতে
দৃষ্টিসীমাকে করেছে মায়াময়—আর
হাতছানি দিয়ে ডাকে
গভীর প্রণয়ে হারিয়ে যাবার
সম্মোহনে আচ্ছাদিত আমন্ত্রণে।
যাচ্ছি চড়ে বাসে।
সেই দুধেল জ্যোৎস্নাকে খুঁজে ফিরি
চক্ষু অনুসরণ করে মায়াবী চাঁদকে
কিন্তু মায়াবতী সে চাঁদ
সহজে ধরা দেবার নয়।
চপলা হরিণীর মত
চঞ্চলা প্রেয়সীর মত
লুকোচুরি খেলে যায় অবিরত।
খুঁজে যাই তাকে বেগে ধাবমান
চলনপথের পাশে।
লম্বা গাছগুলোর মাথায়
সাঁটিয়ে রাখি চোখ—এদিকে
ধবল পূর্ণিমা হঠাৎ দেখা দিয়ে
নিমেষেই নেই হয়ে যায়।
শরীরে বুলিয়ে দেয়
হালকা ভালোলাগার ছোঁয়া
আর মেলে যায় মনে
সুখানুভুতির পরশ।
শীতল হয়ে মুদে আসে চোখ
আবেশে ভরে যায় মন,
ঘুম ঘুম ভাব আসে দেহে
অনুভবে হয় ষোলকলা পূরণ।
এসময় গাছের লুকোচুরি আর
মেঘের আড়াল ছেড়ে
চন্দ্র উদয় ঘটে উন্মুক্ত প্রান্তরে।
মিটিমিটি হেসে যেন বলে—দেখ,
আঁখি দুটি মেলে তোমার;
পূর্ণযৌবনা মধুচন্দ্রিমার রূপ।
সুখস্মৃতি নাও দু’হাত ভরে
যবে অতৃপ্তি রহিবে না অন্তরে।
মোহাবিষ্ট হয়ে স্বর্গীয় আবেশে
সিটে এলিয়ে দিয়ে দেহখানা
পাড়ি দিয়ে যাই দূরের পথ
ক্লান্তিহীন বাসের তালে তালে।