প্রচন্ড বাতাস আর অবিরাম বৃষ্টি
উড়িয়ে নেয় সবকিছু আর
টেবিলের উপর বইয়ের পাতাগুলো
উল্টাতে থাকে একের পর এক,
দ্রুতগতিতে একই সাথে।
হিমশীতল বাতাস দেহে বুলিয়ে
দিয়ে যায় ঠান্ডা সুশীতল পরশ।
ভাবুক হৃদয় জেগে ওঠে,
মনের মাঝে মাথা চাড়া দেয়
কাব্যপ্রতিভা -বলে, চলো লিখি
আরো একটি কবিতা- যেখানে
থাকবে শুধুই কল্পনার রাজ্য।
বাস্তবের দরজার ছিটিকিনি হতেও
আলোকবর্ষ দূরে - সব সম্ভবের দেশে,
যেখানে কেউ আমাদের পারবে না
ছুঁতে- বলবে না এতে আছে মানা।
যাচ্ছেতাই ভাবে করব যাপন,
লিখব ইচ্ছেমত যত্ত কবিতা
যতক্ষণ না মনের সাধ মিটে
ততক্ষণ শুধু বলতে থাকব
এ আমার মনের গভীরতা?!
আরে! আমিইতো জানতাম না
এই তো জীবন, নাহ, এ ছেড়ে
আমি যাচ্ছিনে আর কোথাও।
হে সময়! তুমি স্থির হও
যদি তুমি পার নতুবা
আমাকে ছুঁড়ে ফেলে দাও
তোমার বদ্ধ গোলকধাঁধা থেকে
যাতে আমার এই প্রশস্ত মন
আর কোন মেকি ব্যস্ততার জালে আবার
আটকা না পড়ে, আমি
থাকতে চাই এ মায়ার ঘোরে
হোক তা হেলুসিনেশন বা
কারও বানানো মায়ার কুহেলিকা।
আমি হারিয়ে যেতে চাই
আরো, আরো, আরো গভীরে
হোক তা ব্ল্যাকহোলের চেয়েও
অন্ধকার-অসীম গহবর-তলদেশ
তবু বেঁচে থাক মনের গভীরভাব
ভাবতে ভাবতে করে দিক ক্লান্ত
হয়ে যাক শেষ যদি সে চায়
যে যাই বলুক- সেভাবে শেষ
হলেও থাকবে না কোন আফসোস
অথবা না পাওয়ার কোন আকাংক্ষা
কারণ আমি এতেই পেয়েছি
অনন্ত ফ্যান্টাসীর সাধ- যা মনে
হয়ে থাকুক চির জাগরূক
অদৃশ্য শক্তি আষ্টেপৃষ্টে রাখুক
বেঁধে- কি আসে যায় তাতে?
তবুও দিতে পেরেছি ফাঁকি
ঠুনকো বাস্তবের মিথ্যে আশার দঙ্গলকে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:০৩