আজ কিছু বলবো! কিছু নিজের চাপা পিষ্ট কথা!
যেখানে বলবো একের ভিতর মন আর বিবেকের কথা!
ইচ্ছে করছে খুব!ইচ্ছেকে খুন করতে খুব মায়া হয়!
খুনিতো আর হতে পারি না! তাই ইচ্ছের পোষ মানি বরাবর!
অপরকে নিয়ে বলতে ইচ্ছে করে! কিন্তু আমার মধ্যের শতজনকে
কে জানাবে?
তাদের ইচ্ছে গুলোকে আলতো ভাবে চেয়ে যাবে কে?
কে আমার ইচ্ছে গুলোকে সান্তনা দিবে?
যদি দিতে পারেন তবে বলতে পারি!
নিজেকে নিয়ে কিছু বলবো? সময় আছে তো আপনার?
আমি আবার ভালো বক্তা নই!আর আমাকে নিয়ে জানার ও অত কিছু নেই!
কিসের এতো দেরি?
আসুন একটা গান শোনাই!
“চার পায়ার ওই ঘুমের গাড়ি
আসমান ভরা জোছনার তরী
পাল ভিড়াইয়্যা উঠানে মোর
সাদা জোছনার চাদর পরি
শুইয়্যা একজন আজ দিবে পাড়ী
রাইখা সাদের বসত বাড়ী
সাধের সংসার পিছে ফেইলা
আজ দেবে পাড়ী
চার পায়ার ওই ঘুমের গাড়ি
আসমান ভরা জোছনার তরী
পাল ভিড়াইয়্যা উঠানে মোর
সাদা জোছনার চাদর পরি
ঘুম গাড়ি তোর যায়রে চইলা
আট পায়েতে কইরা ভর
আট কুঠুরী নয় দরজা
বন্ধ হইল চিরতর
জমিন আছে ছাদ যে তাহার নাই
সাড়ে তিন হাত কইরা মাটির ঠাই
প্রাসাদ ছাইড়া কেমনে শুইলা মাটির ঘুম ঘরে
হায় রে
প্রাসাদ ছাইড়া কেমনে শুইলা মাটির ঘুম ঘরে
চার পায়ার ওই ঘুমের গাড়ি
আসমান ভরা জোছনার তরী
পাল ভিড়াইয়্যা উঠানে মোর
সাদা জোছনার চাদর পরি ”
আসলে আমার কাছে জীবনটা এমনি!আজ চার পায়ার
নরম বিছানায় শুয়ে আছি,কাল শুবো মাটির বিছানায়!
পার্থিব মানুষের মায়ার পরে গেছি! নাহয় ঘুমের
গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতাম না!
নিজেই করে নিতাম নিজের ঘুমের গাড়ি!
সময় অনেক নষ্ট করে দিলাম! দুঃখিত!
আসলে আমার এসবে সয়ে গেছে!
কি যেনো বলছিলাম??? ও আচ্ছা আমাকে নিয়ে!
বলছি তাহলে!
জগতের সমচেয়ে বড় ভুল কি জানেন??- এই আমি!
সময়ের কলঙ্ক কি জানেন?- এই আমি!
আমার জীবনের সমচেয়ে বড় ভুল কি জানেন?- তাও আমি নিজে!
তবু দুঃখ পাই না! এসব চিন্তা করতে নিজের ভিতর প্রশান্তি পাই!
হোক না আমার জীবন বাকি ১০-২০ টা মানুষের থেকে অন্য রকম!
তাহাতে দোষ আমি খুজে পাই না! খুজে পাই মানুষের করুনার তিমাত্রিকতা!
কেউ বলবে আমার জাত যাবে!
কেউবা বলবে যাবে ধর্ম!
কেউবা যাবে যাবে বলিয়া চরিত্র নিয়া প্রশ্ন তুলবে!
তবু!এইতো আমি,তাই না? সবার থেকে আলাদা?
চিন্তায় অসম্ভবকে সম্ভব করতে ইচ্ছা করে!
ইচ্ছে করে সব চেঞ্জ করে দেই!
আনি সাম্য!
হাস্যকর বিষয়টা কি জানেন?
মাঝে মদ্ধে বিধাতার কাছে আলাদিনের প্রদীপ চাই!
তবে বিধাতা বোধ হয় আমাকে তা ঠিকি দিয়েছেন!
কল্পচিন্তায় আমি সাম্যবাদী যোদ্ধা!
বড় বড় পকেট মারদের অত্যাচারে আমি পিষ্ট প্রায়!
ইচ্ছে করে সব ছেরে ছুড়ে ঘুমের ঘড়ে হাটা দেই!
সকল বিশ্বাসীদের মতে সেইখানে পাহিব সাম্য!
তবে সেই ঘরেই যদি সাম্য ও সত্য পাই তবে এই দেহ কুঠুরি দিনে দিনে
গড়ে তুলে লাভটা কি?
হাহাহাহ! বিধাতা কি সুন্দর করে খেলছে!
ভাগ্য বলে সেই বিধাতার হাতে! কেউ বলে
ভাগ্য এই তল্লাতেই আছে!নিজের হাতে!
যা করব তাহাই পাব এই তল্লায়!
কেউ বললে এই তল্লার কাজের ফল পাব
সেই ঘুমের গাড়িতে!
আজব এক মতভেদ!
বিধাতার সাথে দেখা করতে ইচ্ছে করে খুব
কিছু প্রশ্ন ছিল তার কাছে
১। আমাদের এই জীবনের খেলা খেলিয়ে তিনি মজা পান?
সবাই যদি তাহার সৃষ্টি হই তবে ভালো মন্দের ভেদাভেদ কেন?
২।সবার উপর মানুষ সত্য নাকি তাহার উপর ধর্ম?
৩। মানুষ মানুষকে খুন করার ক্ষমতা তুমি কেন দিলে?
এই ক্ষমতা তোমার কাছে রাখলে ভালো হতো না কি?
তবু আমার এই প্রশ্ন আমার মধ্যেই থেকে যায়!
উত্তর কেউ পারেনি দিতে!
রাজনীতি নামক চোষণ নীতি নিয়ে ভাবতে হয়!
আমি জন্মাতে চেয়ে ছিলাম বায়ান্নতে অথবা একাত্তুরে!
কিন্তু পারিনি!
সেই সব মানুষদের সাথে কিছু মনের কথা বলতে ইচ্ছে করে!
তারা কেনো নিজের জীবন দিয়ে এই দেশের মানুষের ভালো
চেয়েছিলো?কি মহত্ত্ব ছিলো তাতে?
যদি আজ তাদের সেই মাটির দেশ ছাগুরা চরে খায়?
ছাগুদের রাখাল যেখানে অসহায়?
কেন সেই দেশের সপ্ন দেখলো যেখানে বিশ্বজিতেরা প্রান দেয়
অবলিলায়?
যেখানে শয়ন কক্ষে খুন হয় দেশের দামালেরা?
যেখানে নিরাপত্তা নেই তোমাদের মতো মানুষের?
যেখানে শুধু নিরাপদ থাকে চোষক শ্রেণীরা!
তবু কেন এই দেশের সপ্ন দেখলে দেখলে যেখানে
বাক বন্দি মানুষেরা পায় না মুক্তির সাধ!
পায় না তোমাদের সেই সপ্নের মুক্ত ফুল স্বাধীনতা?
তোমরা কি তাহলে আমাদের ঠকিয়ে ছিলে?
দেখিয়েছো কি ভুল স্বপন!
তবু আমি চাই তোমরা ভুল নিয়ে আমার মদ্ধে বেচে থাকো!
আমার মদ্ধে থেকে দেখ তোমার সেই ভুল সপ্নকে!
তবু একটি বার বলে যাও তোমরা এই দেশ চাওনি!
ফিরিয়ে নিয়ে যাও তোমাদের সেই জীবন!
এই কলঙ্কিত মাটির জন্যতো আর তোমাদের জীবন নয়!
শিট! বলতে গেলে থামতে পারি না আর! এই রকম বাচাল
আমি!তবু যা বললাম এই আমি!মানুষ রুপি খন্ডাকার
মূর্তি!
যার মধ্যে বেঁচে আছে শত অশরীরী জীবন!
তাদের মূর্ত কান্না শুধু আমি শুনতে পাই!
শুনে নিজেকে বিরধস্ত করি!
আবার তৈরি করি নিজের জন্য!
তবু তারা যেনো আমাকে এক
অজানা শক্তিতে আটকে রেখেছে!
উফ!!!!!! বাঁচতে চাই আজ!
তাদের স্বপ্ন পূরণ করে কেউ আমাকে বাচিয়ে তুলুন!