somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ষড়যন্ত্রের দিন....!! ধারা বিবরনী.....!! মাটি চাপা পড়া কথা গুলো....!!

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

‪#‎সকাল‬, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ -- পিলখানার বিডিয়ার দরবার হলে উপস্থিত বিডিয়ারের ২৫৬০ জন জওয়ান।
#সকাল -৯.০৫ -- দরবার হলে ডিজি শাকিল সহ অন্য সেনা অফিসারদের প্রবেশ।
#সকাল -৯.৩০ -- শাকিলের বক্তব্য শুরু।এই মুহুর্তেই সিপাহী মইন অস্ত্র হাতে মঞ্চে উঠে পড়ে।তারপরই জওয়ানরা বাহিরে গিয়ে বিশৃঙ্খলা করে।
#সকাল ৯.৩২ - শাকিল সেনাপ্রধান মইনকে কল দিয়ে সেনা পাঠানোর অনুরোধ করেন।তারপর র‍্যাবের ডিজিকে কল দিয়ে সাহায্যের অনুরোধ করেন।
#সকাল ৯.৩৮ - শাকিল প্রধানমন্ত্রীকে কল দেন।
.
এরপর অনেক সময় গড়িয়ে যায়।পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ রূপ নিতে থাকে।শাকিল সহ সেনা কর্তারা সাহায্যের আশায় দিশেহারা হয়ে যায়,কিন্তু কোন সাহায্য আসে না,বরং চলে সময় ক্ষেপন।
.
#সকাল ১০.৩৯ - অস্ত্র হাতে খুনিদের প্রবেশ।অফিসারদের ব্যাচ খুলে নিয়ে চাকরের মত নির্দেশ দিতে থাকে।
#সকাল ১০.০০ - বিগ্রেডিয়ার হাকিমের নেতৃত্বে ৫০০ সেনা ও র‍্যাব উদ্ধার অভিযানে যায়।কিন্তু অভিযানের অনুমতি মিলে নি
#সকাল ১০.৪২ - শাকিল সহ বেশ কয়েকজন অফিসারের শাহাদাত।মেধাবী সেনা অফিসারদের রক্তে ভিজে যায় ঢাকার মাটি।
.
আর এই সময়ই মিডিয়ার সামনে জয় বাংলা স্লোগান দিতে থাকে বিডিয়ার জওয়ানরা।
#সকাল ১১.০০ - মইন হাসিনার বাসভবন যমুনায় গিয়ে দেখেন হাসিনা নেতাকর্মী নিয়ে চা খাচ্ছে।
‪#‎দুপুর‬ ১.০০ - নানক আর আজম পিলখানায় যান।
#দুপুর ৩.৩০ - ডিএডি তৌহিদ সহ ১৪ বিদ্রোহী হাসিনার সাথে বৈঠক করেন।শেরাটন থেকে তাদের জন্য খাবার আনা হয়।সিদ্ধান্ত হয় সাধারন ক্ষমার।
কিন্তু অফিসারদের কথা জানতে চান নাই।এই সময় সুরঞ্জিত মিডিয়ায় সবাইকে ধৈর্য্য ধরতে বলেন।রাতে পিলখানায় যায় সাহারা খাতুন।সেও অফিসারদের বিষয়ে কোন তৎপরতা দেখান নাই।ঐ রাতেই নানক,আজম,তাপসের সহযোগিতায় খুনিরা পালিয়ে যায়।
.
এরপরই অফিসারদের কবর দেখা যায়।নালা-নর্দমায় ভেসে আসে অফিসারদের লাশ।
.
ঘটনার পর হাসিনা ক্যান্টনমেন্ট গেলে এক অফিসার তাকে বলেন-আপনাকে কেন ২২ তারিখই ২৬ তারিখের নৈশভোজে যেতে নিষেধ করেছিল।
.
গ্রেফতারকৃত জওয়ানদের জবানবন্দী -
সিপাহী সেলিম রেজা স্বীকার করে শেখ সেলিম ও তাপসের সাথে তার যোগাযোগ ছিল।তাপস অভয় দিয়ে মারতে বলেন।
ডিএডি নাছির বলেন- শেখ সেলিম ও তাপস বলেছে মাফ করে দিবে।
সিপাহী জিয়াউল হক বলে- তাদের ইনুর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।ইনু বিদেশ পাঠিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেয়।সেলিম আর তাপস বলেছে অঅপারেশন ভাল হলে সজিব ওয়াজেদ জয় খুশি হবে।
.
তিনটা তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আজও আলোর মুখ দেখে নি।
সি আই ডির তদন্তের দায়িত্ত দেওয়া হয় আব্দুল কাহহার আকন্দকে।সে পুলিশের চাকরি ছেড়ে আওয়ামী লীগের নমিনেশন চেয়েছিল।
.
ঘটনার পর উদ্ধারকৃত অস্ত্র দেখিয়ে ক্যাপ্টেন শাহনাজ মিডিয়ার সামনে বলেন এই অস্ত্র গুলো আমাদের আর্মি আর বিডিয়ারের না।
.
কিছু প্রশ্ন........
১)কিলিং শুরু হওয়ার আগে মইনের হাতে সময় ছিল ১.১০ ঘন্টা । কেন সে একশনে গেল না??
২)সাহায্য চাওয়ার পর হাসিনা সময় পায় ১.০৪ ঘন্টা। কেন একশন নিলেন না?
৩)কেন হাসিনা ২৬ তারিখের নৈশ ভোজ বাতিল করলেন?
৪) সেদিন বিশেষ ব্যবস্থাপনায় বিমানের শিডিউল কেন চেইঞ্জ হয়েছিল?
৫)সেই সিপাহি মইনের এখনও কোন খোঁজ নেই কেন??
৬)২৭ তারিখ দুবাইতে জড়িতদের সাথে জয় কেন দেখা করে?
৭)জয়ের পাসপোর্ট তদন্ত কারীদের দেখতে দেয় নি কেন?
৮)তিনটি কমিটির একটাকেও কেন জয়কে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয় নি?
৯)অভিযানের ব্যাপারে শাকিলের ছেলে রাকিনকে প্রধানমন্ত্রী বলেন-তিনি অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন। মইন উ রাজি হয় নি।
মইন বলেন-সে অভিযান চালাতে চেয়েছিল,হাসিনার অনুমতি মেলে নি.......!!!!
১০)সরকারের ননেতারা কিভাবে নিরাপত্তা ছাড়া পিলখানায় ঢুকেছিল?? এত আত্ত্ববিশ্বাস তারা পেল কিভাবে?
১১) ঘটনার পর সেনাবাহিনী কে কেন ৩ কিমি দূরে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল...??
.
জানি এত প্রশ্নের উত্তর নেই।কিন্তু সত্য একদিন বেরিয়ে আসবে।মুক্তিযুদ্ধে ৯ মাসে আমাদের ৫১ অফিসার শহীদ হয়,আর পিলখানায় ২ দিনে ৫৭ অফিসার শাহাদাত বরন করেন।যে আর্মি অফিসাররা প্রধানমন্ত্রী, এমপি,মন্ত্রী,জনগন, দেশের নিরাপত্তা দেয় তারাই সাহায্যের অভাবে হাহাকার করে মারা যায়।শহীদদের এই রক্ত একদিন কথা বলবেই।
.
ইনশাআল্লাহ।
৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×