গত ২৭ জানুয়ারি প্রথম আমি আমার এক বন্ধুকে তার চোখের ছোট একটা গোটা নাকি টিউমারের জন্য জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে যাই । প্রথম যেয়েই যে রুমে পাঠালো সেখানেই যেয়েই দেখি ডাক্তার নার্সরা বলছে কেউ ঢুকবেন না আর যারা ভিতরে আছেন তারা পরে আসেন……………..কারনটা খুবই অমায়িক আর তা হল এখন তারা চা খাবেন । কি আর করব অপেক্ষা করলাম । প্রায় ৪৫ মিনিট পর অন্য আরেক রুমে পাঠালো টেস্ট করার জন্য। সেইখানে গিয়ে দেখি আরেক ঝামেলা বলে আজকে আর কোন রোগী দেখবে না কিন্তু তখন কেবল বাজে ১১.৩০ মিনিট । তখন কোন নিয়মে যে তারা তাদের ডিউটি বন্ধ করল তা আমার জানা নাই বলল কালকে সকাল ৯.০০ টায় আসবেন । আসলাম সকাল ৯.০০ টায় টেস্ট করলাম । রিপোর্ট আনলাম তার পরের দিন দুপুর ১.৩০ টায় । রিপোর্ট পেয়েও ডাক্তার আর সেইদিন দেখাতে পারলাম না কারন তখন আর ডাক্তার নাই বলল আবার কালকে সকাল ৮.০০ টায় আসবেন ১৪৬ নং রুমে । সর্বশেষ আজকে সকাল ৮.০০ টায় গেলাম ১৪৬ নং রুমে গিয়ে দেখি ডাক্তার নাই আসবেন কখন তা নার্সরাও জানে না । যখন সকাল ৯.০০ টা বাজে তখন দেখি কয়েকজন ডাক্তার আসছে আর তাদের জন্য চা নিয়ে যাচ্ছে। সকাল ৯.৩০ নাগাত নাম ডাকল যেয়ে দেখি বিরাট হতাশজনক সেই বানি অন্য রুমে জান পাঠাল ২১৭ নং রুমে সেখানেও দেখি বিরাট কাহিনী সিরিয়াল দিলাম । নাম ডাকে রুমের ভিতর থেকে যা বাহিরে অনেক রুগীই টের পায় না যার দরজার সামনে দারিয়ে নাম ডাকার কথা সে আসে নি কি মজার কথা । অনেক্ষন পর দাক পড়ল যেয়ে শুনি আবার সেই হতাশজনক সেই বানি আপনাকে এখানে পাঠানো হয়েছে কেন ? আপনাকে যেইখান থেকে পাঠান হয়েছে সেইখানে যান । গেলাম আবার সেই ১৪৬ নং রুমে সেইখানে বলল একটু অপেক্ষা করেন হয়ে যাবে । হঠাৎ নাম ডাকল আর বলল আমাদের এখানে হবে না আপনি যান ২১৯ নং রুমে । আর মন চায় না চলে যেতে নিয়েও চিন্তা করলাম দেখি এর শেষ কই । গেলাম ২১৯ নং রুমে । তারা বলল ভাই আমাদের এখানে ডাক্তার নাই । আপনি ৪৪৯ নং রুমে যান । সেইখানে গেলাম এক ডাক্তার ছিল সেখানে কিন্তু সেখানে আর কোন স্লিপ জমা নেয়ার লোক ছিল না । ডাক্তার বলল আমি আপনার এই বিষয়ের ডাক্তার না যে ডাক্তার সে আসবে ১২.০০ বাজলে। বসে থাকলাম ১২.০০ টা পর্যন্ত শেষে ঐ ডাক্তারকেই বললাম কই কোন ডাক্তারতো আসে না । তখন সে বলল দেখেন সত্যি বলতে কি আজকে শ্যামলীর Cheldren Garden এ ৪০ বৎসর পূর্তি উপলক্ষে শেখ হাসিনা আসবেন ডাক্তার সব সেইখানে । এইখানে বাবা রাজনীতির জোর বেশি যারা রাজনীতি করে তারা রুগী না দেখে ঘুরে বেড়ায় তাদের কোন জবাবদিহিতার ভয় নাই । তোমরা যেখানে আজকে প্রথম গিয়েছিলা সেখানে দেখ কিছু করতে পার কিনা । সেখানে গেলাম এবং বাহিরের চামচাদের কিছু না বলেই ভিতরে ঢুকে গেলাম । ঢুকে দেখি ৫ জন ডাক্তার চা খাচ্ছে আর গল্প করছে । বললাম সকাল থেকে অনেক ঘুরছি স্যার রুম থেকে খালি রুমেই যাচ্ছি ডাক্তার এইবার একটা খুসির সংবাদ দিল কালকে সকাল ৮.০০ টায় আসবেন । আমি হাসপাতাল থেকে বের হয়ে স্লিপ ছিরে ফেলে দিলাম আর চশমা ছারাই দেখতে থাকলাম এই সুন্দর পৃথিবী ।
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা নিয়ে সংবাদপত্রের কয়েকটি লিঙ্ক পড়ুন
দৃষ্টিখেকো চক্ষু হাসপাতাল
নিভে যাচ্ছে চক্ষু হাসপাতালের আলো
জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে ভেঙ্গে পড়েছে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮