গতকল্য এক হালির এক কম চুটকি কিঞ্চিৎ নামে পুস্ট করিয়াছিলাম। অনেকেই তাহা দেখিয়াছিলেন অনেকে দেখেন নাই। প্রথম সাধাসিধা আশিক্ষিত পুলাও তার বাপ। পরে শিক্ষিত পুলা ও বাপ তারপরে গাধা।অদ্য ইহার তর্জমা করিব আচ্ছা তার পূর্বে আর এক খান গল্প বলি
একদা রজ্ঞদেশ নামে এক দেশ ছিল। সেই দেশ জনগন খাইয়া না খাইয়া শান্তিতেই ছিল। সেই দেশের মহান শাসক শ্রেণী জনগন কে শাসন শোষণ করিয়া ঠেঙায়া ভালই আমে দুধে দিনপাত করিত। কিন্তু বিধাতা তো এতো ভাল কপালে লেখেন নাই।সেই দেশে শুরু হইলো অনাবৃষ্টি খরা। তৈল নাই বিদ্যুৎ নাই।দেশে খাবার নাই। দুর্ভিক্ষ শুরু হইলো। সরকারি দল বিরোধী দল তাহাদের কুইক ভিসা দিয়া পরিবার পরিজন সেকেন্ড হোম থার্ড হোম আলোকিত করিল। অভাগা গরীবের দল গরু চুরির অপরাধে কাটা তারে ঝুলিয়া থাকিলো। ভুখা জনতা ক্ষুখার তাড়নাই বিদ্রোহী হইয়া উঠিল। সরকার তাহাদের কি করিয়া শান্ত করিবে এই নিয়া মিটিং ফিটিং করিয়া অস্থির। এর পর সরকার প্রধান সকলের দেনদরবার করিয়া কয়েক জাহাজ ত্রান আনিল। যাহা কড়া নিরাপত্তায় জাহাজ হতে সেনানিবাসে ঢুকিল। পাব্লিক হাফ ছাড়িয়া বাচিলো। পরদিন হইতে যেখানে বিদ্রোহ সেখানেই ঠুস-ঠাস। দেশে যত লোক শেষ অবধি মারা গেল তার অর্ধেক না খাইয়া আর অর্ধেক গুলি খাইয়া। বছর ঘুরিতে না ঘুরিতেই বৃষ্টি হইলো রজ্ঞ ভুমি আবার শস্যে ভরিয়া গেল।
বুঝলেন কি না। সমান এক হালি দিলুম।
তর্জমা-
আমরা বেশীর ভাগ জনমানুষ অজ্ঞ কৃষক ছেলের মত। আর যারা শিক্ষিত তারা সন্দিহান শিক্ষিত ছেলেটার মত। যারা বোঝেন জানেন তাদের অবস্থা সাক্ষাত গাধার শর্ত সাপেক্ষ। সব শেষ কাঠাল ভাঙা হবে আপনার আমার মাথায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৬