somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একজন বাংলাদেশী হিসাবে এখন আপনি অলিম্পিক নিয়ে গর্ব করতেই পারেন ।

১৪ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাত্র কয়েকদিন আগেই প্রত্রিকায় পড়লাম বাংলাদেশকে নিয়ে ইংল্যান্ড এর প্রভাবশালী দৈনিক দা গার্ডিয়ান এর বাঙ্গাত্নক আর্টিকেল , যেখানে বলা হয়েছে বাংলাদেশ শুধুমাত্র ওয়াইল্ড কার্ড এর সুযোগ নিয়ে অলিম্পিক এ অংশগ্রহন করে । অভিযোগ এর সত্যতা থাকলেও তা আমাদের জন্য গ্লানিকর ।

খেলাধুলায় না হলেও অলিম্পিক আয়োজনের অনেকক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে জড়িয়ে আছেন যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বাংলাদেশিরা যা আমদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের । আসুন জেনে নেই সেই সব প্রবাসী বাংলাদেশিদের কথা যারা অলিম্পিক আয়োজনে সম্পৃক্ত থেকে আমাদের জন্য সন্মান বয়ে আনছেন।

অলিম্পিক মশাল হাতে রোকসানা

লন্ডনের চারদিকেই এখন অলিম্পিক উৎসবের রং। আট হাজার সৌভাগ্যবান মশালবাহীর হাত হয়ে যুক্তরাজ্যের নানা প্রান্তে ছুটে চলেছে অলিম্পিকের শান্তির মশাল। এ পর্বেও বাদ পড়েনি কৃতী বাংলাদেশিদের অংশ নেওয়া। না, যে কেউ চাইলেই অলিম্পিকের ঐতিহ্যবাহী মশাল বাহক হতে পারেন না। বাহকের থাকতে হয় বিশেষত্ব। তেমনি যুক্তরাজ্যের নানা প্রান্তে আলোচিত নয়জন ব্রিটিশ বাংলাদেশি অলিম্পিক টর্চ বহনে সম্পৃক্ত হয়ে সৃষ্টি করেছেন ইতিহাস।
২১ জুলাই পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেট কাউন্সিল এলাকায় আসবে টর্চ। চলছে আয়োজনের প্রস্তুতি। একই দিনে লন্ডনের গ্রিনউইচ এলাকায় অলিম্পিক মশাল হাতে নিয়ে দৌড়াবেন ব্রিটিশ কিকবক্সিং চ্যাম্পিয়ন বাঙালি তরুণী রোকসানা বেগম। তিনি বললেন, ‘আমি আনন্দিত; মুখিয়ে আছি মশাল হাতে নেওয়ার জন্য।’ আসন্ন অলিম্পিকে তাঁর খেলা কিক বক্সিং অন্তর্ভুক্ত না হলেও পরের অলিম্পিকে থাকছে। রোকসানা আরও বলেন, ‘খেলা নিয়ে আক্ষেপ নেই; টর্চ হাতে পাওয়া বিশাল সম্মানের। ইচ্ছা আছে অলিম্পিক টর্চ নিয়ে দৌড়াব, সেটি নিয়েই বাংলাদেশে যাব।’

অলিম্পিক স্মারকমুদ্রার নকশাকার
শহর লন্ডনে তৃতীয়বারের মতো অলিম্পিক আয়োজন। আর এমন আয়োজনে শরিক হওয়ার কোনো স্মারক চিহ্ন কে না রাখতে চাইবে! তাই লন্ডন অলিম্পিক ও প্যারা-অলিম্পিক নিয়ে আলাদা পাঁচ পাউন্ড সমমানের স্মারকমুদ্রা বের করার প্রস্তুতি নেয় ব্রিটিশ মুদ্রা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান দ্য রয়েল মিন্ট। অলিম্পিকের স্মারক মুদ্রার নকশার জন্য যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আর্ট অ্যান্ড ডিজাইনের শিক্ষার্থীদের উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল প্রতিযোগিতাটি। বিজয়ী হয়ে ব্যাপক আলোচিত হন ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত বাংলাদেশি তরুণ সায়মান মিয়া। কয়েক হাজার নকশার মধ্য থেকে নির্বাচিত হয় তাঁর নকশাটি। সায়মান বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থী। তাঁর নকশা করা অলিম্পিক ২০১২ সালের স্মারকমুদ্রাটি এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে পৃথিবীজুড়ে।
অলিম্পিক ইতিহাসের অংশ হওয়া সায়মান বলছিলেন, ‘স্থাপত্যশৈলী নিয়ে পড়াশোনা করছি, ড্রয়িং বরাবরই পছন্দের। স্কুলের একজন শিক্ষক প্রতিযোগিতাটি সম্পর্কে জানিয়ে অংশ নিতে বললেন। তার পরও বিষয়টি আমার মাথায়ই ছিল না। এক মাঝরাতে হুট করে আমার ঘুম ভেঙে গেলে নকশাটি আমার মাথায় আসে। দেরি না করে পেনসিল দিয়ে একটু সাজিয়ে রেখেছিলাম। আবার ভুলে বসি। ভাগ্যিস, শেষতক জমা দিতে পেরেছিলাম।
মুদ্রার নকশা নিয়ে আমার ভাবনায় প্রাধান্য ছিল ব্রিটিশ স্থাপত্যের সঙ্গে ক্রীড়ার নিবিড় সমন্বয় ঘটানো। মুদ্রার নকশায় স্থান পেয়েছে ব্রিটেনের নান্দনিক স্থাপত্যকর্ম বিগ বেন, লন্ডন আই, সেন্ট পল ক্যাথিড্রেল ইত্যাদি। এদিকে নকশা জমা দেওয়ার পর আর কোনো খবর নেই, আর এমনটা হবে, সে তো জানাই ছিল। প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি ঘরের মানুষ ছাড়া কাউকে বলিওনি। এরপর আসে চমক। দ্য রয়েল মিন্টের কর্মকর্তা কেভিন ফোন করে বলেন, আমার আঁকা নকশায় তৈরি হবে লন্ডন অলিম্পিকের স্মারকমুদ্রা!’
১৯৫৫ সালে ব্রিটেনে আসেন সায়মানের বাবা আরজু মিয়া। চার ভাইবোনের পরিবারে গর্বিত মা পিয়ারা খাতুন সায়মানের সাফল্যে প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘পূর্বপুরুষের মাটির গল্প শুনেই তারা বড় হয়েছে। আমার সন্তানের এই স্বীকৃতি বাংলাদেশিদের মুখ উজ্জ্বল করবে বলে জানি; আমি খুবই খুশি।’
১০ বছর বয়সে শেষবার বাংলাদেশে গিয়ে থাকলেও ভাটা পড়েনি দেশের প্রতি টান। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আত্মবিশ্বাসী হয়ে সায়মান জানান, ‘সুযোগ পেলে দেশে গিয়ে কাজ করার প্রচণ্ড ইচ্ছা আছে আমার।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের খুদে শিল্পীরা
নয় বছর বয়সের চঞ্চলপ্রাণ সৌগত প্রিয়ম, যাকে অলিম্পিকের বিশালত্ব বোঝাতেই পারছেন না তার মা মিনাক্ষী দাশ। এ নিয়ে কথা হয় প্রিয়মের সঙ্গে। সে বলে, ‘আমাদের স্কুল থেকে ৩০ জন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছি। অনেক বন্ধু বেড়ে গেছে, তাই রিহার্সেল করতে ভালো লাগছে।’ আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলল, ‘নিজের ইচ্ছামতো কিছু করতে পারলে আরও ভালো লাগত। আরেকটা ব্যাপার হলো, আমাদের পরিবেশনার পরই স্টেডিয়াম থেকে বের হয়ে যেতে হবে। কিছু দেখতে পারব না!’
সন্তানের গর্বিত মা মিনাক্ষী বললেন, ‘আমার ছেলেই জানে, কী করে নির্বাচিত হলো। অলিম্পিক যেন ওর কাছে কোনো বিষয়ই নয়! বিশ্বাস করি, একদিন অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার বিষয়টি ওর মনকে আরও বড় করবে। আর আমার ছেলেকে অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খুঁজে বেড়াবে, ভাবতেই ভালো লাগে!’ প্রিয়মের মতো আর প্রায় ৯০ জন বাঙালি কিশোর, তরুণ-তরুণী লন্ডন অলিম্পিকের উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানের নানা পরিবেশনায় অংশ নিচ্ছে, মহড়ায় ব্যস্ত সময় কাটছে তাদের।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আকরাম খান এর কোরিওগ্রাফি
সারা বিশ্বে অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের এক অন্য রকম আবেদন থাকে। খেলার বাইরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি কিংবা টেলিভিশনে দেখার জন্য মুখিয়ে থাকে কোটি কোটি মানুষ। আর তাই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান কেমন হবে, এই নিয়ে চলে নানা জল্পনা-কল্পনা। লন্ডন অলিম্পিকে স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করবে ৮০ হাজার সৌভাগ্যবান দর্শক। আর বাইরে টেলিভিশনের পর্দায় কিংবা ইন্টারনেট-টিভিতে চোখ রাখবে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ। এমন আয়োজনেও বাঙালির বলিষ্ঠ অংশগ্রহণ। আর উচ্চমানের একক পরিবেশনার ভারটি এক বাংলাদেশির কাঁধেই চাপিয়েছেন লন্ডন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মূল পরিকল্পনাকারী, অস্কারজয়ী নির্মাতা ড্যানি বোয়েল।
লন্ডন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কোরিওগ্রাফি মাথায় রেখে নানা নৃত্য প্রযোজনা দেখে বেড়াচ্ছিলেন স্লামডগ মিলিয়নেয়ার ছবির এই পরিচালক। অবশেষে তাঁর সেরা পছন্দ নামী নৃত্যশিল্পী, কোরিওগ্রাফার ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত বাংলাদেশি আকরাম খান; অলিম্পিকে যাঁর নৃত্যশৈলীর মুগ্ধতা ছড়াবে সারা বিশ্বে।
অলিম্পিক নিয়ে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি, অনুশীলনে ব্যস্ত আকরাম খান স্টুডিওতে বসেই শোনালেন অলিম্পিকের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততার গল্প। আকরাম বললেন, ‘যেটুকু জানি, ড্যানি বয়েল আমার কোম্পানির প্রযোজনা ভার্টিক্যাল রোডের প্রদর্শনী দেখেন। এর কিছুদিন পর অফিসে ফোন করে দেখা করতে চান। এক সন্ধ্যায় আমাদের দেখা হয়। আলাপচারিতার শুরুতেই বললেন, ‘অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কোরিওগ্রাফি করে দিতে হবে। এর সঙ্গে অবশ্যকরণীয় শর্ত হলো, আমাকেও নাচতে হবে। বিস্মিত হই, একটু ভেবে চিন্তা করে বলি, পুরো অনুষ্ঠানের কোরিওগ্রাফি করতে পারব না। তবে নিজের একক পরিবেশনায় অংশ নেব বলে তাঁকে নিশ্চিত করি!’
বিশেষ কী করবেন, অলিম্পিকে এমন প্রশ্নে আকরাম বলেন, ‘অলিম্পিকে আমার পরিবেশনার দায়িত্ব একান্তই আমার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন ড্যানি। বাংলাদেশ নিয়ে আমার দেশ প্রযোজনাটিও দেখতে এসেছিলেন ড্যানি বয়েল। একসময় তিনি বললেন, “তোমার নৃত্যশৈলীর জন্য তাকিয়ে আছে বিলিয়ন দর্শক।” আমি চেষ্টা করে চলেছি, একেবারে ভিন্ন ধাঁচের নৃত্যকর্ম উপহার দিতে।’

উজ্জ্বল আয়েশা
২০০৫ সালের ৬ জুলাই। সিঙ্গাপুরে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক আয়োজক কমিটির ১১৭তম সভা। কে হবে ২০১২ সালের অলিম্পিক আয়োজক? সেই ফয়সালা হবে এই সভাতেই। শেষ লড়াইটা লন্ডন আর প্যারিসের মধ্যে। যাকে বলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। লন্ডনের ১১ জনের প্রতিনিধিদলে আছেন বাঙালি নারী আয়েশা কোরেশী। পিনপতন নীরবতা ভেঙে বৈচিত্র্যময় আগামীর হাতছানি দিয়ে মিলনায়তনে ঢুকে পড়ল ৩৩ জন শিশু-কিশোর, যাদের পূর্বপুরুষের শিকড় পৃথিবীর নানা প্রান্তের ৩৩টি দেশ। বহুজাতি, নানা ভাষাভাষীর মানুষের শহর লন্ডনের জাতিগত বৈচিত্র্য তুলে ধরতেই তাদের নিয়ে আসা। এ ব্যাপারটা বেশ নাড়া দিল অন্য অতিথিদের। আর এরই সুবাদে শেষতক চতুর্থ রাউন্ডে চার ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ীর হাসি হাসে লন্ডন।
অলিম্পিক শুরু হওয়ার আগের সেই রোমাঞ্চকর মুহূর্তের কথা আবারও প্রথম আলোকে শোনালেন আয়েশা কোরেশী। তিনি বললেন, ‘তখন আমি বিবিসিতে কমিউনিটি বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করছি। নানা জাতি-বর্ণের মানুষের সঙ্গে ওঠাবসা। হঠাৎ লন্ডন অলিম্পিক আয়োজক প্রতিনিধিদলে কাজ করার সুযোগ হয়। সবার লক্ষ্য একটাই, অলিম্পিক আয়োজন নিশ্চিতকরণ। সিঙ্গাপুরে চূড়ান্ত পর্বে যাওয়ার দুই সপ্তাহ আগে পরিকল্পনা করি, বাচ্চাদেরও সঙ্গে করে নিয়ে যাব। অবিশ্বাস্য, তাদের উপস্থিতি খুব সহজ করে এঁকে দিয়েছিল বর্ণিল লন্ডন অলিম্পিকের আগাম রূপবার্তা!’ লন্ডন অলিম্পিক আয়োজনে তার অক্লান্ত শ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৬ সালে ব্রিটেনের রানির দেওয়া এমবিই (মেম্বার অব ব্রিটিশ এম্পায়ার) উপাধিতে ভূষিত হন আয়েশা।
লন্ডনে আন্তর্জাতিক আইনবিষয়ক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আয়েশা কোরেশী এখনো লন্ডন অলিম্পিক ডাইভারসিটি কমিটির একজন সম্মানিত উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। আয়েশা বললেন, ‘আনন্দ পাই এই ভেবে যে অলিম্পিক আয়োজনে আমারও একটু শ্রম মিশে আছে। আর একজন বাঙালি নারী হিসেবে এই বিশাল আয়োজনের অংশ হতে পারাটা আরও বেশি গৌরবের।’

রসনা রাজধানী ব্রিকলেন
দুয়ারে অলিম্পিক। লন্ডনে বেড়ে চলেছে সারা বিশ্বের পর্যটকদের ভিড়। অতিথিদের স্বাগত জানাতে যেমন প্রস্তুত লন্ডন, তেমনি আয়োজকদের চোখ এড়ায়নি অতিথিদের রসনাবিলাসের বিষয়টিও। পূর্ব লন্ডনে বাঙালির প্রাণকেন্দ্র, বাংলাটাউনখ্যাত ব্রিকলেনকে লন্ডন অলিম্পিকের অফিশিয়াল কারি ক্যাপিটাল কিংবা রসনা-রাজধানী ঘোষণা করেছে আয়োজক কমিটি।
ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট হিসেবে খ্যাত হলেও ব্রিটেনে কারিশিল্পটি মূলত বাঙালিদেরই নিয়ন্ত্রণে। বছরে প্রায় চার বিলিয়ন পাউন্ডের এই বিশাল শিল্পের ৮০ ভাগেরই মালিকানা বাঙালিদের হাতে। শুধু ব্রিকলেনের রাস্তার দুই পাশে কমপক্ষে ৫০টি বাঙালি রেস্টুরেন্ট। অলিম্পিক উপলক্ষে মেন্যুতে দু-চারটি নতুন খাবারের পদ সংযুক্ত হয়েছে ব্রিকলেনের অনেক রেস্টুরেন্ট। শুধু ব্রিকলেনই নয়, যুক্তরাজ্যের নানা প্রান্তে প্রায় ১২ হাজার বাঙালি রেস্টুরেন্ট অতিথি আপ্যায়নে বিরাট ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন লন্ডন অলিম্পিক কমিটির চেয়ারম্যান লর্ড সাব কো।
এদিকে কারি অস্কারখ্যাত ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডের প্রবর্তক এনাম আলীর লি রাজ রেস্টুরেন্ট লন্ডন অলিম্পিকে আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে যুক্ত হয়েছে।
টাওয়ার হ্যামলেট কাউন্সিলের মেয়র ও লন্ডন অলিম্পিক লিগেসি বোর্ডের সদস্য লুৎফুর রহমান অলিম্পিকে বাঙালির সম্পৃক্ততার বিষয়ে বললেন, ‘বাঙালি বাংলাদেশি-অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত এই কাউন্সিল সঠিক মূল্যায়ন পেতে অলিম্পিক কমিটির সঙ্গে আইনি লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে। অবশেষে অলিম্পিককে ঘিরে অনেকটাই বদলে গেছে আমাদের বাঙালিপাড়ার চিত্র।’
এবারের লন্ডন অলিম্পিককে ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের জন্য একটি অনন্য মাইলফলক হিসেবে দেখছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রথম বাংলাদেশি এমপি রুশনারা আলী। সম্প্রতি হাউস অব কমন্সে তাঁর সঙ্গে এক সৌজন্য বৈঠকে মিলিত হন লন্ডন অলিম্পিক ২০১২-এর চেয়ারম্যান লর্ড সাব কো। দুজনে হাতে নেন লন্ডন অলিম্পিকের মশাল ।

এতো ক্ষেত্রে অবদান রাখার পরেও অলিম্পিক এর মুল প্রোগ্রাম অর্থাৎ খেলাধুলার ক্ষেত্রে আমাদের অ্যাথলেট দের পারফরমেন্স হতাশাবাঞ্জক । আশাকরি একদিন আমদের অ্যাথলেটরা ও অলিম্পিক পদক জয় করার মাধ্যমে আমাদের জন্য সত্যিকারের সন্মান বয়ে আনবেন ।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৮
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×