বুঝলি সেদিন- ফুরোয় বেলা খেলা শেষের তরে।
সন্ধ্যা ঘনায় গড়ের মাঠে একলা দুজন বসে
শেষের বাঁশীঁ বাজলো - তবু কি যেন এক আশে।
দূর গঙ্গার শীতল হাওয়া কাঁপুনি দেয় মনে
ভিক্টোরিয়ার আলোর ঝলক সন্ধ্যা হবার ক্ষণে।
স্মৃতির দেশের ডাক দিয়ে যায় নীড় ফেরা ঐ পাখি
ফিরতে হবে যতোই ভাবি- বন্ধ দুটি আঁখি।
চন্দনেরই সুবাস যে তোর সারা শরীর জুড়ে
আঁধার আরো ঘন করে জোনাক পোকা উড়ে।
নিশী বুঝি কান্না হয়ে অঝোর ধারায় ঝরে
পাথর হয়ে কষ্ট চাপে আমার বুকের পরে।
শুধালি তুই- হরিয়ে যাবি? আর হবে কি দেখা?
পাগল হলি? - কান্না পাষাণ মুখে হাসির রেখা।
শেষ আলোতে ফিরিয়ে যখন দিলেম আপন ঘরে
জানি আমি- হারিয়ে গেছিস তুই যে চিরতরে।