কিছুদিন আগে এক খবর পড়ে চমকে উঠলাম। দুবাইয়ে গত দু’সপ্তাহে ৬০ হাজার জাল মোবাইল-ফোন হ্যান্ডসেট জব্দ করেছে স্থানীয় পুলিশ![ খবরের লিঙ্ক লেখার একদম শেষে যুক্ত করা হল]
যতদুর জানি, বাংলাদেশের বিভিন্ন মোবাইল বিক্রি হয় যেসব মোবাইল শপে, তারা বেশির ভাগই দুবাই কিংবা এ ধরনের রাষ্ট্র থেকেই নানা ব্র্যান্ডের এসব মোবাইল কম মূল্যে আমদানি করেন। আমাদের দেশের কিছু দোকান যেমন গ্যাজেট এন্ড গিয়ারেও এসব জায়গা থেকেই মোবাইল আমদানি করা হয়। কিন্তু আমরা এতো টাকা খরচ করে যেখান থেকে মোবাইল কিনছি তাতে আদৌ লাভ কি হচ্ছে? তারা আমাদের দিচ্ছে না ওয়ারেন্টি, দেখা যাচ্ছে হাজার হাজার টাকা খরচ করে কেনা মোবাইল দুই মাস ও শান্তি মত ব্যবহার করা যাচ্ছেনা। আজ স্ক্রীন নষ্ট তো কাল চার্জ হয়না, পরশু সাউন্ড সিস্টেম কাজ করেনা। পরে সার্ভিসের জন্য গেলে জানানো হয় ওয়ারেন্টি তো দেয়া হয়নি। আবার বেশ কিছু টাকা খরচ করে সার্ভিস করানো লাগে। সেক্ষেত্রেও চিন্তা টা থেকেই যায়, কারন অনেক সময়ই দেখা যায় সার্ভিসিং পর মোবাইলের ভালো পার্টস গুলো রেখে দিয়ে কম দামী পার্টস লাগানো হয়ে থাকে। সেটা আরেক ঝামেলা!
তাহলে এই ধরনের সময়া থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কি করা যেতে পারে? যেকোন মোবাইল কেনার জন্য তাদের অনুমোদিত ডিলার বা নিজস্ব কাস্টোমার কেয়ার থেকে কেনা উচিত। আমি ব্যক্তিগতভাবে স্যামসাং মোবাইল বাংলাদেশের সার্ভিস নিয়ে খুব খুশি। ঢাকার প্রায় প্রতিটি জনবহুল এলাকায় এবং প্রায় সারা দেশেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে স্যামসাং স্মার্টফোন ক্যাফে যেখান থেকে নিশ্চিন্তে কেনা যায় আসল মোবাইল, সাথে থাকে ওয়ারেন্টি। যেকোন প্রবলেম হলে আছে তাদের নিজেদের সার্ভিস সেন্টার এবং তাদের আছে খুবই একটিভ ফেসবুক পেইজ, যেখানে যেকোন প্রশ্ন করলে তারা খুবই বিনয়ের সাথে সাহায্য করে থাকে। একই সাথে তাদের স্মার্টফোন ক্যাফে এবং সার্ভিস সেন্টারের সবাইও খুব বন্ধুসুলভ আচরণ করে যা দেখে আমি রীতিমত মুগ্ধ।
মোবাইল ফোন আমাদের বর্তমান লাইফের একদম প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মোবাইল ফোন ছাড়া একটা দিন ও আমরা এখন আর ভাবতে পারিনা। তাই যাচাই করে, বুঝে শুনে মোবাইল ফোন কেনা উচিত আমাদের সবারই।
খবরের লিঙ্কঃ Click This Link