(এই পোষ্টটি ইবনে উজজা নামক ব্লগারের। পোষ্টটি ২০ জানুয়ারীতে প্রকাশিত। কিন্তু পোষ্টটি আমি মাত্র পড়লাম। যারা পড়েন নি তাদের পড়ার জন্যই কপি পেষ্ট করলাম। দুঃখিত ইবনে উজজা। আপনার বিনা অনুমতিতে কপি করলাম। ক্ষমাপ্রার্থী।)
...............................................
আমার গতকালের ডন হুয়ানের পোস্টটি এই সাইটের ধার্মিকদের মধ্যে অনেক আলোড়ন তুলেছে দেখে খুশি হলাম।
এগার বউ নিয়ে নবীজী যে কি বিপদে থাকতেন তা নিচের হাদীস থেকে সহজেই বুঝা যায়। যদিও সুরা নিসা'র (কিশোর/যুবক ব্য়সীরা চটি'র বিকল্প হিসাবে এই সুরা উপভোগ করতে পারে) আয়াত তিন এ বলা হয়েছে যে চারটা পর্যন্ত বিয়ে মুসলমান পুরুষ করতে পারে "যদি" সবার প্রতি সমান আচরণ করতে পারে, চটি সুরা'র তৃতীয় আয়াত
সহীহ বুখারী থেকে পাওয়া নিচের হাদীসটি কিন্তু বলে যে নবীজি কোরানের এইসব বিধানের কোন ধার ধারতেন না।
হাদীসটি আমি বাংলায় অনুবাদ করে দিচ্ছি সবার সুবিধার জন্য আর রেফারেন্স হিসাবে লিংকটি পোস্ট করছি।
৭৫৫ নং হাদীসটি দেখুন
-হাদীসের শুরু-
Narrated 'Urwa from 'Aisha:
নবীজি'র স্ত্রীগণ দুই দলে বিভক্ত ছিলেন। এক দলে ছিল আয়শা, হাফসা, সাফিয়া আর সাউদা; আর অন্য দলে ছিল উম্ম সালমা আর নবীজি'র অন্য স্ত্রীরা। মুসলিমরা জানত যে নবীজি আয়শা কে ভালোবাসতেন, কাজেই যদি কারো কোন উপহার নবীজিকে দেবার থাকত, তাহলে সে অপেক্ষা করত কখন উনি আয়শার ঘরে যাবেন, আর তারপর ঐ ঘরে সে উপহার পাঠিয়ে দিত। উম্ম সালমা'র দল এটা নিয়ে আলোচনা করে ঠিক করল যে উম্ম সালমা নবীজিকে অনুরোধ করবে যে তিনি যেন মানুষদের বলে দেন যে স্ত্রীর ঘরেই উনি থাকেন না কেন উপহার জেন সেই ঘরে পাঠান হয়।
উম্ম সালমা নবীজি কে বললেন এটা, কিন্ত নবীজি কোন মন্তব্য না করে চুপ থাকলেন। অন্য স্ত্রীরা যখন উম্ম সালমাকে জিজ্ঞাসা করল এই সম্পর্কে, সে বলল, "উনি আমাকে কিছুই উত্তর দেন নি"। তারা তখন আবার তাকে একই কথা বলতে বলল। পরের বার তার ঘরে নবীজি আসলে, আবার বলল, কিন্তু নবীজি আবারো কোন উত্তর দিলেন না। আবার অন্যরা জিজ্ঞাসা করল, এবারও উম্ম সালমা একই উত্তর দিল। তারা তখন বলল, "উনার সাথে কথা বলে যাও যতক্ষন উত্তর না পাও।" উম্ম সালমা পরের টার্নে তাই করল। নবীজি এবার বললেন, "আমাকে আয়শার ব্যাপারে আঘাত করো না। কারন, আমি আয়শা ছাড়া আর কাউকে লাগাবার সময় কোরানের আয়াত রচনা করতে পারিনা (আসল হাদিস দেখুন)"। উম্ম সালমা তখন বলল, "আপনাকে কষ্ট দেবার জন্য আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রাথী।"
উম্ম সালমার দল তখন নবী কন্যা ফাতিমাকে ডেকে তাকে নবীজিকে বলতে বলল, "পিতাজী, আপনার স্ত্রীগণ আপনাকে অনুরোধ করেছেন যে তাদের সাথে আর আবু বকর কন্যা (আয়শা)'র সাথে সমান আচরন করতে"। ফাতিমা তাই করল। নবীজি উত্তরে বললেন, "হে আমার কন্যা, আমি যাকে ভালবাসি, তুমি কি তাকে ভালবাসনা?" ফাতিমা হাঁ-সুচক উত্তর দিয়ে ফিরে এসে অন্যদের তাই জানাল। তারা তাকে আবার যেতে বলল, কিন্তু সে গেল না আর।
তারা তখন জয়নাব-বিনতে-জাহাশ কে পাঠাল নবীজি'র কাছে। সে কঠিন ভাবে বলল, "আপনার স্ত্রীগন আপনাকে অনুরোধ করেছেন যে তাদেরকে আর ইবনে আবু কুহাফা (আবু বকর) কন্যাকে সমান চোখে দেখতে।" এটা করতে গিয়ে জয়নাব চিৎকার আরম্ভ করল আর আয়শাকে এমন গালাগালি করল যে নবীজি আয়শার দিকে তাকালেন এই ভেবে সে যেন উত্তর দেয়। আয়শা তখন উল্টো এমন গালাগালি দিল যে জয়নাব চুপ মারতে বাধ্য হল।
নবীজি তখন আয়শার দিকে তাকিয়ে বললেন, "এ দেখছি আসলেই আবু-বকর কন্যা!!"
- হাদীসের শেষ
জটিল হাদীস, তাই না? আমরা কি শিখলাম:
১) ধান্ধাবাজ মুসলমান তখনও ছিল যারা জানত কোথায় ঘুষ দিলে কাজ হবে।
২) নবীজী'র আয়শার প্রতি পক্ষপাতিত্ব ছিল তার গৃহদাহের মূল কারণ।
৩) আয়শার সাথে এক বিছানায় থাকার সময় (বিজ্ঞ পাঠক বুঝে নিন) নবীজি কোরাণ রচনার স্বর্গীয় প্রেরণা পেতেন।
৪) আবু-বকর মনে হ্য় খুব ঝগড়াটে ছিলেন (হাদীসের শেষ লাইন দেখুন)
মূল পোষ্টটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন