somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এই পোষ্টটি সবার পড়া উচিত (কৃতজ্ঞতাঃ ইবনে উজজা)

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(এই পোষ্টটি ইবনে উজজা নামক ব্লগারের। পোষ্টটি ২০ জানুয়ারীতে প্রকাশিত। কিন্তু পোষ্টটি আমি মাত্র পড়লাম। যারা পড়েন নি তাদের পড়ার জন্যই কপি পেষ্ট করলাম। দুঃখিত ইবনে উজজা। আপনার বিনা অনুমতিতে কপি করলাম। ক্ষমাপ্রার্থী।)
...............................................

আমার গতকালের ডন হুয়ানের পোস্টটি এই সাইটের ধার্মিকদের মধ্যে অনেক আলোড়ন তুলেছে দেখে খুশি হলাম।

এগার বউ নিয়ে নবীজী যে কি বিপদে থাকতেন তা নিচের হাদীস থেকে সহজেই বুঝা যায়। যদিও সুরা নিসা'র (কিশোর/যুবক ব্য়সীরা চটি'র বিকল্প হিসাবে এই সুরা উপভোগ করতে পারে) আয়াত তিন এ বলা হয়েছে যে চারটা পর্যন্ত বিয়ে মুসলমান পুরুষ করতে পারে "যদি" সবার প্রতি সমান আচরণ করতে পারে, চটি সুরা'র তৃতীয় আয়াত
সহীহ বুখারী থেকে পাওয়া নিচের হাদীসটি কিন্তু বলে যে নবীজি কোরানের এইসব বিধানের কোন ধার ধারতেন না।

হাদীসটি আমি বাংলায় অনুবাদ করে দিচ্ছি সবার সুবিধার জন্য আর রেফারেন্স হিসাবে লিংকটি পোস্ট করছি।
৭৫৫ নং হাদীসটি দেখুন

-হাদীসের শুরু-
Narrated 'Urwa from 'Aisha:
নবীজি'র স্ত্রীগণ দুই দলে বিভক্ত ছিলেন। এক দলে ছিল আয়শা, হাফসা, সাফিয়া আর সাউদা; আর অন্য দলে ছিল উম্ম সালমা আর নবীজি'র অন্য স্ত্রীরা। মুসলিমরা জানত যে নবীজি আয়শা কে ভালোবাসতেন, কাজেই যদি কারো কোন উপহার নবীজিকে দেবার থাকত, তাহলে সে অপেক্ষা করত কখন উনি আয়শার ঘরে যাবেন, আর তারপর ঐ ঘরে সে উপহার পাঠিয়ে দিত। উম্ম সালমা'র দল এটা নিয়ে আলোচনা করে ঠিক করল যে উম্ম সালমা নবীজিকে অনুরোধ করবে যে তিনি যেন মানুষদের বলে দেন যে স্ত্রীর ঘরেই উনি থাকেন না কেন উপহার জেন সেই ঘরে পাঠান হয়।

উম্ম সালমা নবীজি কে বললেন এটা, কিন্ত নবীজি কোন মন্তব্য না করে চুপ থাকলেন। অন্য স্ত্রীরা যখন উম্ম সালমাকে জিজ্ঞাসা করল এই সম্পর্কে, সে বলল, "উনি আমাকে কিছুই উত্তর দেন নি"। তারা তখন আবার তাকে একই কথা বলতে বলল। পরের বার তার ঘরে নবীজি আসলে, আবার বলল, কিন্তু নবীজি আবারো কোন উত্তর দিলেন না। আবার অন্যরা জিজ্ঞাসা করল, এবারও উম্ম সালমা একই উত্তর দিল। তারা তখন বলল, "উনার সাথে কথা বলে যাও যতক্ষন উত্তর না পাও।" উম্ম সালমা পরের টার্নে তাই করল। নবীজি এবার বললেন, "আমাকে আয়শার ব্যাপারে আঘাত করো না। কারন, আমি আয়শা ছাড়া আর কাউকে লাগাবার সময় কোরানের আয়াত রচনা করতে পারিনা (আসল হাদিস দেখুন)"। উম্ম সালমা তখন বলল, "আপনাকে কষ্ট দেবার জন্য আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রাথী।"

উম্ম সালমার দল তখন নবী কন্যা ফাতিমাকে ডেকে তাকে নবীজিকে বলতে বলল, "পিতাজী, আপনার স্ত্রীগণ আপনাকে অনুরোধ করেছেন যে তাদের সাথে আর আবু বকর কন্যা (আয়শা)'র সাথে সমান আচরন করতে"। ফাতিমা তাই করল। নবীজি উত্তরে বললেন, "হে আমার কন্যা, আমি যাকে ভালবাসি, তুমি কি তাকে ভালবাসনা?" ফাতিমা হাঁ-সুচক উত্তর দিয়ে ফিরে এসে অন্যদের তাই জানাল। তারা তাকে আবার যেতে বলল, কিন্তু সে গেল না আর।

তারা তখন জয়নাব-বিনতে-জাহাশ কে পাঠাল নবীজি'র কাছে। সে কঠিন ভাবে বলল, "আপনার স্ত্রীগন আপনাকে অনুরোধ করেছেন যে তাদেরকে আর ইবনে আবু কুহাফা (আবু বকর) কন্যাকে সমান চোখে দেখতে।" এটা করতে গিয়ে জয়নাব চিৎকার আরম্ভ করল আর আয়শাকে এমন গালাগালি করল যে নবীজি আয়শার দিকে তাকালেন এই ভেবে সে যেন উত্তর দেয়। আয়শা তখন উল্টো এমন গালাগালি দিল যে জয়নাব চুপ মারতে বাধ্য হল।

নবীজি তখন আয়শার দিকে তাকিয়ে বললেন, "এ দেখছি আসলেই আবু-বকর কন্যা!!"
- হাদীসের শেষ

জটিল হাদীস, তাই না? আমরা কি শিখলাম:
১) ধান্ধাবাজ মুসলমান তখনও ছিল যারা জানত কোথায় ঘুষ দিলে কাজ হবে।
২) নবীজী'র আয়শার প্রতি পক্ষপাতিত্ব ছিল তার গৃহদাহের মূল কারণ।
৩) আয়শার সাথে এক বিছানায় থাকার সময় (বিজ্ঞ পাঠক বুঝে নিন) নবীজি কোরাণ রচনার স্বর্গীয় প্রেরণা পেতেন।
৪) আবু-বকর মনে হ্য় খুব ঝগড়াটে ছিলেন (হাদীসের শেষ লাইন দেখুন)


মূল পোষ্টটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:২৮
৪৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×