রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা বলেছেন, জামায়াতের পক্ষে কথা বললে সাধারণ মানুষের প্রশ্নের মুখে পড়ে লজ্জিত হতে হয়। গতকাল শুক্রবার চাঁদকুঠির ডাঙ্গা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে উপজেলা বিএনপির ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের প্রতিনিধি সমাবেশে নেতারা এ কথা বলেন।
কুতুবপুর ইউনিয়নের সভাপতি মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘জামায়াতের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালাতে গিয়ে মানুষের প্রশ্নের মুখে পড়ে লজ্জিত হই। অনেকে জামায়াত কর্মী বলে ডাকেন।’ সমাবেশে উপস্থিত জেলা নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনে বিএনপির প্রার্থী দেবেন, না পারলে সবাই দল থেকে সরে দাঁড়াবেন।
উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, ‘আমরা বিএনপি করি। অথচ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির পক্ষে স্থানীয়ভাবে প্রার্থী করা হয় জামায়াতে ইসলামীর এক কেন্দ্রীয় নেতাকে। বার বার সহযোগিতা করায় তাঁরা (জামায়াত) এখন আমাদের জামায়াত করতে বলেন।’
উপজেলা বিএনপির সদস্য আলতাব হোসেন বলেন, ‘আমরা জামায়াত করি না। অথচ সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে বলা হয় জামায়াতের প্রার্থীকে যা অত্যন্ত লজ্জার।’
উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক পরিতোষ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর হোসেন, রেজেকা সুলতানা, সিরাজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, অধ্যাপক মোজাফ্ফর হোসেন প্রমুখ।
গত ২০০১ ও ২০০৮ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-২ আসনে বিএনপির পক্ষ থেকে দলীয় প্রার্থী না দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামকে চারদলীয় জোটের পক্ষে মনোনয়ন দেওয়া হয়। প্রিন্ট ShareThis