জীবনে চলার পথে ছোট খাট আনেক ঘটনাই মানুষের জীবনে ঘটে থাকে, কিছু ঘটনা মনে থাকে কিছু মনে থাকে না।কিছু ঘটনা মনে পড়লে এখন হাসায়, দুঃখ দেয়।সেরকম এক ঘটনা আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি, জানি না আপনাদের কতোটুকু আনন্দ দিবে , যা হোক আমি আমার ঘটে যাওয়া ঘটনা বলছি। আমি যখন দশম শ্রেনিতে পড়ি তখন কার ঘটনা।আমি তখন অংক টিচারো কাছে প্রাইভেট পাড়তাম , সার আমাদের যেখানে প্রাইভেট পড়াতেন সেইটি ছিল আমারি এক ক্লাশমেইটর বাসাই।কারন তার বাসাটা ছিল ইস্কুলের পাশে। আমরা অনেকেই সারের কাছে অংক করে, প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন হবে।আমরা যাদের বাসাই প্রাইভেট পড়তাম সেটি একটি মেয়ের বাসা,আমরা একই ক্লাশে পড়তাম।সেই মেয়েটির নাম শবনম। তাকেই নিয়েই এই বাজির ঘটনা। যাক এইবার আসা যাক আসল ঘটনাই। আমাদের তখন সবে মাত্র টেস্ট পরিক্ষা শেষ হয়েছে।আমার এক ফ্রেন্ড বিপ্লব সে ও আমার সাথে সারের কাছে প্রাইভেট পড়ে। তার বাসা আর আমার বাসা একসাথে , মানে আমাদের পাশের বাসা ।বিপ্লব আমার সাথে ৫০০ টাকার বাজি ধরে ছিলো।সে আমাকে বলেছে তুই যদি শবনমকে প্রেমের অফারে রাজি কারাতে পারিস তাহলে আমি তোকে ৫০০ টাকা দেব। আমি বললাম ঠিক আছে।পরের দিন ইস্কুলে এসে আমি বিপ্লবকে একখানা চিঠি ধরিয়ে দিয়ে বললাম যা এইটা শবনমের কাছে দিয়ে আস।আবশ্য সেইটি কোন চিঠি ছিলনা। একটি কাবিতা ছিল।কবিতার নাম ছিল আমি তোমার বন্দ্ধু হতে চাই।আমি আমার একটি বই এর ভিতরে কবিতাটা ঢুকিয়ে বিপ্লব দিয়ে দিলাম। বিপ্লব ও বইটা শবনমকে দিয়ে আসল আমার নাম বলল হিমেল দিয়েছে।পরের দিন শবনম আর কোচিং করতে আসে নাই। ও আমাদের টেস্ট পরিক্ষা শেষ তাই ইস্কুলে সেই সময় শুধু কোচিং ক্লাশ চলে । আর সেই সময় সবার বার্ষরিক পরিক্ষা শেষ তাই সার আমাদের কচিং শেষে এই ক্লাশেই প্রাইভেট পরাতেন।বিপ্লব আমাকে বলছে কি ব্যপার তুইতো হেরে গেলি। আমি বলাম না,আমি হারি নাই। কোচিং করাতে আসেনাই তাতে কি হয়েছে।দেখবি প্রাইভেট পড়তে ঠিকই আসবে।শবনম ঠিক সেই দিন প্রাইভেট পড়তে ও আসে নাই।বিপ্লব বললো দে ৫০০ টাকা তারা তারি দিয়ে ফেল।আমি বিপ্লবকে বললাম ঠিক আছে কাল পযন্ত সময় দে। বিপ্লব বললো ঠিক আছে কালকেই শেষ সময়। আমি কচিং শেষ করে বিকেলে শবনমদের বাসায় গেলাম। আমি যে দেখি শবনম ওদের বাসার বারান্দায় দাড়িয়ে আছে।আমি শবনমের কাছে গিয়ে বললাম আমার বইটা ফেরত দাও আমাকে পড়তে হবে। শবনম বললো না ফেরত দেওয়া যাবে না। আমি বললাম কেন? ও আমাকে বললো কাল দেব । আমি শবনমকে জ্বিগাসা করলাম আজকে পড়তে আসনাই কেন।সে আমাকে বললো বাসাই কাজ ছিল তাই আসি নাই। শবনম আমাকে জ্বিগাসা করলে তুমি যা লিখেছ তাকি সত্য কিনা। আমি বললাম সত্য নাহলে লিখব কেন আর দিব কেন?এর পর আমি চলে আসলাম। পরের দিন আমি ক্লাশে এসে দেখি সে আগে আগে এসে বসে আছে।এরপর বিপ্লব আসলে শবনম বইটা বিপ্লবের কাছে দিল।বিপ্লব বইটার ভিতরে খোজ করতে লাগল কিছু আছে কিনা।কিন্তু কিছু পেলনা, বিপ্লব আমাকে বলল কিছু নাই তো আমি বললাম সমস্যা নাই চলে আয়।এর পর বিপ্লব আমাকে বলল দে টাকা দে আমি বলাম বিকালে বাসাই গিয়ে দেব।এপর বাসায় এসে বইটাকে ভাল ভাবে খুজে দেখলাম পেলাম না। এপর বইটা রাখলাম দেখলাম উপরে কেমন যেন উচু হয়ে আছে। বইটির উপরে যে মলাট লাগান আছে তার নিচে ভাজ করে রেখেছে চিঠিটা।তার পর মলাটা খুলে চিঠিটা বের করলাম । এর পর পড়া শুরু করলাম।চিঠিটি পড়ে আমিতো ওবাক, কারন চিঠিতে যা লিখেছে সে নাকি আমাকে আর ২ বছর আগে অর্থাৎ যখন আমি এই ইস্কুলে নবম শ্রেনিতে যখন ভর্তি হই তার পর থেকে নাকি আমাকে পছন্দ করে।এর পর আমি বিপ্লবকে চিঠিটা দেখালাম।তার পর বিপ্লব থেকে ৫০০ টাকা নিয়ে সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করলাম।বিপ্লব আমার সাথে বাজি ধরার পিছনে একটা কারন ছিল।কারনটা হলো বিপ্লব একটি মেয়েকে পছন্দ করতো সেই মেয়েটি শবনমের একজন ভাল বান্দ্ধবি ।তাই আমাকে দিয়ে শবনমের সাথে প্রেম করিয়ে, আমার মাধ্যমে শবনমের সাথে একটা সু সম্পর্ক গড়ে উঠার জন্য।যাতে করে সে শবনমকে দিয়ে তার বান্দ্ধবিকে তার ভালবাসার কথা বলার জন্য।যাই হোক আমি ৫০০ টাকা বাজিতে জিতেছি।আর শবনমের কাহিনি আরাক দিন বলা যাবে......।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:১০