somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

৫০০ টাকার বাজি

২২ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জীবনে চলার পথে ছোট খাট আনেক ঘটনাই মানুষের জীবনে ঘটে থাকে, কিছু ঘটনা মনে থাকে কিছু মনে থাকে না।কিছু ঘটনা মনে পড়লে এখন হাসায়, দুঃখ দেয়।সেরকম এক ঘটনা আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি, জানি না আপনাদের কতোটুকু আনন্দ দিবে , যা হোক আমি আমার ঘটে যাওয়া ঘটনা বলছি। আমি যখন দশম শ্রেনিতে পড়ি তখন কার ঘটনা।আমি তখন অংক টিচারো কাছে প্রাইভেট পাড়তাম , সার আমাদের যেখানে প্রাইভেট পড়াতেন সেইটি ছিল আমারি এক ক্লাশমেইটর বাসাই।কারন তার বাসাটা ছিল ইস্কুলের পাশে। আমরা অনেকেই সারের কাছে অংক করে, প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন হবে।আমরা যাদের বাসাই প্রাইভেট পড়তাম সেটি একটি মেয়ের বাসা,আমরা একই ক্লাশে পড়তাম।সেই মেয়েটির নাম শবনম। তাকেই নিয়েই এই বাজির ঘটনা। যাক এইবার আসা যাক আসল ঘটনাই। আমাদের তখন সবে মাত্র টেস্ট পরিক্ষা শেষ হয়েছে।আমার এক ফ্রেন্ড বিপ্লব সে ও আমার সাথে সারের কাছে প্রাইভেট পড়ে। তার বাসা আর আমার বাসা একসাথে , মানে আমাদের পাশের বাসা ।বিপ্লব আমার সাথে ৫০০ টাকার বাজি ধরে ছিলো।সে আমাকে বলেছে তুই যদি শবনমকে প্রেমের অফারে রাজি কারাতে পারিস তাহলে আমি তোকে ৫০০ টাকা দেব। আমি বললাম ঠিক আছে।পরের দিন ইস্কুলে এসে আমি বিপ্লবকে একখানা চিঠি ধরিয়ে দিয়ে বললাম যা এইটা শবনমের কাছে দিয়ে আস।আবশ্য সেইটি কোন চিঠি ছিলনা। একটি কাবিতা ছিল।কবিতার নাম ছিল আমি তোমার বন্দ্ধু হতে চাই।আমি আমার একটি বই এর ভিতরে কবিতাটা ঢুকিয়ে বিপ্লব দিয়ে দিলাম। বিপ্লব ও বইটা শবনমকে দিয়ে আসল আমার নাম বলল হিমেল দিয়েছে।পরের দিন শবনম আর কোচিং করতে আসে নাই। ও আমাদের টেস্ট পরিক্ষা শেষ তাই ইস্কুলে সেই সময় শুধু কোচিং ক্লাশ চলে । আর সেই সময় সবার বার্ষরিক পরিক্ষা শেষ তাই সার আমাদের কচিং শেষে এই ক্লাশেই প্রাইভেট পরাতেন।বিপ্লব আমাকে বলছে কি ব্যপার তুইতো হেরে গেলি। আমি বলাম না,আমি হারি নাই। কোচিং করাতে আসেনাই তাতে কি হয়েছে।দেখবি প্রাইভেট পড়তে ঠিকই আসবে।শবনম ঠিক সেই দিন প্রাইভেট পড়তে ও আসে নাই।বিপ্লব বললো দে ৫০০ টাকা তারা তারি দিয়ে ফেল।আমি বিপ্লবকে বললাম ঠিক আছে কাল পযন্ত সময় দে। বিপ্লব বললো ঠিক আছে কালকেই শেষ সময়। আমি কচিং শেষ করে বিকেলে শবনমদের বাসায় গেলাম। আমি যে দেখি শবনম ওদের বাসার বারান্দায় দাড়িয়ে আছে।আমি শবনমের কাছে গিয়ে বললাম আমার বইটা ফেরত দাও আমাকে পড়তে হবে। শবনম বললো না ফেরত দেওয়া যাবে না। আমি বললাম কেন? ও আমাকে বললো কাল দেব । আমি শবনমকে জ্বিগাসা করলাম আজকে পড়তে আসনাই কেন।সে আমাকে বললো বাসাই কাজ ছিল তাই আসি নাই। শবনম আমাকে জ্বিগাসা করলে তুমি যা লিখেছ তাকি সত্য কিনা। আমি বললাম সত্য নাহলে লিখব কেন আর দিব কেন?এর পর আমি চলে আসলাম। পরের দিন আমি ক্লাশে এসে দেখি সে আগে আগে এসে বসে আছে।এরপর বিপ্লব আসলে শবনম বইটা বিপ্লবের কাছে দিল।বিপ্লব বইটার ভিতরে খোজ করতে লাগল কিছু আছে কিনা।কিন্তু কিছু পেলনা, বিপ্লব আমাকে বলল কিছু নাই তো আমি বললাম সমস্যা নাই চলে আয়।এর পর বিপ্লব আমাকে বলল দে টাকা দে আমি বলাম বিকালে বাসাই গিয়ে দেব।এপর বাসায় এসে বইটাকে ভাল ভাবে খুজে দেখলাম পেলাম না। এপর বইটা রাখলাম দেখলাম উপরে কেমন যেন উচু হয়ে আছে। বইটির উপরে যে মলাট লাগান আছে তার নিচে ভাজ করে রেখেছে চিঠিটা।তার পর মলাটা খুলে চিঠিটা বের করলাম । এর পর পড়া শুরু করলাম।চিঠিটি পড়ে আমিতো ওবাক, কারন চিঠিতে যা লিখেছে সে নাকি আমাকে আর ২ বছর আগে অর্থাৎ যখন আমি এই ইস্কুলে নবম শ্রেনিতে যখন ভর্তি হই তার পর থেকে নাকি আমাকে পছন্দ করে।এর পর আমি বিপ্লবকে চিঠিটা দেখালাম।তার পর বিপ্লব থেকে ৫০০ টাকা নিয়ে সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করলাম।বিপ্লব আমার সাথে বাজি ধরার পিছনে একটা কারন ছিল।কারনটা হলো বিপ্লব একটি মেয়েকে পছন্দ করতো সেই মেয়েটি শবনমের একজন ভাল বান্দ্ধবি ।তাই আমাকে দিয়ে শবনমের সাথে প্রেম করিয়ে, আমার মাধ্যমে শবনমের সাথে একটা সু সম্পর্ক গড়ে উঠার জন্য।যাতে করে সে শবনমকে দিয়ে তার বান্দ্ধবিকে তার ভালবাসার কথা বলার জন্য।যাই হোক আমি ৫০০ টাকা বাজিতে জিতেছি।আর শবনমের কাহিনি আরাক দিন বলা যাবে......।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:১০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×