#১#
অদূরের এক মসজিদ থেকে ফজরের আযানের ধ্বনি ভেসে আসছে। ভোরের আলো এখনো ফোটেনি। আকাশ এখনও মেঘে ঢেকে আছে। তাই চারপাশ স্বাভাবিকের চাইতে একটু বেশিই অন্ধকারাচ্ছন্ন। এরই মধ্যে নিজের জীবনটুকু বাঁচানোর জন্য প্রানপন চেষ্টা করে যাচ্ছে খলিল। এক বিদ্ধস্ত কাঠের ঘরের মাঝে আটকা পড়েছে সে। এই বিশাল কাঠের স্তুপের নিচে পরে থেকেও এখনও কিভাবে বেঁচে আছে খলিল তা ভেবে খলিল নিজেই বিস্মৃত হয়।
গায়ের ইউনিফর্মটি গতরাতের বৃষ্টিতে ভিজে গেছে। শার্টের অনেক যায়গা ছিঁড়ে গেছে। আর শরিরে আহত হবার চিহ্নতো বলে শেষ করা যাবে না। মাথার হেলমেটটি খুলে কই যেন পড়ে গেছে। এখান থেকে খলিলকে বের করে আনবার মতো কেউ নেই। এখন নিজেকে নিজেই সাহায্য করতে হবে।
গতরাতে মুষলধারে শ্রাবণের মেঘ পড়েছে। খলিল আর তার সহযোদ্ধারা তখন মেতে ছিল এক পৈচাশিক আনন্দে। পাশের গ্রাম থেকে ধরে আনা মেয়েগুলোর উপরে তারা ঝাপিয়ে পড়ছিল একের পর এক। তখন বিন্দুমাত্র মানতাবোধ ছিল না তাদের কারই।
খলিলদের সেনাক্যাম্পের পূর্ব দিকের পুকুর পাড়ে রাত সারে বারোটার দিকে প্রথম আঘাত হানে মুক্তিবাহিনী। খলিল এই পাকিস্তানী সেনাক্যাম্পের এক সাধারণ সেনা। গেরিলা বাহিনীর অতর্কিত হামলায় দিশেহারা হয়ে পড়ে খলিলসহ অন্যান্য সেনা সদস্যরা। পড়ে মেজরের নেতৃত্বে শৃঙ্খলিত হয়ে প্রতিরোধ করতে থাকে।
শুরু হয় পাকিস্তানী সরকারের অনুগত বাহিনী আর বাংলার মুক্তিকামী সাধারণ মানুষের মধ্যকার যুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের আরেকটি খন্ডচিত্র। যুদ্ধ চলতে থাকে রাতভর। পুকুরের একপাশে পাকিস্তানী সেনা আপর পাশে মুক্তিসেনারা অবস্থান নেয়। ভারি যুন্ধাস্ত্রে সুসজ্জিত থাকতে মুক্তিকামী ওই সাধারণ মানুষগুলোর সাথেই পেরে উঠতে পারছিল না খলিলেরা। রাত তিনটার পরে গেরিলা বাহিনী চারপাশ থেকে আক্রমণ করা শুরু করে। চারদিক থেকে আসতে থাকে ফাঁকা গুলি আর গ্রেনেড। বিপর্যস্ত হয়ে পরে খলিলেরা। ধ্বংস হতে থাকে সেনাক্যাম্পের একেক অংশ, নিহত হতে থাকে একের পর এক সেনারা যারা কিনা কয়েক ঘণ্টা আগেই পৈচাশিক আনন্দে মগ্ন ছিল।
ধংস্তুপ থেকে যখন নিজেকে বের করে আনলো খলিল ততোক্ষণে সূর্য উঠে গেছে। খলিলের শরিরের আঘাতের স্থানগুলো হতে এখন আর রক্ত ঝরছে না, শুকিয়ে গেছে। রাতভর বৃষ্টি হওয়াতে আশপাশের সবকিছু স্যাঁতস্যাঁতে আর কাদা হয়ে আছে। খলিল একটু সামনের দিকে হাঁটে। এখন অনুভব করা যাচ্ছে পায়ে আঘাতের কারণে হাঁটতে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে, টেনে টেনে হাঁটতে হয়।
চারপাশে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে আছে গতরাতে নিহত হওয়া সেনাদের লাশ। সবার মুখই খলিলের চেনা। এতদিন একসাথেই থেকেছে তারা। মনে মনে নিজেদের নেতা ইয়াহিয়া খানকে গালি দিতে থাকে খলিল। লোকটার বেঈমানীর ফলেই আজ মারা যাচ্ছে দুই দেশের মানুষগুলো।
প্রাণ বাঁচাতে হলে এখানে থাকলে চলবে না। গ্রামের মানুষগুলোর সাহায্য এখন তার বেশ দরকার যাদেরকে এই খলিলেরাই হত্যা আর ধর্ষণ করেছে অন্যায়ভাবে। হাঁটতে কষ্ট হলেও চলতে থাকে খলিল। কে তাকে সাহায্য করবে তা খলিলের জানা নেই তবুও কোন এক অজানা ভরসায় চলতে থাকে লোকালয়ের দিকে।
পাড়ার সামনের বড় বটগাছটির নিচে কয়েকটা আট-দশ বছরের ছেলেপেলে খেলছে। আহত খলিল সে দিকে এগিয়ে যায়। ছেলেপেলেগুলো খেলা বন্ধ করে খলিলের দিকে হা-করে তাকিয়ে থাকে। কিছু বলে না তবে চোখেমুখে একটা ভয় প্রকাশ পায় ওদের। খলিল সাহায্যের জন্য তাদের দিকে ইশারা করলে ছেলেপেলেগুলি কাছে না এসে একে একে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
পরনের ইউনিফর্ম দেখে নিশ্চয়ই ওরা বুঝে ফেলেছে এই লোক আর কেউ না- তাদের শত্রু। আর তাই হয়তো শত্রুকে সাহায্য না করে চলে গেল ওরা। হতাশ হয়ে খলিল বটগাছটির নিচে গিয়ে বসে। খলিল ভাবতে থাকে এদেশের সবার কাছেই সে শত্রু। খলিলেরাইতো প্রতিদিন হত্যা করে চলছে এই দেশের মানুষগুলোকে। আর তাই আজ হয়তো তাকে সাহায্য করার কেউ নেই বরং দেখলেই হয়তো তাকে হত্যা করে প্রতিশোধ নিবে। ভাবতে ভাবতে অবসাদে ঘুমিয়ে পরে খলিল।
#২#
‘মা, এদিক আহো, দ্যাখো’
আট-দশ বছর বয়সী এক ছেলের কণ্ঠ কানে যেতেই চেতনা ফিরে খলিলের। চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে আধো অন্ধকার এক ঘরের মেঝেতে শুয়ে আছে সে। ঘরের এক কোণে ছোট্ট একটা প্রদীপ জ্বলছে। খলিলের পাশে বসে আছে ছেলেটি।
খলিল কখন, কিভাবে এখানে আসলো তা জানে না, মাথাটা কেমন যেন ঝিম ঝিম করছে। নিজের ভাষা উর্দুতে ছেলেটির কাছে জানতে চাইলো সে খন কোথায়। কিন্তু ছেলেটি খলিলের ভাষা বোঝে না। হা-করে খলিলের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে।
‘কিরে, জ্ঞান ফিরছে?’- ঘরের দরজার চৌকাঠের সামনে দাড়িয়ে ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করে আমেনা।
মায়ের দিকে তাকিয়ে মাথা নারে জাফর।
বর্তমানে জাফরই আমেনার একমাত্র সন্তান আর বেঁচে থাকার অবলম্বন। এই বাড়িতে এখন তারা দুজনই থাকে, মা আর ছেলে। কিছুদিন আগেও এমন ছিল না আমেনার সংসার। ভরপুর ছিল এই বাড়ি। সংসারে ছিল স্বামী শফিক, ছেলে জাফর, মেয়ে জোনাকি আর বৃদ্ধ শ্বশুর। সবাইকে নিয়ে বেশ সুখেই ছিল আমেনা। কিন্তু হটাত এক ঝড়ে সবকিছু নেই হয়ে গেল। শুধুমাত্র ছেলেটিকে নিয়ে এখনও বেঁচে থাকতে হল আমেনার।
‘শইলে জ্বর কেমন দ্যাখতো।’- খলিলের গায়ের জ্বর এখন কেমন তা জাফরকে দেখতে বলে আমেনা। সারাদিন অনেক জ্বর ছিল। জাফর পাশে বসে পানিপট্টি দিয়েছে খলিলের কপালে। জাফর জ্বর হাত দিয়ে জ্বর মেপে দেখল। আমেনার দিকে তাকিয়ে বলল-বেশি না।
আমেনা চৌকাঠ পেরোয় না। দরজার সামনে থেকেই চলে যায়। কিছুক্ষণ পর ছোট এক গামলায় খানিকটা ভাতের মাড় এনে আবারো দরজার সামনে দাড়ায়। জাফরকে ডেকে বলে, ‘ফ্যানটুকুন খাওয়াইয়্যা দে, বল পাইবো।’ জাফর এসে মায়ের হাত থেকে ভাতের মাড়ের গামলাটি নিয়ে যায়।
সকালে ঘুম ভাংলো খলিলের। শরীরটা এখন মোটামুটি ভাল মনে হচ্ছে। মাথাটা এখন আর ঝিম ঝিম করছে না। সেদিন শরীরের অনেক স্থানে ক্ষত হয়েছিল। সেই ক্ষতস্থানগুলো কে যেন কাপড় দিয়ে বেঁধে দিয়েছে। ঘরে কেউ নেই, সেই জাফরও নেই। নিজে চেষ্টা করেই বিছানা থেকে উঠে দাঁড়ালো খলিল। দরজা খুলে বাইরে এলো।
ঘরের ভিতরের দৃশ্য আর বাইরের দৃশ্য এক না। বাইরে তাকালে মনে হয় আবারো কোন এক ধংসস্তুপের ভিতর আছে সে। বাড়ির ঘরগুলো, গাছপালাগুলো কেমন যেন লন্ডভন্ড। যেন কোন এক দানব সবকিছু তছনছ করে গেছে।
এই গ্রামটি ভালই চেনা আছে খলিলের। ক্যাম্পের সাথে আসার পর থেকে বেশ কয়েকবার এই গ্রামগুলিতে মুক্তিবাহিনী দমনের অভিযানে এসেছিল খলিল। আর সেই অভিযানে গ্রামের ঘর-বাড়িগুলো ভাঙচুর করেছে, জ্বালিয়ে দিয়েছে খলিলেরাই। হত্যা করেছে মানুষকে আর তারই ফাঁকে রক্ত-মংসের খেলায় তারা মেতে উঠেছিল গ্রামের মেয়েগুলির সাথে।
আমেনা আর তার ছেলে জাফর দুজনে বসে আছে বাড়ির দক্ষিন দিকে। কি নিয়ে যেন কথা বলছে। খলিল তাদের দিকে এগিয়ে যেতেই একটু নরেচরে বসল তারা। মাথার ঘুমটাটুকু বাড়িয়ে নিল আমেনা। জাফর বসা থেকে উঠে দাড়ায়। মা-ছেলে কারো মুখে কোন কথা নেই, ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে থাকে খলিলের দিকে।
খলিলের বুঝতে বাকি থাকে না যে এই মা-পুত্র নিশ্চয় খলিলের সম্পর্কে জেনে গেছে। খলিলেরা আজ তাদের কাছে শত্রু ছারা আর কিছুই না। এইতো সেদিন খলিলেরা জ্বালিয়ে দিয়ে গেল পুরো গ্রাম তা নিশ্চয় ভুলে যায়নি এরা কেউই। তবে কেন সেই শত্রুকেই দুইদিন যাবত সেবা-শশ্রুষা করে চলছে এই মা-পুত্র?
খলিল আগ-বাড়িয়ে আর নিজের পরিচয় দেয় না। নিজ ভাষাতেই জানতে চায় কে তাকে এখানে নিয়ে এসেছে, কেনই বা এনেছে?
জাফর উর্দু বোঝে না, আমেনা বুঝলেও বলতে পাড়ে না। খলিলের প্রশ্নের উত্তরগুলো আধো বাংলা-আধো উর্দুতে দিল আমেনা। সবকিছু বলতে পারলো না। সব শুনে খলিল বুঝতে পারলো শুধুমাত্র মৃতপ্রায় এক মানুষকে সাহায্য করাটাই তাদের কাছে অনেক বড়, কে শত্রু আর কে মিত্র তা ভেবে দেখেনি এই বাড়ির মানুষ দুটি।
#৩#
সন্ধ্যায় হাতেম আলী আসলো খলিলের সাথে দেখা করতে। হাতেম আলী এই গ্রামের রাজাকার বাহিনীর প্রধান। এই বাড়িতে এক পাকিস্তানী মিলেটারি আশ্রয় নিয়েছে বলে সে জানতে পেরেছে। খলিলকে দেখে সে মহাখুশি। খলিলের পাশে বসে ফিস ফিস করে অনেক্ষন কথা বলল। জাফর ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে কান খাঁড়া করে শুনতে চাচ্ছিল হাতেম আলী আর খলিলের কথাগুলো। কিন্তু কথাগুলো উর্দুতে হওয়ায় তেমন কিছু বুঝতে পারলো না।
কথা শেষে দরজা খুলে বাড়ির পিছন দিক দিয়ে চলে গেল হাতেম আলী। জাফর তাকিয়ে থাকে সেই দিকে। আজ হাতেম আলীকে কেমন যেন চোরের মতো মনে হচ্ছে।
এর আগে যেদিন হাতেম আলী এসেছেল সেদিন মোটেও চোরের মতো মনে হচ্ছিল না। এক হিংস্র জানোয়ারের মতো দেখাচ্ছিল। সেদিন রাতে খাবার খেয়ে বড় বোন জোনাকির সাথে ঘুমাতে গিয়েছিল জাফর। পাশের বিছানায় মা-বাবা আর ঐ ঘরে দাদু। অনেক রাতে দরজার কড়া নেরে জাফরের বাবা শফিকের নাম ধরে হুঙ্কার করে ডাকতে থাকে হাতেম আলী। কিছুদিন যাবত হাতেম আলীর সাথে বুনছে না শফিকের। শফিক স্বাধিনাতার পক্ষে আর হাতেম আলী তার উল্টো। এতো রাতে হাতেম আলীর খানিকটা বিস্মিত আর ভীত হয়ে পড়ল শফিক।
শফিক দরজা খুলে দিল। হাতেম আলীকে দেখার জন্য বাইরে তাকালো। তখনই তিনজন পাকিস্তানী মিলেটারি এসে বন্দুক তাক করে ধরল শফিকের দিকে। শফিককে উদ্দেশ্য করে ‘শালে মুক্তি’ বলে হাজারো গালিগালাজ করতে থাকে হাতেম আলী। শফিককে ঐ তিনজন মিলেটারি ধরে নিয়ে কোথায় যেন চলে গেল। তারপর এখন পর্যন্ত ফিরে আসেনি শফিক।
এরপরের স্মৃতিটি আরও করুন। শফিককে ধরে নিয়ে যাবার পর ধর-মরিয়ে চারজন মিলেটারি চৌকাঠ পেড়িয়ে ঘরের ভিতর ঢুকে। মিলেটারিগুলো ঝাপিয়ে পরে আমেনা আর জোনাকির উপর। চিৎকার করে কান্না শুরু করে ওরা। ঐ ঘর থেকে জাফরের দাদু এসে বাঁধা দিতে গেলে হাতেম আলী টেনে তাকে চৌকাঠের বাইরে নিয়ে যায়। তারপর জোরে এক গুলির শব্দের পর জাফরের দাদু আর কোন শব্দ করেননি। জানোয়ারগুলির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে দাদুর সহযাত্রী হয় জোনাকিও।
তখন হাতেম আলীর কাছে অনেক অনুনয় করেও শিশু জাফর মন গলাতে পারেনি তার। কত ভয়ঙ্কর সেই হাতেম আলী আর আজকের হাতেম আলী এক ইদুরের মত। হাতেম আলী চলে যাবার পর ঘরে ঢুকে জাফর। খলিল হেলান দিয়ে বসে আছে। ধীরে ধীরে জাফর খলিলের দিকে এগিয়ে যায়।
জাফরের দিকে তাকিয়ে খলিল বুঝে নিল জাফর হয়তো কিছু বলতে এসেছে। ইশারায় জানতে চাইলো জাফর কিছু বলতে চায় কিনা।
কাপা কাপা গলায় জাফর বলল, ‘আপনেরাতো আমার আব্বারে ধইর্যা নিয়্যা গেছেন। একটু কোন না আব্বা এহন কুনে আছে, কেমুন আছে।’ এইটুকু বলে জাফর আর কিছু বলতে পারলো না। এতক্ষন চোখ বেয়ে পানি পরলেও এখন হু-হু করে কেঁদে উঠলো।
খলিল কিছু বলে না, জাফরের মাথায় হাত রেখে জানালার বাইরে তাকিয়ে থাকে। তখনও বাইরে ভীষণ গভীর অন্ধকার।
#৪#
আরও দুই প্লাটুন মিলেটারি এসে পুনরায় দখন করে নিয়েছে সেই সেনা ক্যাম্পটি। মুক্তিযোদ্ধারা সেদিন যে ক্যাম্প গুড়িয়ে দিয়েছিল সেই ক্যাম্পে আবার ফিরে এসেছে পাকিস্তানী সেনা। আর এই অসাধ্য সাধনের সবচেয়ে বড় দাবিদার হাতেম আলী। টানা এক সাপ্তাহ ঘুরে ফিরে চেষ্টা তদবীর করে এ গ্রামে আবারো সেনাদের নিয়ে এসেছে।
খুশির খবরটি দিতে হাতেম আলী দৌড়ে চলে এলো জাফরদের বাড়ি খলিলের কাছে। এইকদিন মুক্তিযোদ্ধাদের ভিয়ে ইদুরের মত পালিয়ে পালিয়ে থাকতে হয়েছে হাতেম আলীকে। আজ থেকে তার আর কোন ভয় নেই, নতুন করে শুরু হবে দমন। শুরু হবে জ্বালাও-পোড়াও, হত্যা আর ধর্ষণ।
আজ খলিলকে হাতেম আলীর সাথে ফিরে যেতে হবে সেই সেনাক্যাম্পে। জাফরের শুকনো মুখের দিকে তাকিয়ে মুখ ফিরিয়ে নেয় খলিল। খলিল জানে না সে কি পারবে জাফরের বাবাকে ফিরিয়ে দিতে নাকি আবারও কোন একদিন হাতেম আলীর সাথে এক নরপশু হয়ে এসে আরেকবার ঝাপিয়ে পরতে হবে আমেনার উপর???
Md. Mithun Hasan
June 4, 2014.
আলোচিত ব্লগ
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত যেসব বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে…
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত যেসব বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে…
১. প্রথমে বলেছেন মৃতদের পেটে কাটাছেড়ার ডাহা মিথ্যা। পরে স্বীকার করেছেন দাগ থাকে।
২. আশ্রমে বৃদ্ধদের চিকিৎসা দেয়া হয় না। কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন
আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন
সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(
আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন
লুঙ্গিসুট
ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা
স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা
একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন