সাইদী রাজাকারের আপিলের রায় দিল আজ। ক্লাসে বসেই ফেসবুকে দেখলাম নিউজটা। শকড হয়ে গেলাম রায় দেখে। মৃত্যুদণ্ড দিল না, বরং দরিদ্র জাতির ঘারে আরেকটি বোঝাকে টেনে নেয়ার দায়িত্ব চাপিয়ে দিল।
ক্লাসে আর মনযোগ দিলে পারলাম না। অসহ্য যন্ত্রণা হতে থাকল মনের ভিতর। কিছুই ভাল লাগছিল না। ক্লাস থ্রিতে থাকতে যেদিন রাজাকার সম্পর্কে জানতে পেরেছিলাম সেদিন থেকেই ভাবতাম কোন একদিন নিশ্চয়ই রাজাকারগুলির উচিত বিচার হবে।
কিন্তু হল না। শাস্তির পরিবর্তে পুরস্কার পেল এই রাজাকারটি। সেদিন সারারাত ঘুমাতে পারিনি যেদিন খালেদা জিয়া কয়েকটা রাজাকারকে মন্ত্রি বানাতে শপথ পাঠ করতে বলেছিল। আজও হয়তো ঘুমাতে পারব না যখন হাসিনা পুরষ্কারের ট্রফি তুলে দিলেন রাজাকারটির হাতে।
সাইদী যদি প্রকৃতপক্ষে নির্দোষই হয়ে থাকত তবে তাকে বেকুশুর খালাস দিয়ে দিত, কোন দুঃখ থাকত না। কিন্তু দোষ করে থাকলে মৃত্যুদণ্ডই কাম্য। এরকম মাঝামাঝি অবস্থানে রাখার কোন মানে হয় না।
এ এক বিরাট অপমান। এ অপমান আমার, এ অপমান আমার মৃত মুক্তিযোদ্ধা বাবার, এ অপমান সমস্ত জাতির। যে দেশটিকে অন্ধকার কূপ থেকে টেনে তুলেছিল আমার বাবা আর তার সহযোদ্ধারা আজ সেই দেশটিকেই আবার সেই একই কূপে তলিয়ে যেতে দেখছি আমি।
হয়তো আজ সকল শহিদ মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের এই কাপুরুষতা আর ধৈর্যশীলতা দেখে মুখ লুকাচ্ছেন। আর ভবিষ্যতে আমাদেরকেও লজ্জায় মুখ লুকাতে হবে যেদিন পরবর্তী প্রজন্ম জানতে চাইবে, কী করেছিলেন সেদিন???
Rizwanul Mithun
17 September, 2014